অনলাইন ডেস্ক
সদ্য নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর চার বছর পর লাখ লাখ আমেরিকানের সমর্থনে ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে যাচ্ছেন।
গত নির্বাচনে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করা, ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা এবং ব্যবসায়িক জালিয়াতি সম্পর্কিত নানা ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্রাম্পে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের আভাস দেয়। বিশেষ করে, অর্থনীতি এবং অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের শক্তিশালী আবেদন দেখা গেছে এবার।
এ বিষয়ে বিবিসির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের বক্তৃতাগুলো ছিল উসকানিমূলক এবং প্রতিশোধ পরায়ণ। তবে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে তাঁর মনোযোগ অনেক ভোটারকেই অনুপ্রাণিত করেছিল।
দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশগুলোতে ট্রাম্প একটি প্রশ্ন প্রায়ই করেছেন। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বারবার প্রশ্ন রেখেছেন—‘আপনি কি দুই বছর আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন?’
ট্রাম্পের এই প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ভোটারের মনেই ভাবনার উদ্রেক করেছিল। বিশেষ করে যারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতিতে করোনা মহামারির প্রভাবে হতাশ ছিলেন। তাঁরা তাদের আর্থিক সংগ্রামের জন্য একদিকে যেমন বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেছেন, অন্যদিকে অনুভব করেছেন—ট্রাম্পের নীতিগুলো তাঁদের জীবিকার জন্য আরও ভালো ছিল।
অভিবাসনও যুক্তরাষ্ট্রে একটি বড় ইস্যু হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে, দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ভোটারদের মাঝে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে। বাইডেনের আমলে এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প বরাবরই কড়া ভাষায় কথা বলে এসেছেন। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার বিষয়টি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম কৌশল ছিল।
ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগানটিও এবার ভোটারদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বাইডেন প্রশাসনের বিদেশে পাঠানো মার্কিন সাহায্য নিয়ে, বিশেষ করে ইউক্রেনকে বিপুল সাহায্য ও সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে অসংখ্য আমেরিকান হতাশ ছিলেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, বিদেশের বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
ভোটারদের পরিবর্তনের এই আকাঙ্ক্ষাই ট্রাম্পের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কারণ অনেক ভোটার মনে করেছিলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অধীনে বাইডেনের বিদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর নীতি একই রকম থেকে যাবে।
আরেকটি বিষয় হলো—ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং দ্বিতীয় মেয়াদের মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক রূপান্তর অনেক স্পষ্ট ছিল। ২০১৬ সালে তিনি অভিজ্ঞ কিছু উপদেষ্টা দ্বারা পরিবেষ্টিত রাজনীতির বাইরের একজন মানুষ ছিলেন। তবে ২০২৪ সাল নাগাদ তিনি দলীয় এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক বলয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত এবারের নির্বাচনটি মার্কিন ভোটারদের সামনে দুটি দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছিল। এর একটি হলো, ট্রাম্পের ‘আমেরিকাকে আবার মহান করার’ প্রতিশ্রুতি। আর দ্বিতীয়টি হলো, ট্রাম্পের নেতৃত্বে গণতন্ত্র হুমকির বিষয়ে কমলা হ্যারিসের সতর্কতা।
এ অবস্থায় ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব উভয়ই তার নীতির ফলাফলের মুখোমুখি হবে। শুল্ক, বিদেশি যুদ্ধ ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অপ্রত্যাশিত নেতৃত্বের শৈলী রয়েছে।
সদ্য নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর চার বছর পর লাখ লাখ আমেরিকানের সমর্থনে ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে যাচ্ছেন।
গত নির্বাচনে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করা, ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা এবং ব্যবসায়িক জালিয়াতি সম্পর্কিত নানা ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্রাম্পে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের আভাস দেয়। বিশেষ করে, অর্থনীতি এবং অভিবাসন নিয়ে উদ্বিগ্ন ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের শক্তিশালী আবেদন দেখা গেছে এবার।
এ বিষয়ে বিবিসির এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের বক্তৃতাগুলো ছিল উসকানিমূলক এবং প্রতিশোধ পরায়ণ। তবে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে তাঁর মনোযোগ অনেক ভোটারকেই অনুপ্রাণিত করেছিল।
দেখা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশগুলোতে ট্রাম্প একটি প্রশ্ন প্রায়ই করেছেন। ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বারবার প্রশ্ন রেখেছেন—‘আপনি কি দুই বছর আগের চেয়ে এখন ভালো আছেন?’
