অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরান-সমর্থিত হুতিরা নিজেদের অস্ত্র উঁচিয়ে ধরেছে। গোষ্ঠীটি ইসরায়েলসহ লোহিত সাগরে পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এবং লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর কমান্ডাররা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলায় হুতিদের নির্দেশনা দিতে ও তদারকি করতে ইয়েমেনের মাটিতে অবস্থান করছেন।
চারটি আঞ্চলিক এবং দুটি ইরানি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরু থেকেই হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন করেছে ইরান। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোষ্ঠীটির কাছে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে দেশটি।
রয়টার্সের সূত্র জানিয়েছে, তেহরান হুতিদের উন্নত ড্রোন, জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। গোষ্ঠীটি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গত নভেম্বরে লোহিত সাগরে পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর হামলা শুরু করে।
রয়টার্সের সূত্রগুলো জানিয়েছে, আইআরজিসি কমান্ডার এবং উপদেষ্টারা হুতিদের লোহিত সাগরে প্রতিদিন চলাচলকারী অসংখ্য জাহাজের মধ্যে কোনটি ইসরায়েলমুখী তা নির্ধারণের কৌশল শেখাচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য এবং গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে।
ওয়াশিংটন গত মাসে বলেছিল, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিকল্পনায় ইরান গভীরভাবে জড়িত। দেশটি নির্দিষ্ট জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে হুতিদের বুদ্ধিবৃত্তিক সাহায্য দিয়ে আসছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনের জন্য মন্তব্যের অনুরোধের জবাবে হোয়াইট হাউস এই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছে।
এদিকে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার সঙ্গে ইরানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছেন। আইআরজিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেননি।
হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম লোহিত সাগরে হামলা পরিচালনায় ইরান বা হিজবুল্লাহ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। হিজবুল্লাহর একজন মুখপাত্র মন্তব্যের অনুরোধের জবাবও দেননি।
আশির দশকে ইয়েমেনে সৌদি আরবের সুন্নি ধর্মীয় প্রভাবের বিরোধিতা করে আবির্ভূত হয়েছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির। সম্প্রতি ইসরায়েলমুখী বা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার মাধ্যমে গোষ্ঠীটি হামাসকে সমর্থন করছে বলে জানিয়ে আসছে।
হুতিদের এসব হামলা ইয়েমেনের বাব আল-মান্দাব প্রণালি দিয়ে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বিমানবাহিনী, যা গাজার যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের একটি নতুন প্রান্তর উন্মোচন করেছে।
এ ছাড়া, গাজা যুদ্ধ লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষের পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের জন্মও দিয়েছে।
একজন ইরানি চর রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা হুতিদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে (উন্নত অস্ত্রে) সহায়তা করছে। গত মাসে হুতি যোদ্ধাদের একটি দল ইরানে ছিল। নতুন প্রযুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শেখাতে মধ্য ইরানের একটি আইআরজিসি ঘাঁটিতে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।’
ওই চর আরও বলেন, ‘ইরানি কমান্ডাররা ইয়েমেন সফর করেছেন এবং লোহিত সাগরে হামলার জন্য রাজধানী সানায় একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করেছেন। সেন্টারটি আইআরজিসি কমান্ডারেরা পরিচালনা করছেন।’
আঞ্চলিক কৌশল
