সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
সোশ্যাল মিডিয়া
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আড্ডা
অন্ধ হলেও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন
অনেক অনেক বছর আগে এক বুড়ি ছিলেন, অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী। তিনি কি শুধুই বুড়ি ছিলেন? সম্ভবত একজন গুরু, কিংবা এক অশান্ত শিশু। আমি এই গল্পটি শুনেছিলাম বা অনেকটা এ রকম কিছু একটা অনেক লোকগাথাতেই উল্লেখ ছিল। অনেকটা এ রকম, ‘একদা এক ছিল বুড়ি। অন্ধ কিন্তু জ্ঞানী।’
বিশ্বজনীন ও যুক্তিশীল মতাদর্শ
আজ থেকে দুই সহস্রাব্দ আগে কবি হোরেস বলেছিলেন, ‘যথাসময়ে মূর্খামি প্রদর্শন বেশ জরুরি কাজ।’ কবির কথা শিরোধার্য করে এই ‘যথাসময়ে’ আমি ‘মূর্খামি’র সপক্ষে কিছু বলতে চাই।
অবজ্ঞার মাত্রাই বেশি থাকে
আদিম মানুষের মতো দ্বিধান্বিত কেউ একজন সেটাকে তুলে নিয়েছে—সেটা কি ভেসে আসা এক অদ্ভুত সামুদ্রিক প্রাণী?—সেটা কি এক অদ্ভুত কিছু, যা হয়তো বালুর মধ্যে লুকিয়ে ছিল?—অথবা এমন কিছু যা হঠাৎ করেই আকাশ থেকে পড়েছে?—বেশ অদম্য আর বক্র, আবার বোধহীনের মতো চকচকে, ভেতর থেকে উজ্জ্বল প্রভা বেরিয়ে
জানা ও অজানার মধ্যে মধ্যস্থতা
শব্দ ছিল ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, শব্দটি ছিল সৃষ্টি। কিন্তু মানব সংস্কৃতির শতাব্দীর পর শতাব্দী যেতে ধ্বনি অর্থে রূপ পায়, পার্থিব কিংবা ধর্মীয় সব অর্থে। শব্দ বিশ্বজুড়ে ধ্বনিত হয়, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে হাতে ধরা দেয়। কিন্তু আমার জন্য, আমার ধরনের জন্য একটি বিশেষ রূপান্তরও ঘটে।
ত্রাস-শ্রদ্ধা-বিহ্বলতার অপার মিশ্রণ
সভ্যতার আদি থেকেই মানুষ যা বারবার বলে এসেছে, সে কথাই আজ শুরুতে বলি। ধন্যবাদ আপনাদের! প্রতিটি ভাষাতেই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ রয়েছে, নিজের মতো করে। প্রকাশভঙ্গি পৃথক, অর্থের পরিধিও তার বিভিন্ন। রোমান ভাষায় কৃতজ্ঞতাসূচক বাক্য শরীর এবং আত্মাকে ছুঁয়ে থাকে। কখনো তা স্বর্গীয় সৌরভে ভরপুর, আবার কখনো-বা তা মানুষকে ম
এই পুরস্কার গৌরবের
আমার কাজকে শীর্ষতম সম্মানে ভূষিত করার জন্য সুইডিশ একাডেমিকে ধন্যবাদ। এটা ঠিকই যে, অন্য কৃতী লেখকদের টপকে আমাকে এই সম্মান দেওয়া নিয়ে আমার নিজের মনেই এখনো সংশয় রয়েছে। সেই সব লেখককে টপকে, যাঁদের আমি অত্যন্ত সম্মান ও সম্ভ্রম করি। কিন্তু এটাও তো বলতেই হবে, এই পুরস্কার আমার কাছেও গৌরবের এবং আনন্দের।
স্বেদ-যন্ত্রণা সুসাহিত্যের জন্ম দেয়
আমি মনে করি, ব্যক্তি আমিকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে না, দেওয়া হচ্ছে আমার কাজকে। গোটা জীবন ধরে করা কাজ, মানবাত্মার স্বেদ ও যন্ত্রণার মধ্য থেকে উঠে আসা কাজ, যার উদ্দেশ্য কোনো লাভ বা গৌরব অর্জন নয়। যার লক্ষ্য মানবাত্মার টুকরো-টাকরো কুড়িয়ে এমন কিছু সৃষ্টি করা, যা আগে ছিল না। ফলে এই পুরস্কার সম্পর্কে আমার
‘তুমি এখন কী কর’ প্রশ্নে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয় পাস বেকারেরা
‘খুব বাড়ি যেতে ইচ্ছা করলেও যাই না। বাড়ি গেলে এলাকার লোকজন, আত্মীয়-স্বজনেরা জিজ্ঞেস করে, কী করি এখন? উত্তর দিতে পারি না। এলাকার দু-একজনের চাকরি হলে, সেটা আবার বাড়ির লোকজনই শোনায়। পরিবারটাকে অপরিচিত লাগে তখন, হতাশ লাগে!’
