সম্পাদকীয়
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনকে কেউ শিশুসাহিত্যিক বললে তিনি রেগে যেতেন। বড়দের জন্যও তো লিখেছেন, তাহলে কেন শুধু শুধু শিশুসাহিত্যিকের লেবেল এঁটে দেওয়া হবে তাঁর শরীরে—এই ছিল রাগের কারণ। দারিদ্র্য কিংবা অন্যদের অবহেলা, বিদ্রূপ কোনোভাবেই এই দিনেমার ভদ্রলোকের জীবনে ছাপ ফেলেনি।
প্রথম বইটা অ্যান্ডারসন লিখেছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। আর বয়স ৪০ হতে না হতেই মোটামুটি টাকার থলের ওপর বসে দিনাতিপাত করেছেন। মজার ব্যাপার, অযথা বিলাসিতায় সায় ছিল না তাঁর কখনোই। জীবনে প্রায় ৩০ বার বেরিয়েছেন ভ্রমণে, দেখা করেছেন হেনরিখ হাইনে আর চার্লস ডিকেন্সের সঙ্গে। কাটিয়েছেন মধুর সময়। কিন্তু কখনোই নিজের পোশাক-আশাকের দিকে নজর দেননি। যা পেয়েছেন সামনে, তা-ই পরেছেন। রূপকথার এই নায়ককে প্রায়ই দেখা যেত ইস্তিরিহীন লম্বা ওভারকোট গায়ে চলেছেন। সারা জীবনই থেকেছেন ভাড়া করা বাড়িতে। মৃত্যুর আগে যে বাড়িটি ভাড়া করেছিলেন, তাতে তাঁর পৃষ্ঠপোষক আর ভক্তরা যাওয়া-আসা করত বটে, কিন্তু ৭০ বছর বয়সে যখন মৃত্যু এল, তখন তিনি ছিলেন একা। তবে তাঁর সমাধিক্ষেত্রে ছিল ভক্ত, শিক্ষার্থী, গণ্যমান্য ব্যক্তি, এমনকি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের মিছিল।
সমাধির অ্যান্ডারসন নয়, বাস্তবের অ্যান্ডারসনকে নিয়ে আরেকটু কথা। আগেই তো বলা হয়েছে, নিজের পোশাক-আশাক নিয়ে একেবারেই আগ্রহ ছিল না অ্যান্ডারসনের। কোপেনহেগেনের রাস্তায় যখন হাঁটতেন, তখন সেই দীনহীন ওভারকোট আর জরাজীর্ণ ক্যাপ মাথায় চলতেন কাউকে পরোয়া না করেই। একদিন এক কেতাদুরস্ত যুবক অ্যান্ডারসনকে এই পোশাকে হাঁটতে দেখে সামনে এগিয়ে এল। তারপর বলল, ‘আপনার মাথায় যে আজব জিনিসটি দেখা যাচ্ছে, সেটাকে কি ক্যাপ বলতে হবে?’
বিন্দুমাত্র ভড়কে না গিয়ে অ্যান্ডারসন উত্তর দিলেন, ‘তাহলে তো আপনাকেও প্রশ্ন করতে হয়, আপনার এই অত্যাধুনিক ক্যাপের নিচে যে জিনিসটি আছে, সেটিকে কি মাথা বলতে হবে?’
