অনলাইন ডেস্ক
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সংসারের প্রধান উপার্জনকারী হিসেবে পুরুষকেই বিবেচনা করা হয়। তবে এমনও দেখা যায়-কোনো কোনো পরিবারে স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বেশি আয় করেন। শুধু এ কারণেই যেসব পরিবারে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে-তার জন্য একদিকে যেমন স্ত্রীর অহংকার দায়ী, একইভাবে দায়ী স্বামীর হীনমন্যতাও।
গবেষণা বলছে, আয় বেশি হলে নারীর অহংকার আর কম হলে পুরুষের হীনমন্যতা এখন অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে। কারণ দিন যত যাচ্ছে স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করা নারীদের হারও তত বাড়ছে। ৫০ বছর আগের পরিসংখ্যান বর্তমানের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করা নারীদের হার অন্তত তিন গুন বেড়েছে। বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এ ধরনের ঘটনায় তাই বিচ্ছেদের হারও আগের চেয়ে কমে যাচ্ছে।
গবেষণাটির আলোকে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন পত্রিকাটির নিয়মিত লেখিকা জুলিয়া কার্পেন্টার। গবেষণাটি করেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন এবং পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির দুই সমাজবিজ্ঞানী ক্রিস্টিন শোয়ার্টজ এবং পিলার গোনালনসপন্স।
গবেষণায় বলা হয়েছে-১৯৬০ থেকে ৭০ দশকে যেসব পরিবারে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর আয় বেশি হয়ে যেত সেসব পরিবারে অন্য পরিবারগুলোর তুলনায় বিচ্ছেদের হার ছিল ৭০ শতাংশ বেশি। তবে ৯০-এর দশকেই এই এ ধরনের বিচ্ছেদের হার অনেক কমে যায়। সেসময় সাধারণ পরিবারগুলোর তুলনায় স্ত্রী বেশি আয় করা পরিবারগুলোর বিচ্ছেদের হার মাত্র ৪ শতাংশ বেশি ছিল।
ক্রিস্টিন শোয়ার্টজ মনে করেন, স্ত্রী বেশি আয় করা পরিবারগুলোর দাম্পত্য বিচ্ছেদ কমে যাওয়ার পেছনে সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় ‘স্বামীর আয় কম’ থাকার বিষয়টিকে এখন আর কেউ কলঙ্কজনক মনে করছে না। তা ছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দম্পতিরা যত বেশি সম্ভব আয় করার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
গবেষণাটি করতে গিয়ে বর্তমান সময়ে স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বেশি আয় করছে এমন বেশ কয়েকটি পরিবারের মতামত নেন গবেষকেরা। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করা ৩৫ বছর বয়সী নারী সারাহ ও’ব্রায়ান জানান, পাঁচ বছর আগে তিনি স্বামীর আয়কে ছাপিয়ে গেছেন। শুরুর দিকে বিষয়টি দাম্পত্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন আশঙ্কা করেছিলেন সারাহ। সেই আশঙ্কাটি স্বামী ডেভিড মারগুইয়ার সঙ্গে শেয়ারও করেন তিনি। তবে ডেভিড বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন-‘আমি তোমার জন্য গর্ববোধ করি সারাহ।’
গবেষকদের কাছে এ বিষয়ে ডেভিড বলেন, ‘আমাকেই বেশি আয় করতে হবে-এমন কোনো ইগো আমার নেই। সারাহর বেশি আয় মানে আমাদের বেশি আয়। আর আমার বেশি আয় মানেও আমাদের বেশি আয়।’
সারাহ ও ডেভিডের মতো অসংখ্য পরিবার বর্তমানে একই ধরনের মানসিকতা ধারণ করেন।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুসারে, বিগত ৫০ বছরে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বেশি আয় থাকার ঘটনা তিনগুণ বেড়েছে।
গবেষণাটির বিষয়ে সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জোয়ান্না রাইখ বলেন, ‘স্ত্রীর আয় বেশি হয়ে গেলে তা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে-এমন চিন্তা করেন অসংখ্য পুরুষ।’
অন্যদিকে এমনও দেখা যায়-কম আয় করা নারীদের তুলনায় উচ্চ আয় ও মর্যাদা ভোগ করা নারীরা বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটান। এ ছাড়া নিজের চেয়ে কম আয় করে এমন পুরুষকে বিয়ে করতেও চান না অসংখ্য নারী।
এ বিষয়ে জোয়ান্না রাইখ বলেন, ‘এ ধরনের মানসিকতা বর্তমানে অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে।’
এদিকে, স্ত্রীর বেশি আয়ের বিষয়টি বর্তমানে স্বাভাবিক ঘটনা হলেও কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য এখনো তীব্র। ২০২২ সালে পিউ রিসার্চ পরিচালিত এক বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে, একই কাজ করেও নারীরা পুরুষের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেতন কম পাচ্ছেন।
ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল অবলম্বণে পরাগ মাঝি
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই সংসারের প্রধান উপার্জনকারী হিসেবে পুরুষকেই বিবেচনা করা হয়। তবে এমনও দেখা যায়-কোনো কোনো পরিবারে স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বেশি আয় করেন। শুধু এ কারণেই যেসব পরিবারে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে-তার জন্য একদিকে যেমন স্ত্রীর অহংকার দায়ী, একইভাবে দায়ী স্বামীর হীনমন্যতাও।