ট্রাম্পের এই প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্রের অনেক ভোটারের মনেই ভাবনার উদ্রেক করেছিল। বিশেষ করে যারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনীতিতে করোনা মহামারির প্রভাবে হতাশ ছিলেন। তাঁরা তাদের আর্থিক সংগ্রামের জন্য একদিকে যেমন বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেছেন, অন্যদিকে অনুভব করেছেন—ট্রাম্পের নীতিগুলো তাঁদের জীবিকার জন্য আরও ভালো ছিল।
অভিবাসনও যুক্তরাষ্ট্রে একটি বড় ইস্যু হিসেবে রয়ে গেছে। বিশেষ করে, দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ভোটারদের মাঝে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ রয়েছে। বাইডেনের আমলে এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প বরাবরই কড়া ভাষায় কথা বলে এসেছেন। অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার বিষয়টি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম কৌশল ছিল।
ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগানটিও এবার ভোটারদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বাইডেন প্রশাসনের বিদেশে পাঠানো মার্কিন সাহায্য নিয়ে, বিশেষ করে ইউক্রেনকে বিপুল সাহায্য ও সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে অসংখ্য আমেরিকান হতাশ ছিলেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, বিদেশের বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
ভোটারদের পরিবর্তনের এই আকাঙ্ক্ষাই ট্রাম্পের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কারণ অনেক ভোটার মনে করেছিলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের অধীনে বাইডেনের বিদেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর নীতি একই রকম থেকে যাবে।
আরেকটি বিষয় হলো—ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং দ্বিতীয় মেয়াদের মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক রূপান্তর অনেক স্পষ্ট ছিল। ২০১৬ সালে তিনি অভিজ্ঞ কিছু উপদেষ্টা দ্বারা পরিবেষ্টিত রাজনীতির বাইরের একজন মানুষ ছিলেন। তবে ২০২৪ সাল নাগাদ তিনি দলীয় এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক বলয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত এবারের নির্বাচনটি মার্কিন ভোটারদের সামনে দুটি দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছিল। এর একটি হলো, ট্রাম্পের ‘আমেরিকাকে আবার মহান করার’ প্রতিশ্রুতি। আর দ্বিতীয়টি হলো, ট্রাম্পের নেতৃত্বে গণতন্ত্র হুমকির বিষয়ে কমলা হ্যারিসের সতর্কতা।
এ অবস্থায় ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব উভয়ই তার নীতির ফলাফলের মুখোমুখি হবে। শুল্ক, বিদেশি যুদ্ধ ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অপ্রত্যাশিত নেতৃত্বের শৈলী রয়েছে।
চলমান ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া একটি নজিরবিহীন আইনি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন যখন ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দোষ প্রমাণিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেভারতের যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হলেও ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নয়া দিল্লির জন্য বেশ কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে, বাণিজ্য, অভিবাসন, সামরিক সহযোগিতা এবং কূটনীতি—এই চারটি ক্ষেত্রে। ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে একাধিকবার বন্ধু বলে সম্বোধন করলেও সামগ্রিকভাবে ট্রাম্প
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে। ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে বোদ্ধাদের নতুন করে ভাবতে হবে এ বিষয়ে কোনো সন্দ
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নীতি গ্রহণ করেছিলেন। সেটা হলো সবার আগে আমেরিকার স্বার্থ (আমেরিকা ফার্স্ট)। কিন্তু এরপর যেটা দেখা গেল, সেটা হলো তাঁর বিশৃঙ্খল পররাষ্ট্রনীতি। এটা ট্রাম্পের সহযোগী ও উপদেষ্টারা খুব ভালোভাবেই জানেন।
৫ দিন আগে