দুই বিশ্লেষক বলেছেন, লোহিত সাগরের হামলা ইরানের কৌশলের সঙ্গে খাপ খায়। এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক শিয়া সশস্ত্র মিলিশিয়াদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও সংগঠিত করা হচ্ছে, যাতে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই অঞ্চলসহ সামুদ্রিক জাহাজে যেকোনো সময় হামলার সক্ষমতা জোরদার করছে দেশটি।
বিশ্লেষকেরা আরও বলেন, লোহিত সাগরে হামলার মধ্য দিয়ে তেহরান দেখাতে চেয়েছে, গাজা যুদ্ধ অব্যাহত রাখলে এর ব্যয় পশ্চিমাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাবে। আর পরিস্থিতি সামনের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
গালফ রিসার্চ সেন্টার থিংক ট্যাংকের পরিচালক আবদুল আজিজ আল-সাগর বলেছেন, ‘হুতিরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে না।’
প্রায় ২০ হাজার সৈন্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির কার্যকলাপ বিচার-বিশ্লেষণ করে এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘হুতিরা দক্ষতা এবং সক্ষমতার দিক থেকে এতটা উন্নত নয়। বাব আল-মান্দাব দিয়ে প্রতিদিন কয়েক ডজন জাহাজ চলাচল করে, এর মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বের করা এবং আক্রমণ চালানোর উপায়, সংস্থান, জ্ঞান বা স্যাটেলাইট তথ্য হুতিদের নেই।’
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন গত মাসে বলেছিলেন, ইরানের দেওয়া কৌশলগত বুদ্ধিমত্তার সাহায্যেই হুতিরা নির্দিষ্ট জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম হচ্ছে।
ইয়েমেনের দুই সাবেক সেনা সূত্রের মতে, ইয়েমেনে আইআরজিসি এবং হিজবুল্লাহ সদস্যদের স্পষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। তাঁরা সেখানে সামরিক অভিযান, প্রশিক্ষণ এবং ইরান থেকে আসা খণ্ডিত অস্ত্রসহ ক্ষেপণাস্ত্র সাজানো ও তত্ত্বাবধান করছে।
ইয়েমেনের স্বাধীন থিংক ট্যাংক সানা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন সিনিয়র গবেষক আবদুল ঘানি আল-ইরিয়ানি বলেছেন, এটি স্পষ্ট যে ইরানিরা হামলার লক্ষ্য এবং গন্তব্য শনাক্ত করতে সাহায্য করছে। স্থানীয় হুতিদের এটা করার ক্ষমতা নেই।
ইরান বিষয়ে নজর রাখা এক সিনিয়র আঞ্চলিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয় তেহরানে, ব্যবস্থাপনা করে হিজবুল্লাহ এবং পরিকল্পনা কার্যকর করে ইয়েমেনে হুতিরা।
এদিকে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা সুয়েজ খালের সমুদ্র বাণিজ্যকে ব্যাহত করছে। কিছু জাহাজ আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে অনেক দীর্ঘ পূর্ব-পশ্চিমের রুট ব্যবহার করছে।
অস্ত্র এবং উপদেশ
হুতি মুখপাত্র আবদুল সালাম বলেছেন, গোষ্ঠীটির লক্ষ্য ইসরায়েলি বা ইসরায়েলগামী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা, যাতে অন্য কোনো মানুষ বা উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষতি না হয়। ইয়েমেনে মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলা তাঁদের একবিন্দুও পিছু হটাতে পারবে না।
আবদুল সালাম আরও বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আমরা অস্বীকার করি না। আমরা প্রশিক্ষণ, সামরিক উৎপাদন এবং সক্ষমতা অর্জনে ইরানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হয়েছি। তবে ইয়েমেনের সিদ্ধান্ত একটি স্বাধীন সিদ্ধান্ত, যার সঙ্গে অন্য কোনো পক্ষের সম্পর্ক নেই।’
তবে ইরানের ঘনিষ্ঠ একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হুতিদের কাছে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু রয়েছে। তবে তাদের শিপিং রুট এবং জাহাজের বিষয়ে নির্দেশনা এবং পরামর্শের প্রয়োজন ছিল, ইরান তাদের সেটি সরবরাহ করেছে।’
তেহরান কী ধরনের পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়ায় ইরানের নেওয়া উপদেষ্টা ভূমিকার অনুরূপ। প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে প্রয়োজনে অপারেশন তদারকি করা পর্যন্ত। আইআরজিসির একটি দল অপারেশনে সহায়তা করার জন্য এখন সানায় রয়েছে।’
এদিকে ২০১১ সালে সুন্নি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঠেকাতে ইরান হাজার হাজার হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে সিরিয়ায় কয়েক শ বিপ্লবী গার্ড পাঠায়। তাঁরা সেখানে আফগানিস্তান, ইরাক ও পাকিস্তানের শিয়া মিলিশিয়া যোদ্ধাদের প্রশিক্ষিত ও সংগঠিত করেন।
