অনলাইন ডেস্ক
চলমান ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া একটি নজিরবিহীন আইনি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন যখন ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দোষ প্রমাণিত হয়েছে। নিউইয়র্কের আদালতে একটি আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। অঙ্গরাজ্যই শুধু নয়, মার্কিন ফেডারেল আইনেও একাধিক ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি তিনি। এ অবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে—ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কী রায় হবে? তাঁর বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোরই বা কী হবে?
এ বিষয়ে এক নিবন্ধে সিএনএন জানিয়েছে, পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসার রেকর্ড জাল করা ছাড়াও ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা এবং শ্রেণিবদ্ধ বিভিন্ন নথিকে ভুলভাবে পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ট্রাম্প যখন প্রথমবার নির্বাচন করেছিলেন অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তিনি ঘুষ দিয়েছিলেন। এই অভিযোগে পরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। আগামী ২৬ নভেম্বর ওই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা প্রদানের কথা রয়েছে। তবে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ট্রাম্পের আইনজীবীরা সম্ভবত সাজা প্রদানের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা যুক্তি দেখাবেন—নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজা প্রদান উচিত হবে না।
আবার যথাসময়ে যদি ওই রায় ঘোষণা করা হয়, তবে বিচারক জুয়ান মার্চান ট্রাম্পকে চার বছরের কারাদণ্ড দিতে পারেন। যদিও এই সাজার বদলে প্রবেশন কিংবা জরিমানার মতো বিকল্প উপায়ও সম্ভব।
যা হোক, একটি রাষ্ট্রীয় মামলা হিসাবে কারাদণ্ড হলে নিজেকে ক্ষমা করার উপায় নেই ট্রাম্পের। তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট—এই যুক্তিতে আপিল করে যে কোনো সাজাকে তিনি কয়েক মাস বা বছরের জন্য বেঁধে রাখতে পারবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনে ট্রাম্পকে ওয়াশিংটন ডিসি এবং ফ্লোরিডায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ এই অভিযোগের তদন্ত তদারকি করছেন। ইতিপূর্বে ট্রাম্প অবশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন, পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে স্মিথকে তিনি দুই সেকেন্ডের মধ্যে বরখাস্ত করবেন। এর ফলে দুটি অভিযোগের তদন্তকেই বাধাগ্রস্ত করতে পারেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই ফেডারেল অভিযোগের মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসির মামলাটি ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলকে উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে বলা হয়েছে—২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তিনি ফলাফল পরিবর্তনের জন্য অবৈধ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির এই মামলাটি পরিচালনা করছেন বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছেন।
ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ফেডারেল অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে পরাজিত হওয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, এসব নথি পরবর্তীতে সরকারি কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে দিতে তিনি অস্বীকারও করেছিলেন। এই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন নথির অপব্যবহার এবং বিচারকদের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। এই মামলাটিও জটিল এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে বিলম্বিত বা বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ফৌজদারি মামলার বাইরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জিন ক্যারলের মানহানির মামলা এবং নিউইয়র্কে একটি জালিয়াতির মামলা সহ বেশ কয়েকটি দেওয়ানি মামলাও রয়েছে। এই মামলাগুলো প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়ই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান থাকতে পারে। কারণ ১৯৯৭ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করে দিয়েছিল যে, কোনো প্রেসিডেন্ট দেওয়ানি মামলাগুলোতে অনাক্রম্যতা আহ্বান করতে পারবেন না।
সংক্ষেপে বলা যায়, ট্রাম্পের আইনি লড়াই সম্ভবত তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ জুড়ে চলতে থাকবে। বিষয়টি একজন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা এবং সুরক্ষা সম্পর্কে জটিল সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপন করবে।
চলমান ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া একটি নজিরবিহীন আইনি পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন যখন ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দোষ প্রমাণিত হয়েছে। নিউইয়র্কের আদালতে একটি আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। অঙ্গরাজ্যই শুধু নয়, মার্কিন ফেডারেল আইনেও একাধিক ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি তিনি। এ অবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে—ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কী রায় হবে? তাঁর বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোরই বা কী হবে?
