নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপে অনেক আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত শূন্য হাতে দেশে ফিরছেন যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়েরা। গত রোববার তাঁরা সুইডেনের কাছে হেরে রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেই বিদায় নিয়েছে। কিন্তু নিজ দেশের এমন পরাজয়কে রীতিমতো উদ্যাপন করলেন রক্ষণশীল কিছু মার্কিন গণমাধ্যম তারকা এবং ব্যক্তিত্ব। এসব ব্যক্তির মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের খেলায় গোলশূন্য ড্র হয়। পরে অতিরিক্ত সময়েও কেউ কাউকে গোল দিতে পারেনি। এ অবস্থায় খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র।
এমন হারকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। তবে টাইব্রেকারে দলের অধিনায়ক মেগান র্যাপিনোর গোল মিস করা তাঁকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে।
নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সুইডেনের কাছে মার্কিন দলের পরাজয়—কুটিল জো বাইডেনের অধীনে আমাদের এক সময়ের মহান জাতির সঙ্গে যা ঘটছে সম্পূর্ণ তার প্রতীক।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদের অনেক খেলোয়াড় আমেরিকার সঙ্গে প্রকাশ্যে শত্রুতা করেছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এ ধরনের আচরণ কখনোই হয়নি, এমনকি এর ধারে-কাছেও যায়নি।’
মেগান র্যাপিনোর গোল মিসের প্রসঙ্গ টেনে টিপ্পনীর সুরে তিনি লিখেছেন, ‘ভালো শট ছিল মেগান। নরকে যাচ্ছে আমেরিকা!!!’
র্যাপিনোকে শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পই লক্ষ্যবস্তু করেননি। জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদ উপস্থাপিকা ম্যাগি ক্যালিও তাঁর পডকাস্টে র্যাপিনোকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময়ের দলনেতা এবং অধিকারকর্মী মেগান র্যাপিনো গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি কিক মিস করে একা একাই হাসছিলেন। খেলার শুরু থেকেই বিরক্তিকর পারফর্ম করেছে দল।’
ম্যাগি আরও বলেন, ‘তারা যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি পরেছিল। কিন্তু তারা আমাদের প্রত্যাশাকে সম্মান করতে অস্বীকার করেছে। আর সেই জন্যই তারা হেরেছে বলে আমি রোমাঞ্চিত।’
নাম উল্লেখ না করলেও র্যাপিনোকে উদ্দেশ করে ম্যাগি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে, আপনি থেমে গেছেন। আপনি আমেরিকা সমর্থন করেন না, আমি আপনাকে সমর্থন করি না।’
একই রকম কায়দায় মার্কিন দল ও মেগান র্যাপিনোর সমালোচনা করেছেন ফক্স নিউজের সঞ্চালক লরা ইনগ্রাহামও।
মেগান র্যাপিনোকে এভাবে ট্রাম্পসহ রক্ষণশীলদের আক্রমণের কিছু কারণও রয়েছে। ২০০৬ সাল থেকেই মার্কিন নারী ফুটবল দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন র্যাপিনো। এই সময়ের মধ্যে দুটি অলিম্পিক পদকসহ দুটি বিশ্বকাপও জয় করেছে মার্কিন দল।
মাঠের বাইরে সমকামিতা এবং নারীর সমানাধিকার নিয়ে বেশ সক্রিয় র্যাপিনো। এ ছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলেরও কড়া সমালোচক। মার্কিন দল গত বিশ্বকাপ যখন জয় করে তখন ট্রাম্প ছিলেন প্রেসিডেন্ট। দলনেতা হিসেবে সাংবাদিকেরা র্যাপিনোর কাছে বিজয়ের খবর নিয়ে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প বসবাস করছেন এমন একটি হোয়াইট হাউসে যাওয়ার প্রস্তাব তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন র্যাপিনো।
নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপে অনেক আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত শূন্য হাতে দেশে ফিরছেন যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়েরা। গত রোববার তাঁরা সুইডেনের কাছে হেরে রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেই বিদায় নিয়েছে। কিন্তু নিজ দেশের এমন পরাজয়কে রীতিমতো উদ্যাপন করলেন রক্ষণশীল কিছু মার্কিন গণমাধ্যম তারকা এবং ব্যক্তিত্ব। এসব ব্যক্তির মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এ বিষয়ে ইয়াহু নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের খেলায় গোলশূন্য ড্র হয়। পরে অতিরিক্ত সময়েও কেউ কাউকে গোল দিতে পারেনি। এ অবস্থায় খেলা টাইব্রেকারে গড়ালে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র।
এমন হারকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেছেন ট্রাম্প। তবে টাইব্রেকারে দলের অধিনায়ক মেগান র্যাপিনোর গোল মিস করা তাঁকে দারুণ আনন্দ দিয়েছে।
নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ’-এ ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সুইডেনের কাছে মার্কিন দলের পরাজয়—কুটিল জো বাইডেনের অধীনে আমাদের এক সময়ের মহান জাতির সঙ্গে যা ঘটছে সম্পূর্ণ তার প্রতীক।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদের অনেক খেলোয়াড় আমেরিকার সঙ্গে প্রকাশ্যে শত্রুতা করেছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এ ধরনের আচরণ কখনোই হয়নি, এমনকি এর ধারে-কাছেও যায়নি।’
মেগান র্যাপিনোর গোল মিসের প্রসঙ্গ টেনে টিপ্পনীর সুরে তিনি লিখেছেন, ‘ভালো শট ছিল মেগান। নরকে যাচ্ছে আমেরিকা!!!’