সূত্র: লিতেরাকনকুর্সডটরু
হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনকে কেউ শিশুসাহিত্যিক বললে তিনি রেগে যেতেন। বড়দের জন্যও তো লিখেছেন, তাহলে কেন শুধু শুধু শিশুসাহিত্যিকের লেবেল এঁটে দেওয়া হবে তাঁর শরীরে—এই ছিল রাগের কারণ। দারিদ্র্য কিংবা অন্যদের অবহেলা, বিদ্রূপ কোনোভাবেই এই দিনেমার ভদ্রলোকের জীবনে ছাপ ফেলেনি।
প্রথম বইটা অ্যান্ডারসন লিখেছিলেন মাত্র ১৭ বছর বয়সে। আর বয়স ৪০ হতে না হতেই মোটামুটি টাকার থলের ওপর বসে দিনাতিপাত করেছেন। মজার ব্যাপার, অযথা বিলাসিতায় সায় ছিল না তাঁর কখনোই। জীবনে প্রায় ৩০ বার বেরিয়েছেন ভ্রমণে, দেখা করেছেন হেনরিখ হাইনে আর চার্লস ডিকেন্সের সঙ্গে। কাটিয়েছেন মধুর সময়। কিন্তু কখনোই নিজের পোশাক-আশাকের দিকে নজর দেননি। যা পেয়েছেন সামনে, তা-ই পরেছেন। রূপকথার এই নায়ককে প্রায়ই দেখা যেত ইস্তিরিহীন লম্বা ওভারকোট গায়ে চলেছেন। সারা জীবনই থেকেছেন ভাড়া করা বাড়িতে। মৃত্যুর আগে যে বাড়িটি ভাড়া করেছিলেন, তাতে তাঁর পৃষ্ঠপোষক আর ভক্তরা যাওয়া-আসা করত বটে, কিন্তু ৭০ বছর বয়সে যখন মৃত্যু এল, তখন তিনি ছিলেন একা। তবে তাঁর সমাধিক্ষেত্রে ছিল ভক্ত, শিক্ষার্থী, গণ্যমান্য ব্যক্তি, এমনকি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের মিছিল।
সমাধির অ্যান্ডারসন নয়, বাস্তবের অ্যান্ডারসনকে নিয়ে আরেকটু কথা। আগেই তো বলা হয়েছে, নিজের পোশাক-আশাক নিয়ে একেবারেই আগ্রহ ছিল না অ্যান্ডারসনের। কোপেনহেগেনের রাস্তায় যখন হাঁটতেন, তখন সেই দীনহীন ওভারকোট আর জরাজীর্ণ ক্যাপ মাথায় চলতেন কাউকে পরোয়া না করেই। একদিন এক কেতাদুরস্ত যুবক অ্যান্ডারসনকে এই পোশাকে হাঁটতে দেখে সামনে এগিয়ে এল। তারপর বলল, ‘আপনার মাথায় যে আজব জিনিসটি দেখা যাচ্ছে, সেটাকে কি ক্যাপ বলতে হবে?’
বিন্দুমাত্র ভড়কে না গিয়ে অ্যান্ডারসন উত্তর দিলেন, ‘তাহলে তো আপনাকেও প্রশ্ন করতে হয়, আপনার এই অত্যাধুনিক ক্যাপের নিচে যে জিনিসটি আছে, সেটিকে কি মাথা বলতে হবে?’
সূত্র: লিতেরাকনকুর্সডটরু
আহমদুল কবির রাজনীতিবিদ ও শিল্প-উদ্যোক্তা হলেও সাংবাদিক হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল জমিদার পরিবারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ স্নাতক পাস করা আহমদুল কবির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত ভিপি...
১ দিন আগেঅঁদ্রে মালরোর লেখা বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রেখেছে। তাঁর বড় পরিচয় তিনি বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, নন্দনতাত্ত্বিক। তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন।
২ দিন আগেপ্রকৃত নাম জন গ্রিফিথ চেইনে হলেও জ্যাক লন্ডন নামে খ্যাতি পেয়েছেন এই বিখ্যাত মার্কিন লেখক। তাঁর জন্ম ১৮৭৬ সালের ১২ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৩ দিন আগেআবদুস সালাম ছিলেন বিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম এবং প্রথম পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। পাকিস্তানি এই তাত্ত্বিক পদার্থবিদ ইলেক্ট্রোউইক ইউনিফিকেশন থিওরির জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
৪ দিন আগে