অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচনী প্রচারণায় সব সময় রাহুল গান্ধীকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ তাঁর দল বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতা। কথায় কথায় রাহুলকেই মোদির বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। এই যেমন গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) তেলেঙ্গানায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেতা ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুংকার ছাড়লেন—এবারের লোকসভা ভোট রাহুল গান্ধী বনাম নরেন্দ্র মোদির।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘এই নির্বাচন জিহাদ বনাম উন্নয়নের। নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় গ্যারান্টি বনাম রাহুল গান্ধীর চীনা গ্যারান্টির। বিরোধীদের তোষণের রাজনীতি বনাম নরেন্দ্র মোদির সুশাসনের।’
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী ১৩ মে তেলেঙ্গানা রাজ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তাই ভোটের চার দিন আগে কংগ্রেস শাসিত দক্ষিণের ওই রাজ্যটিতে গিয়ে এবারের নির্বাচনকে নতুন করে আবারও ‘রাহুল বনাম মোদি’ ট্যাগ দিয়ে এলেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবারের সমাবেশে রাহুল গান্ধীকে ‘রাহুল বাবা’ বলেও উপহাস করেন তিনি। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত কয়েক মাস ধরেই রাহুলকে ‘শাহজাদা’ কিংবা ‘রাজপুত্র’ সম্বোধন করে ব্যঙ্গ করছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি।
অথচ এবারের নির্বাচন শুধু বিজেপি বনাম কংগ্রেসের নয়, বরং বিরোধী দলগুলোর একটি বৃহত্তর জোটের (ইন্ডিয়া জোট) সঙ্গে লড়াই করছে মোদির দল। তারপরও রাহুল গান্ধী এবং তাঁর দল কংগ্রেসকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করছে বিজেপি শিবির। আর তা করতে গিয়ে বিজেপি মরিয়া হয়ে কংগ্রেস সম্পর্কে অনেক ভিত্তিহীন প্রচার শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিরোধী জোটের নেতারা। ভিত্তিহীন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তারা নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ সব মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। হিন্দু নারীর মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আবারও গো-হত্যা শুরু হবে। বিজেপি এমনও প্রচার করছে, কারও দুটো গরু থাকলে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে একটা কেড়ে নেবে। উত্তরপ্রদেশে প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বাবরি নামের তালা ঝুলিয়ে দেবে।
কংগ্রেস সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরির লাগাতার চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানায় গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন—এবারও রাহুল এবং শত বছরের পুরোনো দল কংগ্রেসকেই তাঁরা প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে বেছে নিয়েছেন। বিরোধী জোট সুনির্দিষ্ট কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বিজেপি এটাই বোঝাতে চাইছে যে, মোদি পরাজিত হলে রাহুলই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বারবার রাহুলকে সামনে টেনে আনা এবং নির্বাচনকে ‘রাহুল বনাম মোদি’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়ে বিরোধী জোটের শরিক দলগুলোর অনেক নেতাই মনে করেন, এটা বিজেপির পুরোনো কৌশল। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও এই কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনে জয় পেয়েছিল বিজেপি।
আরেকটি বিষয় হলো—রাহুলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরানোর পরিকল্পনাও এই কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এ বিষয়ে কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতাও বলেছেন, ‘রাহুলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিজেপি আসলে বিরোধী শিবিরের বোঝাপড়া ভেস্তে দিয়ে চায়। ভাঙন ধরাতে চায় ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর ‘ইন্ডিয়া’ জোট জন্ম নেওয়ার আগেই একাধিক শরিক নেতা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন—বিজেপি যেন ভোটকে ‘রাহুল বনাম মোদি’ করে তুলতে না পারে। এমন সিদ্ধান্ত থেকেই বিরোধী জোট এখন পর্যন্ত কাউকেই প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে তুলে ধরেনি। কংগ্রেসও এই বিষয়ে অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে। এবারই সবচেয়ে কম আসনে লড়াই করছে দলটি। ১০১টি আসন তারা শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দিয়েছে।
তবে বিজেপি মরিয়া হয়ে নেমেছে এই নির্বাচনকেও ‘রাহুল বনাম মোদি’ হিসাবে তুলে ধরতে। কারণ বিজেপি নেতারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাহুলের তুলনায় মোদি কয়েকগুণ এগিয়ে। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্বের ইস্যুতে মানুষ আবারও বিজেপিকেই বেছে নেবে।
নির্বাচনী প্রচারণায় সব সময় রাহুল গান্ধীকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ তাঁর দল বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতা। কথায় কথায় রাহুলকেই মোদির বিপরীতে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। এই যেমন গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) তেলেঙ্গানায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেতা ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুংকার ছাড়লেন—এবারের লোকসভা ভোট রাহুল গান্ধী বনাম নরেন্দ্র মোদির।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘এই নির্বাচন জিহাদ বনাম উন্নয়নের। নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় গ্যারান্টি বনাম রাহুল গান্ধীর চীনা গ্যারান্টির। বিরোধীদের তোষণের রাজনীতি বনাম নরেন্দ্র মোদির সুশাসনের।’