র্যাপিনোকে শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পই লক্ষ্যবস্তু করেননি। জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদ উপস্থাপিকা ম্যাগি ক্যালিও তাঁর পডকাস্টে র্যাপিনোকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময়ের দলনেতা এবং অধিকারকর্মী মেগান র্যাপিনো গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি কিক মিস করে একা একাই হাসছিলেন। খেলার শুরু থেকেই বিরক্তিকর পারফর্ম করেছে দল।’
ম্যাগি আরও বলেন, ‘তারা যুক্তরাষ্ট্রের জার্সি পরেছিল। কিন্তু তারা আমাদের প্রত্যাশাকে সম্মান করতে অস্বীকার করেছে। আর সেই জন্যই তারা হেরেছে বলে আমি রোমাঞ্চিত।’
নাম উল্লেখ না করলেও র্যাপিনোকে উদ্দেশ করে ম্যাগি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে, আপনি থেমে গেছেন। আপনি আমেরিকা সমর্থন করেন না, আমি আপনাকে সমর্থন করি না।’
একই রকম কায়দায় মার্কিন দল ও মেগান র্যাপিনোর সমালোচনা করেছেন ফক্স নিউজের সঞ্চালক লরা ইনগ্রাহামও।
মেগান র্যাপিনোকে এভাবে ট্রাম্পসহ রক্ষণশীলদের আক্রমণের কিছু কারণও রয়েছে। ২০০৬ সাল থেকেই মার্কিন নারী ফুটবল দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন র্যাপিনো। এই সময়ের মধ্যে দুটি অলিম্পিক পদকসহ দুটি বিশ্বকাপও জয় করেছে মার্কিন দল।
মাঠের বাইরে সমকামিতা এবং নারীর সমানাধিকার নিয়ে বেশ সক্রিয় র্যাপিনো। এ ছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলেরও কড়া সমালোচক। মার্কিন দল গত বিশ্বকাপ যখন জয় করে তখন ট্রাম্প ছিলেন প্রেসিডেন্ট। দলনেতা হিসেবে সাংবাদিকেরা র্যাপিনোর কাছে বিজয়ের খবর নিয়ে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প বসবাস করছেন এমন একটি হোয়াইট হাউসে যাওয়ার প্রস্তাব তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন র্যাপিনো।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সাম্প্রতিক বেলুচ বিদ্রোহীদের প্রতি হুঁশিয়ারি অনেকের কাছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি মনে হচ্ছে—ঠিক যেমনটা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান, ১৯৭১ সালে। বিভাজন, দমন ও অস্বীকারের সেই পুরোনো কৌশলই যেন ফিরে এসেছে নতুন ইউনিফর্মে। ইতিহাস আবার প্রশ্ন করছে—পাকিস্তান কি কিছুই শিখল না?
১৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বাণিজ্য যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতির বেশ কিছু নজির রয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা বলতে ছয় বা তার বেশি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত টানা অর্থনৈতিক সংকোচন বোঝানো হয়। যদিও এর কোনো সর্বজনীন সংজ্ঞা নেই।
১৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি দ্রুত অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত না পান, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন। ট্রাম্পের এমন মনোভাব নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
৩ দিন আগেট্রাম্পের শুল্ক ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য বিশাল ধাক্কা। এই দেশগুলো চিপস থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে জড়িত। তারা এখন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্বের মাঝে আটকা পড়েছে। যেখানে চীন তাদের শক্তিশালী প্রতিবেশী ও সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার।
৩ দিন আগে