উদ্বুদ্ধ করার মতো উদাহরণ
আজ সুইডেন সুদূর লাতিন আমেরিকার দিকে ফিরেছে, দেশটির সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্বকারী একজনকে সম্মান দেখানোর উদ্দেশ্যে। চিলির গণতন্ত্রে লালিত একজন হিসেবে আমার সামনে সুইডিশ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধি দেখতে পাই, যার মৌলিকতা সমাজের অত্যন্ত মূল্যবান সৃষ্টি কাঠামোর মধ্যে বিরতিহীনভাবে নিজেকে নবায়ন করে চলেছে।
উপন্যাসের কোনো জায়গা নেই
উপন্যাস কখনোই চীনে একটি শিল্প হিসেবে বিবেচিত হয়নি। চীনা ঔপন্যাসিকেরাও কখনো নিজেদের শিল্পী হিসেবে দেখেননি। চীনা উপন্যাস ইতিহাস, পরিধি আর মানুষের হৃদয়ে এর অবস্থান—সবকিছুকেই বিবেচনা করতে হবে এই সত্য মাথায় রেখে।
মনের ময়ান
একবার এক স্কুল পরিদর্শনে গেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। সে এক অজপাড়াগাঁ। স্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন, শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ একটা আনন্দমুখর সময় কাটছে তাঁর। এ সময় একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত গৃহস্থ এসে বললেন, ‘আজ আপনি আমাদের বাড়িতে দুপুরের আহার করবেন।’
পারফর্ম করা হলো না
এটাকে বলা যায় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের প্রথম মঞ্চে ওঠা বা না-ওঠার গল্প। সেটা ১৯৪৫ সালের কথা। স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাঁরা পারফর্ম করেন, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন না। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিছু পারুক আর না পারুক, মঞ্চে উঠতে হবে সবাইকে। সেই তালিকায় পড়লেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
শিশির ভাদুড়ির প্রাইভেট টিউটর
অসাধারণ অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শৈশব, কৈশোর, যৌবন কেটেছে আমাদের এই ঢাকা শহরে। প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন পোগজ স্কুলে। সেখান থেকে সেন্ট গ্রেগরিজে। হাইস্কুল পাস করে জগন্নাথ কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্যাপের নিচে কি মাথা?
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনকে কেউ শিশুসাহিত্যিক বললে তিনি রেগে যেতেন। বড়দের জন্যও তো লিখেছেন, তাহলে কেন শুধু শুধু শিশুসাহিত্যিকের লেবেল এঁটে দেওয়া হবে তাঁর শরীরে—এই ছিল রাগের কারণ। দারিদ্র্য কিংবা অন্যদের অবহেলা, বিদ্রূপ কোনোভাবেই
ষাট বছরের সংসার
১৯৬০ সাল। ‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেয়েছে এক বছর হলো। সত্যজিতের প্রথম দুই ছবি ‘পথের পাঁচালী’ আর ‘অপরাজিত’ দর্শক মন জয় করতে পারেনি। মানুষ সিনেমা হলে যায়নি। কিন্তু ‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেতেই হল ভেঙে পড়ল দর্শকে।
ধাঁধা
গিরিডিতে সুনির্মল বসুর শৈশব কেটেছে। তাঁদের বাড়িতে যেসব মাসিক পত্রিকা আসত, তার সবই ছিল বড়দের জন্য। একদিন শ্রাবণ মাসের বৃষ্টির মধ্যে স্কুলের পথে রওনা দিয়েছেন সুনির্মল, এমন সময় তাঁর বাবা বালিশের নিচ থেকে চারখানা পত্রিকা বের করে সুনির্মল বসুর হাতে দিলেন।
খ্যানখেনে বুড়ি
প্রায় এক বছর পড়াশোনা করা হয়নি সলিল চৌধুরী ও তাঁর দাদার। বাড়িতে বসে ‘মুখ্যু’ হয়ে যাচ্ছিলেন। থাকতেন তখন হাতিখুলিতে। শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো তাঁদের দুই ভাইকে কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে মেজ জ্যাঠামশাইয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কলকাতার স্কুলে ভর্তি করে বাবা চলে