সম্পাদকীয়
আল বিরুনি একাধারে ছিলেন গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, ভূগোলবিদ, ঐতিহাসিক, পঞ্জিকাবিদ, দার্শনিক, ভাষাতত্ত্ববিদ ও ধর্মতত্ত্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। তাঁর পুরো নাম আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনি। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৯৭৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের খোয়ারিজম (বর্তমান খিভা) শহরে। সেই সময় খোয়ারিজম রাজবংশের শাসন চলছিল। এই শাসকেরা পণ্ডিতদের সরকারি খরচে বিদেশভ্রমণে উৎসাহিত করতেন জ্ঞান আহরণের জন্য। সেই সুযোগ পেয়েছিলেন আল বিরুনি।
২০ বছর বয়সে বিরুনি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে ভ্রমণ শুরু করেন। তিন বছর ধরে তিনি গোটা পারস্য চষে বেড়ান এবং বিভিন্ন পণ্ডিতের অধীনে পড়ালেখা করে নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। ৯৯৮ সালে তিনি উত্তর ইরানের জুরজান শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন মধ্য এশিয়া ও ভারতবর্ষে।
আল বিরুনি ফার্সি, তুর্কি, সিরীয় এবং সংস্কৃত ভাষায় দক্ষ ছিলেন। ৫০ বছর বয়সে তিনি সংস্কৃত ভাষা রপ্ত করেন। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অসংখ্য বই লিখেছেন। তাঁর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—কিতাব আল হিন্দ, আল কানুন আল মাসুদি, আতহার আল বাগিয়া, তারিখুল হিন্দ, কিতাব আল জামাকির ও কিতাব আল সায়িদনা। তিনি বেশ কিছু সংস্কৃত বই আরবিতে অনুবাদ করেন। ভূগোল, ভূগণিত, মানচিত্রবিদ্যা ও আবহাওয়াবিদ্যা-বিষয়ক তাঁর বইয়ের সংখ্যা ২৭টি। এ ছাড়া তিনি দর্শন, গণিত, পদার্থ, চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়েও বই লিখেছেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি বিচরণ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানের জগতে।
তিনি আজন্ম উদার এবং অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার অধিকারী ছিলেন। বিখ্যাত বই ‘আল হিন্দ’ প্রকাশিত হওয়ার পর গোঁড়া মুসলিম সমাজ তাঁর বিরুদ্ধে বিধর্মী কাজের অভিযোগ তুলেছিল! তবে তিনি মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি গ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের ‘জ্ঞান সাধক’। জ্ঞানের মাধ্যমেই তিনি ইহলৌকিক ও পারলৌকিক পুণ্য অর্জনের পথ বেছে নিয়েছিলেন।
১০৪৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন আল বিরুনি।
আল বিরুনি একাধারে ছিলেন গণিতজ্ঞ, জ্যোতির্বিদ, পদার্থবিজ্ঞানী, ভূগোলবিদ, ঐতিহাসিক, পঞ্জিকাবিদ, দার্শনিক, ভাষাতত্ত্ববিদ ও ধর্মতত্ত্বের নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। তাঁর পুরো নাম আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনি। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৯৭৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের খোয়ারিজম (বর্তমান খিভা) শহরে। সেই সময় খোয়ারিজম রাজবংশের শাসন চলছিল। এই শাসকেরা পণ্ডিতদের সরকারি খরচে বিদেশভ্রমণে উৎসাহিত করতেন জ্ঞান আহরণের জন্য। সেই সুযোগ পেয়েছিলেন আল বিরুনি।
২০ বছর বয়সে বিরুনি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে ভ্রমণ শুরু করেন। তিন বছর ধরে তিনি গোটা পারস্য চষে বেড়ান এবং বিভিন্ন পণ্ডিতের অধীনে পড়ালেখা করে নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন। ৯৯৮ সালে তিনি উত্তর ইরানের জুরজান শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে তিনি জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন মধ্য এশিয়া ও ভারতবর্ষে।
আল বিরুনি ফার্সি, তুর্কি, সিরীয় এবং সংস্কৃত ভাষায় দক্ষ ছিলেন। ৫০ বছর বয়সে তিনি সংস্কৃত ভাষা রপ্ত করেন। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অসংখ্য বই লিখেছেন। তাঁর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে—কিতাব আল হিন্দ, আল কানুন আল মাসুদি, আতহার আল বাগিয়া, তারিখুল হিন্দ, কিতাব আল জামাকির ও কিতাব আল সায়িদনা। তিনি বেশ কিছু সংস্কৃত বই আরবিতে অনুবাদ করেন। ভূগোল, ভূগণিত, মানচিত্রবিদ্যা ও আবহাওয়াবিদ্যা-বিষয়ক তাঁর বইয়ের সংখ্যা ২৭টি। এ ছাড়া তিনি দর্শন, গণিত, পদার্থ, চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়েও বই লিখেছেন। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি বিচরণ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানের জগতে।
তিনি আজন্ম উদার এবং অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার অধিকারী ছিলেন। বিখ্যাত বই ‘আল হিন্দ’ প্রকাশিত হওয়ার পর গোঁড়া মুসলিম সমাজ তাঁর বিরুদ্ধে বিধর্মী কাজের অভিযোগ তুলেছিল! তবে তিনি মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি গ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের ‘জ্ঞান সাধক’। জ্ঞানের মাধ্যমেই তিনি ইহলৌকিক ও পারলৌকিক পুণ্য অর্জনের পথ বেছে নিয়েছিলেন।
১০৪৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন আল বিরুনি।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ দুপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ মার্চ আসন্ন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তে শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই ক্ষুব্ধ হননি, রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধ সাধারণ জনতা, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
১ দিন আগে...ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনের কথা বলতে যেয়েই অধ্যাপক রাজ্জাক বললেন: ১৯৫২-তে ভাষা আন্দোলনের সময়ে, আর কিছুর জন্য নয়, সাহসের অভাবে, হি (সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন) অকেজন্ড মাচ ট্রাবল। আমার মনে আছে যেদিন গুলিটা হলো, ইউনিভার্সিটির ঐ পুরানা দালানে (বর্তমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল বিল্ডিং-এর দক্ষিণ দিক)..
২ দিন আগেযদি কেউ ভালোবাসা দিবসে তাঁর সঙ্গীর জন্য একটি কার্ড কিনে থাকেন, তাহলে সহজেই বলে দেওয়া যায়—কার্ড কেনা মানুষটি একজন পুরুষ। কারণ সাধারণত পুরুষেরাই নারীদের তুলনায় বেশি রোমান্টিক। এটি একটি সর্বজনবিদিত সত্য, তবে স্বীকৃতি খুবই কম।
১৬ দিন আগেএক বছরেও শুকায়নি হৃদয়ের ক্ষত। রক্তাক্ত স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তাঁদের উদ্দেশ্য শুধু ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা নয়, বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনও প্রধান লক্ষ্য।
১৭ দিন আগে