ওয়াশিংটন এবং উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের জন্য ইরানকে বারবার অভিযুক্ত করেছে।
হুতিরা শিয়া ইসলামের একটি শাখা অনুসরণ করে। গোষ্ঠীটি লেবাননের হিজবুল্লাহ, সিরিয়া-ইরাকের বিভিন্ন গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত পশ্চিম ও ইসরায়েলবিরোধী ‘প্রতিরোধী অক্ষ’ এর অংশ হিসেবে তেহরানের সঙ্গে যুক্ত।
ইরান লোহিত সাগরের হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি হুতিদের প্রশংসা করেছেন। শিয়াদের জাইদি সম্প্রদায়ের এই গোষ্ঠীর হামলা বিজয় আসার আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্রশস্ত্র
ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর জোটের একজন নেতা ইয়েমেনের মাটিতে আইআরজিসি বা হিজবুল্লাহর কোনো কমান্ডার থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ইরানি ও হিজবুল্লাহ সামরিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের আগে হুতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রে সজ্জিত করা ও সমরাস্ত্র তৈরির কৌশল শেখাতে গিয়েছিল বলে জানান ওই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তাঁরা এসে হুতিদের সাহায্য করেছে এবং চলে গেছে, যেমনটি তাঁরা হিজবুল্লাহ এবং হামাসের বেলাতেও করেছিল। হুতিদের সামরিক সক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, হুতিরা জমিন এবং সাগর ভালোভাবেই জানে। আর আগে থেকেই ইরান থেকে আসা জাহাজে ও নির্ভুল স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো ছিল।
২০১১ সালে আরব বসন্তের পরে ইয়েমেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে হুতিরা দেশটির উত্তরে নিজেদের দখল শক্ত করে এবং ২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখল করে। এর কয়েক মাস পরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর সামরিক হস্তক্ষেপসহ নানা চাপ সৃষ্টি করে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির প্রতি সমর্থন দেওয়া ছাড়া ইরানের বিকল্প উপায় ছিল না। কেননা, দেশটি বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু হিজবুল্লাহকে এই সংঘাতে জড়িয়ে ফেলার ব্যাপারে সতর্ক ছিল তেহরান। কেননা, এতে পাল্টা ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা এতই বেশি হতো যে তাতে এই অঞ্চলে ইরানের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় চিড় ধরত।
এ প্রসঙ্গে সানা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ইরিয়ানি বলেন, ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ লেবাননের জন্য বিপর্যয়কর হবে। ইরানের ‘প্রতিরোধী অক্ষের’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা গ্রুপটির (হিজবুল্লাহ) ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করবে। তাই হুতিরা ভিন্ন কৌশলগত অবস্থানে নিয়েছে, যা অল্প চেষ্টাতেই বিশ্ববাণিজ্যকে ব্যাহত করে পশ্চিমাদের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইরান-সমর্থিত হুতিরা নিজেদের অস্ত্র উঁচিয়ে ধরেছে। গোষ্ঠীটি ইসরায়েলসহ লোহিত সাগরে পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এবং লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর কমান্ডাররা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলায় হুতিদের নির্দেশনা দিতে ও তদারকি করতে ইয়েমেনের মাটিতে অবস্থান করছেন।
চারটি আঞ্চলিক এবং দুটি ইরানি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরু থেকেই হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন করেছে ইরান। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গোষ্ঠীটির কাছে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে দেশটি।
রয়টার্সের সূত্র জানিয়েছে, তেহরান হুতিদের উন্নত ড্রোন, জাহাজ বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। গোষ্ঠীটি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে গত নভেম্বরে লোহিত সাগরে পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর হামলা শুরু করে।