এ বিষয়ে এক নিবন্ধে সিএনএন জানিয়েছে, পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসার রেকর্ড জাল করা ছাড়াও ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা এবং শ্রেণিবদ্ধ বিভিন্ন নথিকে ভুলভাবে পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ট্রাম্প যখন প্রথমবার নির্বাচন করেছিলেন অর্থাৎ ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময় যৌন সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে পর্ণ তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তিনি ঘুষ দিয়েছিলেন। এই অভিযোগে পরে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। আগামী ২৬ নভেম্বর ওই আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা প্রদানের কথা রয়েছে। তবে বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ট্রাম্পের আইনজীবীরা সম্ভবত সাজা প্রদানের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা যুক্তি দেখাবেন—নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাজা প্রদান উচিত হবে না।
আবার যথাসময়ে যদি ওই রায় ঘোষণা করা হয়, তবে বিচারক জুয়ান মার্চান ট্রাম্পকে চার বছরের কারাদণ্ড দিতে পারেন। যদিও এই সাজার বদলে প্রবেশন কিংবা জরিমানার মতো বিকল্প উপায়ও সম্ভব।
যা হোক, একটি রাষ্ট্রীয় মামলা হিসাবে কারাদণ্ড হলে নিজেকে ক্ষমা করার উপায় নেই ট্রাম্পের। তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট—এই যুক্তিতে আপিল করে যে কোনো সাজাকে তিনি কয়েক মাস বা বছরের জন্য বেঁধে রাখতে পারবেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনে ট্রাম্পকে ওয়াশিংটন ডিসি এবং ফ্লোরিডায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ এই অভিযোগের তদন্ত তদারকি করছেন। ইতিপূর্বে ট্রাম্প অবশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন, পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে স্মিথকে তিনি দুই সেকেন্ডের মধ্যে বরখাস্ত করবেন। এর ফলে দুটি অভিযোগের তদন্তকেই বাধাগ্রস্ত করতে পারেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই ফেডারেল অভিযোগের মধ্যে ওয়াশিংটন ডিসির মামলাটি ২০২০ সালের নির্বাচনের ফলকে উল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে বলা হয়েছে—২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তিনি ফলাফল পরিবর্তনের জন্য অবৈধ পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির এই মামলাটি পরিচালনা করছেন বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছেন।
ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ফেডারেল অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে পরাজিত হওয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, এসব নথি পরবর্তীতে সরকারি কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে দিতে তিনি অস্বীকারও করেছিলেন। এই মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন নথির অপব্যবহার এবং বিচারকদের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ছাড়া জর্জিয়ায় ২০২০ সালের নির্বাচনী ফলাফল উল্টে দেওয়ার চেষ্টার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন ট্রাম্প। এই মামলাটিও জটিল এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে বিলম্বিত বা বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ফৌজদারি মামলার বাইরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জিন ক্যারলের মানহানির মামলা এবং নিউইয়র্কে একটি জালিয়াতির মামলা সহ বেশ কয়েকটি দেওয়ানি মামলাও রয়েছে। এই মামলাগুলো প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়ই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান থাকতে পারে। কারণ ১৯৯৭ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করে দিয়েছিল যে, কোনো প্রেসিডেন্ট দেওয়ানি মামলাগুলোতে অনাক্রম্যতা আহ্বান করতে পারবেন না।
সংক্ষেপে বলা যায়, ট্রাম্পের আইনি লড়াই সম্ভবত তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ জুড়ে চলতে থাকবে। বিষয়টি একজন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা এবং সুরক্ষা সম্পর্কে জটিল সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপন করবে।
সদ্য নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া মার্কিন রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নাটকীয় ঘটনা। ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে প্রেসিডেন্ট পদ হারানোর চার বছর পর লাখ লাখ আমেরিকানের সমর্থনে ট্রাম্প আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসতে যাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হলেও ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নয়া দিল্লির জন্য বেশ কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে, বাণিজ্য, অভিবাসন, সামরিক সহযোগিতা এবং কূটনীতি—এই চারটি ক্ষেত্রে। ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে একাধিকবার বন্ধু বলে সম্বোধন করলেও সামগ্রিকভাবে ট্রাম্প
৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে। ট্রাম্প নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে বোদ্ধাদের নতুন করে ভাবতে হবে এ বিষয়ে কোনো সন্দ
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নীতি গ্রহণ করেছিলেন। সেটা হলো সবার আগে আমেরিকার স্বার্থ (আমেরিকা ফার্স্ট)। কিন্তু এরপর যেটা দেখা গেল, সেটা হলো তাঁর বিশৃঙ্খল পররাষ্ট্রনীতি। এটা ট্রাম্পের সহযোগী ও উপদেষ্টারা খুব ভালোভাবেই জানেন।
৫ দিন আগে