গবেষণা বলছে, আয় বেশি হলে নারীর অহংকার আর কম হলে পুরুষের হীনমন্যতা এখন অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে। কারণ দিন যত যাচ্ছে স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করা নারীদের হারও তত বাড়ছে। ৫০ বছর আগের পরিসংখ্যান বর্তমানের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে স্বামীর চেয়ে বেশি আয় করা নারীদের হার অন্তত তিন গুন বেড়েছে। বিষয়টি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এ ধরনের ঘটনায় তাই বিচ্ছেদের হারও আগের চেয়ে কমে যাচ্ছে।
গবেষণাটির আলোকে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নালে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন পত্রিকাটির নিয়মিত লেখিকা জুলিয়া কার্পেন্টার। গবেষণাটি করেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন এবং পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির দুই সমাজবিজ্ঞানী ক্রিস্টিন শোয়ার্টজ এবং পিলার গোনালনসপন্স।
গবেষণায় বলা হয়েছে-১৯৬০ থেকে ৭০ দশকে যেসব পরিবারে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর আয় বেশি হয়ে যেত সেসব পরিবারে অন্য পরিবারগুলোর তুলনায় বিচ্ছেদের হার ছিল ৭০ শতাংশ বেশি। তবে ৯০-এর দশকেই এই এ ধরনের বিচ্ছেদের হার অনেক কমে যায়। সেসময় সাধারণ পরিবারগুলোর তুলনায় স্ত্রী বেশি আয় করা পরিবারগুলোর বিচ্ছেদের হার মাত্র ৪ শতাংশ বেশি ছিল।
ক্রিস্টিন শোয়ার্টজ মনে করেন, স্ত্রী বেশি আয় করা পরিবারগুলোর দাম্পত্য বিচ্ছেদ কমে যাওয়ার পেছনে সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় ‘স্বামীর আয় কম’ থাকার বিষয়টিকে এখন আর কেউ কলঙ্কজনক মনে করছে না। তা ছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দম্পতিরা যত বেশি সম্ভব আয় করার বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
গবেষণাটি করতে গিয়ে বর্তমান সময়ে স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বেশি আয় করছে এমন বেশ কয়েকটি পরিবারের মতামত নেন গবেষকেরা। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করা ৩৫ বছর বয়সী নারী সারাহ ও’ব্রায়ান জানান, পাঁচ বছর আগে তিনি স্বামীর আয়কে ছাপিয়ে গেছেন। শুরুর দিকে বিষয়টি দাম্পত্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এমন আশঙ্কা করেছিলেন সারাহ। সেই আশঙ্কাটি স্বামী ডেভিড মারগুইয়ার সঙ্গে শেয়ারও করেন তিনি। তবে ডেভিড বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন-‘আমি তোমার জন্য গর্ববোধ করি সারাহ।’
গবেষকদের কাছে এ বিষয়ে ডেভিড বলেন, ‘আমাকেই বেশি আয় করতে হবে-এমন কোনো ইগো আমার নেই। সারাহর বেশি আয় মানে আমাদের বেশি আয়। আর আমার বেশি আয় মানেও আমাদের বেশি আয়।’
সারাহ ও ডেভিডের মতো অসংখ্য পরিবার বর্তমানে একই ধরনের মানসিকতা ধারণ করেন।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুসারে, বিগত ৫০ বছরে স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বেশি আয় থাকার ঘটনা তিনগুণ বেড়েছে।
গবেষণাটির বিষয়ে সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জোয়ান্না রাইখ বলেন, ‘স্ত্রীর আয় বেশি হয়ে গেলে তা নিজের ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে-এমন চিন্তা করেন অসংখ্য পুরুষ।’
অন্যদিকে এমনও দেখা যায়-কম আয় করা নারীদের তুলনায় উচ্চ আয় ও মর্যাদা ভোগ করা নারীরা বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটান। এ ছাড়া নিজের চেয়ে কম আয় করে এমন পুরুষকে বিয়ে করতেও চান না অসংখ্য নারী।
এ বিষয়ে জোয়ান্না রাইখ বলেন, ‘এ ধরনের মানসিকতা বর্তমানে অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে।’
এদিকে, স্ত্রীর বেশি আয়ের বিষয়টি বর্তমানে স্বাভাবিক ঘটনা হলেও কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বেতন বৈষম্য এখনো তীব্র। ২০২২ সালে পিউ রিসার্চ পরিচালিত এক বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে, একই কাজ করেও নারীরা পুরুষের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেতন কম পাচ্ছেন।
ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল অবলম্বণে পরাগ মাঝি
গত সেপ্টেম্বরে ভ্লাদিভস্টকের একটি অর্থনৈতিক ফোরামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। এ বিষয়ে পরে তিনি একটি উপহাসমূলক হাসি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেআব্রাহাম অ্যাকর্ডস মূলত একটি চটকদার বিষয়। এতে বাস্তব, স্থায়ী আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুই এতে ছিল না। যেসব রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করেছে তারা তা করেছে—কারণ, তারা ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনে প্রভাব বিস্তারের পথ হিসেবে দেখে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইসরায়েলের ওপর মার
৮ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেখেয়ালি, সেটা আগা থেকেই সবার জানা। তবে দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এসেও তিনি অসংলগ্ন, অশ্লীল, স্বৈরতান্ত্রিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকে অন্তত একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে একটি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
৯ দিন আগেএবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত
৯ দিন আগে