রয়টার্সের সূত্রগুলো জানিয়েছে, আইআরজিসি কমান্ডার এবং উপদেষ্টারা হুতিদের লোহিত সাগরে প্রতিদিন চলাচলকারী অসংখ্য জাহাজের মধ্যে কোনটি ইসরায়েলমুখী তা নির্ধারণের কৌশল শেখাচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য এবং গোয়েন্দা সহায়তা দিয়ে আসছে।
ওয়াশিংটন গত মাসে বলেছিল, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিকল্পনায় ইরান গভীরভাবে জড়িত। দেশটি নির্দিষ্ট জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে হুতিদের বুদ্ধিবৃত্তিক সাহায্য দিয়ে আসছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনের জন্য মন্তব্যের অনুরোধের জবাবে হোয়াইট হাউস এই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছে।
এদিকে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার সঙ্গে ইরানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করেছেন। আইআরজিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধের জবাব দেননি।
হুতির মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম লোহিত সাগরে হামলা পরিচালনায় ইরান বা হিজবুল্লাহ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। হিজবুল্লাহর একজন মুখপাত্র মন্তব্যের অনুরোধের জবাবও দেননি।
আশির দশকে ইয়েমেনে সৌদি আরবের সুন্নি ধর্মীয় প্রভাবের বিরোধিতা করে আবির্ভূত হয়েছিল সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির। সম্প্রতি ইসরায়েলমুখী বা ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার মাধ্যমে গোষ্ঠীটি হামাসকে সমর্থন করছে বলে জানিয়ে আসছে।
হুতিদের এসব হামলা ইয়েমেনের বাব আল-মান্দাব প্রণালি দিয়ে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে হুতি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বিমানবাহিনী, যা গাজার যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের একটি নতুন প্রান্তর উন্মোচন করেছে।
এ ছাড়া, গাজা যুদ্ধ লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষের পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের জন্মও দিয়েছে।
একজন ইরানি চর রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা হুতিদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে (উন্নত অস্ত্রে) সহায়তা করছে। গত মাসে হুতি যোদ্ধাদের একটি দল ইরানে ছিল। নতুন প্রযুক্তি ও ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার শেখাতে মধ্য ইরানের একটি আইআরজিসি ঘাঁটিতে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।’
ওই চর আরও বলেন, ‘ইরানি কমান্ডাররা ইয়েমেন সফর করেছেন এবং লোহিত সাগরে হামলার জন্য রাজধানী সানায় একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করেছেন। সেন্টারটি আইআরজিসি কমান্ডারেরা পরিচালনা করছেন।’
আঞ্চলিক কৌশল
দুই বিশ্লেষক বলেছেন, লোহিত সাগরের হামলা ইরানের কৌশলের সঙ্গে খাপ খায়। এর মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক শিয়া সশস্ত্র মিলিশিয়াদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও সংগঠিত করা হচ্ছে, যাতে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে আরও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এই অঞ্চলসহ সামুদ্রিক জাহাজে যেকোনো সময় হামলার সক্ষমতা জোরদার করছে দেশটি।
বিশ্লেষকেরা আরও বলেন, লোহিত সাগরে হামলার মধ্য দিয়ে তেহরান দেখাতে চেয়েছে, গাজা যুদ্ধ অব্যাহত রাখলে এর ব্যয় পশ্চিমাদের সাধ্যের বাইরে চলে যাবে। আর পরিস্থিতি সামনের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
গালফ রিসার্চ সেন্টার থিংক ট্যাংকের পরিচালক আবদুল আজিজ আল-সাগর বলেছেন, ‘হুতিরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে না।’