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী ১৩ মে তেলেঙ্গানা রাজ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তাই ভোটের চার দিন আগে কংগ্রেস শাসিত দক্ষিণের ওই রাজ্যটিতে গিয়ে এবারের নির্বাচনকে নতুন করে আবারও ‘রাহুল বনাম মোদি’ ট্যাগ দিয়ে এলেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবারের সমাবেশে রাহুল গান্ধীকে ‘রাহুল বাবা’ বলেও উপহাস করেন তিনি। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত কয়েক মাস ধরেই রাহুলকে ‘শাহজাদা’ কিংবা ‘রাজপুত্র’ সম্বোধন করে ব্যঙ্গ করছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি।
অথচ এবারের নির্বাচন শুধু বিজেপি বনাম কংগ্রেসের নয়, বরং বিরোধী দলগুলোর একটি বৃহত্তর জোটের (ইন্ডিয়া জোট) সঙ্গে লড়াই করছে মোদির দল। তারপরও রাহুল গান্ধী এবং তাঁর দল কংগ্রেসকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করছে বিজেপি শিবির। আর তা করতে গিয়ে বিজেপি মরিয়া হয়ে কংগ্রেস সম্পর্কে অনেক ভিত্তিহীন প্রচার শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিরোধী জোটের নেতারা। ভিত্তিহীন বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ করে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তারা নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ সব মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে। হিন্দু নারীর মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে আবারও গো-হত্যা শুরু হবে। বিজেপি এমনও প্রচার করছে, কারও দুটো গরু থাকলে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে একটা কেড়ে নেবে। উত্তরপ্রদেশে প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে অযোধ্যার রাম মন্দিরে বাবরি নামের তালা ঝুলিয়ে দেবে।
কংগ্রেস সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে আতঙ্ক তৈরির লাগাতার চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানায় গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন—এবারও রাহুল এবং শত বছরের পুরোনো দল কংগ্রেসকেই তাঁরা প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে বেছে নিয়েছেন। বিরোধী জোট সুনির্দিষ্ট কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও বিজেপি এটাই বোঝাতে চাইছে যে, মোদি পরাজিত হলে রাহুলই হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বারবার রাহুলকে সামনে টেনে আনা এবং নির্বাচনকে ‘রাহুল বনাম মোদি’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়ে বিরোধী জোটের শরিক দলগুলোর অনেক নেতাই মনে করেন, এটা বিজেপির পুরোনো কৌশল। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও এই কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচনে জয় পেয়েছিল বিজেপি।
আরেকটি বিষয় হলো—রাহুলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরানোর পরিকল্পনাও এই কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এ বিষয়ে কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতাও বলেছেন, ‘রাহুলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিজেপি আসলে বিরোধী শিবিরের বোঝাপড়া ভেস্তে দিয়ে চায়। ভাঙন ধরাতে চায় ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর ‘ইন্ডিয়া’ জোট জন্ম নেওয়ার আগেই একাধিক শরিক নেতা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন—বিজেপি যেন ভোটকে ‘রাহুল বনাম মোদি’ করে তুলতে না পারে। এমন সিদ্ধান্ত থেকেই বিরোধী জোট এখন পর্যন্ত কাউকেই প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে তুলে ধরেনি। কংগ্রেসও এই বিষয়ে অনড় অবস্থান ধরে রেখেছে। এবারই সবচেয়ে কম আসনে লড়াই করছে দলটি। ১০১টি আসন তারা শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দিয়েছে।
তবে বিজেপি মরিয়া হয়ে নেমেছে এই নির্বাচনকেও ‘রাহুল বনাম মোদি’ হিসাবে তুলে ধরতে। কারণ বিজেপি নেতারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাহুলের তুলনায় মোদি কয়েকগুণ এগিয়ে। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্বের ইস্যুতে মানুষ আবারও বিজেপিকেই বেছে নেবে।
গত সেপ্টেম্বরে ভ্লাদিভস্টকের একটি অর্থনৈতিক ফোরামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। এ বিষয়ে পরে তিনি একটি উপহাসমূলক হাসি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগেআব্রাহাম অ্যাকর্ডস মূলত একটি চটকদার বিষয়। এতে বাস্তব, স্থায়ী আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুই এতে ছিল না। যেসব রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করেছে তারা তা করেছে—কারণ, তারা ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনে প্রভাব বিস্তারের পথ হিসেবে দেখে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইসরায়েলের ওপর মার
৮ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেখেয়ালি, সেটা আগা থেকেই সবার জানা। তবে দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এসেও তিনি অসংলগ্ন, অশ্লীল, স্বৈরতান্ত্রিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকে অন্তত একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে একটি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
৯ দিন আগেএবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত
৯ দিন আগে