অনলাইন ডেস্ক
১৫ আগস্ট মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বাংলাদেশ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ও মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য ছিল—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রেখেছিল ভারত। গত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতের বিরোধিতা ওই চাপেরই অংশ ছিল।
ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, সেই সময়টিতে ভারতীয় কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রকে এটাই জানিয়ে দিয়েছিল যে একটি সুষ্ঠু ও উন্মুক্ত নির্বাচন হলে বাংলাদেশ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর একটি প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হবে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত সরকারের এক উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘আমেরিকানদের সঙ্গে প্রচুর কথা হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম—এটি আমাদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় এবং আমরা আপনাদের কৌশলগত অংশীদার হতে পারব না, যদি আমাদের কিছু কৌশলগত ঐকমত্য না থাকে।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা সেই সময়টিকে বাংলাদেশ নিয়ে কিছুটা নরম অবস্থানে থাকার কারণ হিসেবে ভারতীয় চাপের প্রভাবকে মানতে নারাজ। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধ কঠিন পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টিকে একটি ‘ভারসাম্যমূলক কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে এই বিষয়টি যে সেই সময় প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিকে ক্ষুব্ধ করেছিল, সেটিও উল্লেখ করেন তাঁরা।
ওয়াশিংটন পোস্ট সেই সময়টিতে লিখেছিল, চীনবিরোধী নীতিতে বাইডেন প্রশাসনের কাছে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হলেও মোদির অধীনে দেশটি একটি হস্তক্ষেপকারী এবং আক্রমণাত্মক জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
এ ধরনের সূক্ষ্ম অভিযোগ এবং রাশিয়ার সঙ্গে ওঠাবসার প্রতিক্রিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের প্রতি কিছু কঠোর মনোভব দেখিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ উদারপন্থী ও বিশ্ববাদী নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষ করে, কানাডায় হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা গুরপত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার জন্য সরাসরি ভারতকে দায়ী করেছিল দেশ দুটি।
ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সাবেক ডেপুটি চিফ অব মিশন জন ড্যানিলোভিজ দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করলেও এই অঞ্চলে ভারতের প্রভাব কমানোও তাঁদের লক্ষ্য ছিল। সম্ভবত বাংলাদেশ ইস্যুতে বিষয়টি সবচেয়ে স্পষ্ট ছিল।
এই বিষয়ে এক নিবন্ধে ভারতীয় হিন্দু পোস্টের বক্তব্যটি হলো—বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন তথা শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। তাই বাংলাদেশ নীতিতে ভারতের পরামর্শ মেনে চলার মার্কিন দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ওই নিবন্ধে। বলা হয়েছে, এমন যদি হতোই, তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে মাথা না ঘামানোর পরামর্শ দিত না ভারত। কিংবা শেখ হাসিনাও অভিযোগ আনতেন না যে সামরিক ঘাঁটি পাওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।
আশঙ্কার বিষয় হলো—হিন্দু পোস্টের নিবন্ধটিতে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা নীতি এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে দিতে পারে বলে মত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ইউক্রেনের মতো হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছে।
১৫ আগস্ট মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বাংলাদেশ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ও মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এই প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য ছিল—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রেখেছিল ভারত। গত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতের বিরোধিতা ওই চাপেরই অংশ ছিল।
ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, সেই সময়টিতে ভারতীয় কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রকে এটাই জানিয়ে দিয়েছিল যে একটি সুষ্ঠু ও উন্মুক্ত নির্বাচন হলে বাংলাদেশ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর একটি প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হবে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত সরকারের এক উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘আমেরিকানদের সঙ্গে প্রচুর কথা হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম—এটি আমাদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয় এবং আমরা আপনাদের কৌশলগত অংশীদার হতে পারব না, যদি আমাদের কিছু কৌশলগত ঐকমত্য না থাকে।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা সেই সময়টিকে বাংলাদেশ নিয়ে কিছুটা নরম অবস্থানে থাকার কারণ হিসেবে ভারতীয় চাপের প্রভাবকে মানতে নারাজ। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধ কঠিন পদক্ষেপ না নেওয়ার বিষয়টিকে একটি ‘ভারসাম্যমূলক কাজ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে এই বিষয়টি যে সেই সময় প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিকে ক্ষুব্ধ করেছিল, সেটিও উল্লেখ করেন তাঁরা।
ওয়াশিংটন পোস্ট সেই সময়টিতে লিখেছিল, চীনবিরোধী নীতিতে বাইডেন প্রশাসনের কাছে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হলেও মোদির অধীনে দেশটি একটি হস্তক্ষেপকারী এবং আক্রমণাত্মক জাতীয়তাবাদী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
এ ধরনের সূক্ষ্ম অভিযোগ এবং রাশিয়ার সঙ্গে ওঠাবসার প্রতিক্রিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের প্রতি কিছু কঠোর মনোভব দেখিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ উদারপন্থী ও বিশ্ববাদী নীতিনির্ধারকেরা। বিশেষ করে, কানাডায় হারদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে শিখ নেতা গুরপত সিং পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার জন্য সরাসরি ভারতকে দায়ী করেছিল দেশ দুটি।
ওয়াশিংটন পোস্টের কাছে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সাবেক ডেপুটি চিফ অব মিশন জন ড্যানিলোভিজ দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করলেও এই অঞ্চলে ভারতের প্রভাব কমানোও তাঁদের লক্ষ্য ছিল। সম্ভবত বাংলাদেশ ইস্যুতে বিষয়টি সবচেয়ে স্পষ্ট ছিল।
এই বিষয়ে এক নিবন্ধে ভারতীয় হিন্দু পোস্টের বক্তব্যটি হলো—বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন তথা শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। তাই বাংলাদেশ নীতিতে ভারতের পরামর্শ মেনে চলার মার্কিন দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে ওই নিবন্ধে। বলা হয়েছে, এমন যদি হতোই, তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে মাথা না ঘামানোর পরামর্শ দিত না ভারত। কিংবা শেখ হাসিনাও অভিযোগ আনতেন না যে সামরিক ঘাঁটি পাওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।
আশঙ্কার বিষয় হলো—হিন্দু পোস্টের নিবন্ধটিতে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা নীতি এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে দিতে পারে বলে মত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ইউক্রেনের মতো হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছে।
ড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরো জাতি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তাঁকে পরিষ্কারভাবে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে যে, তিনি কীভাবে দেশ শাসন করবেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
১০ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১ দিন আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
২ দিন আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
৩ দিন আগে