প্রায় ২০ হাজার সৈন্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির কার্যকলাপ বিচার-বিশ্লেষণ করে এই বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘হুতিরা দক্ষতা এবং সক্ষমতার দিক থেকে এতটা উন্নত নয়। বাব আল-মান্দাব দিয়ে প্রতিদিন কয়েক ডজন জাহাজ চলাচল করে, এর মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বের করা এবং আক্রমণ চালানোর উপায়, সংস্থান, জ্ঞান বা স্যাটেলাইট তথ্য হুতিদের নেই।’
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন গত মাসে বলেছিলেন, ইরানের দেওয়া কৌশলগত বুদ্ধিমত্তার সাহায্যেই হুতিরা নির্দিষ্ট জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম হচ্ছে।
ইয়েমেনের দুই সাবেক সেনা সূত্রের মতে, ইয়েমেনে আইআরজিসি এবং হিজবুল্লাহ সদস্যদের স্পষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। তাঁরা সেখানে সামরিক অভিযান, প্রশিক্ষণ এবং ইরান থেকে আসা খণ্ডিত অস্ত্রসহ ক্ষেপণাস্ত্র সাজানো ও তত্ত্বাবধান করছে।
ইয়েমেনের স্বাধীন থিংক ট্যাংক সানা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের একজন সিনিয়র গবেষক আবদুল ঘানি আল-ইরিয়ানি বলেছেন, এটি স্পষ্ট যে ইরানিরা হামলার লক্ষ্য এবং গন্তব্য শনাক্ত করতে সাহায্য করছে। স্থানীয় হুতিদের এটা করার ক্ষমতা নেই।
ইরান বিষয়ে নজর রাখা এক সিনিয়র আঞ্চলিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয় তেহরানে, ব্যবস্থাপনা করে হিজবুল্লাহ এবং পরিকল্পনা কার্যকর করে ইয়েমেনে হুতিরা।
এদিকে লোহিত সাগরে হুতিদের হামলা সুয়েজ খালের সমুদ্র বাণিজ্যকে ব্যাহত করছে। কিছু জাহাজ আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে অনেক দীর্ঘ পূর্ব-পশ্চিমের রুট ব্যবহার করছে।
অস্ত্র এবং উপদেশ
হুতি মুখপাত্র আবদুল সালাম বলেছেন, গোষ্ঠীটির লক্ষ্য ইসরায়েলি বা ইসরায়েলগামী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা, যাতে অন্য কোনো মানুষ বা উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষতি না হয়। ইয়েমেনে মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলা তাঁদের একবিন্দুও পিছু হটাতে পারবে না।
আবদুল সালাম আরও বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আমরা অস্বীকার করি না। আমরা প্রশিক্ষণ, সামরিক উৎপাদন এবং সক্ষমতা অর্জনে ইরানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হয়েছি। তবে ইয়েমেনের সিদ্ধান্ত একটি স্বাধীন সিদ্ধান্ত, যার সঙ্গে অন্য কোনো পক্ষের সম্পর্ক নেই।’
তবে ইরানের ঘনিষ্ঠ একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হুতিদের কাছে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু রয়েছে। তবে তাদের শিপিং রুট এবং জাহাজের বিষয়ে নির্দেশনা এবং পরামর্শের প্রয়োজন ছিল, ইরান তাদের সেটি সরবরাহ করেছে।’
তেহরান কী ধরনের পরামর্শ দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়ায় ইরানের নেওয়া উপদেষ্টা ভূমিকার অনুরূপ। প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে প্রয়োজনে অপারেশন তদারকি করা পর্যন্ত। আইআরজিসির একটি দল অপারেশনে সহায়তা করার জন্য এখন সানায় রয়েছে।’
এদিকে ২০১১ সালে সুন্নি নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহের সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঠেকাতে ইরান হাজার হাজার হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে সিরিয়ায় কয়েক শ বিপ্লবী গার্ড পাঠায়। তাঁরা সেখানে আফগানিস্তান, ইরাক ও পাকিস্তানের শিয়া মিলিশিয়া যোদ্ধাদের প্রশিক্ষিত ও সংগঠিত করেন।
ওয়াশিংটন এবং উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ ও অর্থায়নের জন্য ইরানকে বারবার অভিযুক্ত করেছে।
হুতিরা শিয়া ইসলামের একটি শাখা অনুসরণ করে। গোষ্ঠীটি লেবাননের হিজবুল্লাহ, সিরিয়া-ইরাকের বিভিন্ন গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত পশ্চিম ও ইসরায়েলবিরোধী ‘প্রতিরোধী অক্ষ’ এর অংশ হিসেবে তেহরানের সঙ্গে যুক্ত।
ইরান লোহিত সাগরের হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি হুতিদের প্রশংসা করেছেন। শিয়াদের জাইদি সম্প্রদায়ের এই গোষ্ঠীর হামলা বিজয় আসার আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রশিক্ষণ এবং অস্ত্রশস্ত্র
ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর জোটের একজন নেতা ইয়েমেনের মাটিতে আইআরজিসি বা হিজবুল্লাহর কোনো কমান্ডার থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ইরানি ও হিজবুল্লাহ সামরিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের আগে হুতিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্রে সজ্জিত করা ও সমরাস্ত্র তৈরির কৌশল শেখাতে গিয়েছিল বলে জানান ওই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তাঁরা এসে হুতিদের সাহায্য করেছে এবং চলে গেছে, যেমনটি তাঁরা হিজবুল্লাহ এবং হামাসের বেলাতেও করেছিল। হুতিদের সামরিক সক্ষমতাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, হুতিরা জমিন এবং সাগর ভালোভাবেই জানে। আর আগে থেকেই ইরান থেকে আসা জাহাজে ও নির্ভুল স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো ছিল।
২০১১ সালে আরব বসন্তের পরে ইয়েমেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে হুতিরা দেশটির উত্তরে নিজেদের দখল শক্ত করে এবং ২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখল করে। এর কয়েক মাস পরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ওপর সামরিক হস্তক্ষেপসহ নানা চাপ সৃষ্টি করে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির প্রতি সমর্থন দেওয়া ছাড়া ইরানের বিকল্প উপায় ছিল না। কেননা, দেশটি বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েলবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু হিজবুল্লাহকে এই সংঘাতে জড়িয়ে ফেলার ব্যাপারে সতর্ক ছিল তেহরান। কেননা, এতে পাল্টা ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা এতই বেশি হতো যে তাতে এই অঞ্চলে ইরানের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় চিড় ধরত।
এ প্রসঙ্গে সানা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের ইরিয়ানি বলেন, ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ লেবাননের জন্য বিপর্যয়কর হবে। ইরানের ‘প্রতিরোধী অক্ষের’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা গ্রুপটির (হিজবুল্লাহ) ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করবে। তাই হুতিরা ভিন্ন কৌশলগত অবস্থানে নিয়েছে, যা অল্প চেষ্টাতেই বিশ্ববাণিজ্যকে ব্যাহত করে পশ্চিমাদের ওপর বড় প্রভাব ফেলছে।
আব্রাহাম অ্যাকর্ডস মূলত একটি চটকদার বিষয়। এতে বাস্তব, স্থায়ী আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুই এতে ছিল না। যেসব রাষ্ট্র এতে স্বাক্ষর করেছে তারা তা করেছে—কারণ, তারা ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনে প্রভাব বিস্তারের পথ হিসেবে দেখে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ইসরায়েলের ওপর মার
৮ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেখেয়ালি, সেটা আগা থেকেই সবার জানা। তবে দেশটির নির্বাচনের দুই সপ্তাহ আগে এসেও তিনি অসংলগ্ন, অশ্লীল, স্বৈরতান্ত্রিক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ থেকে অন্তত একটি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে একটি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
৯ দিন আগেএবারের আইএমইএক্স মহড়ায়ও কিছু দেশ আছে যারা আগেরবারও অংশগ্রহণ করেছিল। এসব দেশের নাম আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—ইরান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে এমন দেশগুলোর কক্ষপথে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত
৯ দিন আগেএই শহরের সমর্থকেরা, এর আধ্যাত্মিক গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। শহরটিতে মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে সংযোগ সাধন করা হবে বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই শহরের মূল ধারণাটি আসলে জটিল। মূলত এই শহরকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যাতে এটি একটি ‘অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র’ হিসেবে দাঁড়িয়ে যেতে পারে এবং ভারতে প্রবেশে একটি দুয়ার হি
৯ দিন আগে