অনলাইন ডেস্ক
আসন্ন শীতে ইউরোপের দেশগুলোতে গ্যাসের পর্যাপ্ত রিজার্ভ নিশ্চিতের উপায় খুঁজছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কারণ, রাশিয়া সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কামানোর ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন দিয়ে এর সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর ইইউর একাধিক নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়া এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তবে মঙ্গলবার ইইউভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানিমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে মিলিত হয়েছিলেন নতুন জরুরি পরিকল্পনা পাসের বিষয়ে। সেখানে আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রতি রোববার গ্যাসের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই উদ্যোগ আসলে ইউরোপের সংকট কতটা কাটাতে সহায়ক হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
নর্ড স্ট্রিম-১ কেন গুরুত্বপূর্ণ
নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের অধিকাংশেরই মালিকানা রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের। একক বৃহত্তম এই পাইপলাইন জার্মানি হয়ে রাশিয়া থেকে ইউরোপের জন্য গ্যাস বয়ে নিয়ে যায়। ইউরোপ রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। গত বছরও ইউরোপের মোট গ্যাস চাহিদার ৪০ শতাংশ এককভাবে পূরণ করেছিল রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেই সরবরাহে বিপুলভাবে ভাটা পড়েছে। ফলে ইউরোপে শিল্প কারখানার উৎপাদন কমে গেছে, যার প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এর আগে কখনো এই পাইপলাইনে সংস্কারকাজের কথা তেমন একটা না শোনা গেলেও সম্প্রতি এই কারণ দেখিয়ে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। ফলে এই পাইপলাইন এখন পশ্চিমের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়ার দর-কষাকষির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
এই পাইপলাইন নিয়ে কী ঘটেছে এখন পর্যন্ত
চলতি বছরের জুন মাসে রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ এর সক্ষমতার ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনে। সে সময় বলা হয়েছিল, পাইপলাইন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি টারবাইন ফেরত পেতে দেরি হওয়ার কারণে সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। ওই টারবাইনটি কানাডার প্রতিষ্ঠান সিমেন্স এনার্জির কাছে দেওয়া হয়েছিল সংস্কারের জন্য। তবে জার্মানি রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, এই সরবরাহ কমানোর পেছনে কারিগরি যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।
সম্প্রতি গ্যাজপ্রম আরও জানিয়েছিল, বুধবার থেকেই নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন হয়ে গ্যাস সরবরাহ এর সক্ষমতার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। ইইউর জ্বালানিবিষয়ক নীতিনির্ধারক কাদরি সিমনস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা জানি, কোনো কারিগরি ত্রুটি নেই।’
ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার নর্ড স্ট্রিম-১ এর মধ্য দিয়ে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয় রাশিয়া। এ দিন নর্ড স্ট্রিম ১ দিয়ে ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ হয়েছে, যা আগের দিনই ছিল ২৮ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা। এ অবস্থায় গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে গ্যাসের ব্যবহার কমাতে এবং গ্যাস মজুতের অনুরোধ জানিয়েছে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ইইউভুক্ত দেশগুলো কম গ্যাস সরবরাহে টিকে থাকার লক্ষ্যে একটি জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মূল লক্ষ্য, মস্কো কখনো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যেন টিকে থাকা যায়। ইউরোপের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আসন্ন শীতকাল। শীতে নিজের নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে গ্যাস সরবরাহ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে এমনকি রেশনিংয়ের কথাও ভাবা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের মূল ভয় এখন শীত নিয়ে। তাদের আশঙ্কা, আসন্ন শীতে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। এমনটি হলে জার্মান অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে, যা দ্রব্যমূল্যকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাবে। গ্যাস সংকটের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে নেদারল্যান্ডসে। দেশটিতে গ্যাসের দাম বর্তমানে ২০৫ ইউরোতে গিয়ে ঠেকেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১২ শতাংশ বেশি।
কেন এই ইস্যু অনেক বেশি রাজনৈতিক
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ গত সোমবার বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধের ব্যাপারে মোটেও আগ্রহী নয়। তবে ইউরোপ যদি বেপরোয়াভাবে রাশিয়ার ওপর অবরোধ ও বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকে, তবে পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে।’
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সর্বশেষ এই সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রাশিয়ার ওপর ক্রমবর্ধমান হারে অবরোধ আরোপ করার ফলে বিশ্বজুড়েই জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে বলে তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করেছিলেন।
বিপরীতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য গ্যাস যুদ্ধ’ চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সম্মিলিত অবরোধ আরোপের মাধ্যমে রাশিয়ার এমন আচরণের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। জার্মানির জলবায়ু ও অর্থনীতিবিষয়কমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেকও বলেছেন, পুতিন ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ খেলা খেলছেন।
ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে
জ্বালানি সরবরাহ আবারও পুরোদমে চালু হবে কি না, সে বিষয়ে দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, টারবাইন এখনো এসে পৌঁছায়নি। তবে মস্কোর আশাবাদ, খুব শিগগিরই টারবাইন যুক্ত করা হবে। রাশিয়ার বারবার দেওয়া নিশ্চয়তার পরও দেশটি চলতি শীতে গ্যাস সরবরাহ কমাতে যাচ্ছে। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপদগ্রস্ত জার্মান অর্থনীতি মন্দায় পড়তে পারে। বাড়তে পারে জ্বালানি এবং সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের দাম।
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানি এর জ্বালানি চাহিদার জন্য বহুলাংশে নির্ভর করে। দেশটির জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করে রাশিয়া। সম্প্রতি জার্মানি তাদের গ্যাস সংরক্ষণাগারগুলো ভরে তুলতে চাইছে আসন্ন শীতের আগেই।
আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ইউরোপের দেশগুলো গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়, যাতে আগামী শীত নাগাদ ৪৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। তবে গ্রিস, ইতালি, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেনসহ দেশগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও সদস্য দেশগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ইইউ প্রয়োজনে গ্যাস ব্যবহার হ্রাসের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে পারে।
শেষ পর্যন্ত এই নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনই রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যকার রাজনৈতিক দর-কষাকষির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।
আসন্ন শীতে ইউরোপের দেশগুলোতে গ্যাসের পর্যাপ্ত রিজার্ভ নিশ্চিতের উপায় খুঁজছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কারণ, রাশিয়া সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কামানোর ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ গত রোববার রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন দিয়ে এর সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার ওপর ইইউর একাধিক নিষেধাজ্ঞার জবাবে রাশিয়া এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
তবে মঙ্গলবার ইইউভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানিমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে মিলিত হয়েছিলেন নতুন জরুরি পরিকল্পনা পাসের বিষয়ে। সেখানে আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রতি রোববার গ্যাসের ব্যবহার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সেই উদ্যোগ আসলে ইউরোপের সংকট কতটা কাটাতে সহায়ক হবে, তা সময়ই বলে দেবে।
নর্ড স্ট্রিম-১ কেন গুরুত্বপূর্ণ
নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের অধিকাংশেরই মালিকানা রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের। একক বৃহত্তম এই পাইপলাইন জার্মানি হয়ে রাশিয়া থেকে ইউরোপের জন্য গ্যাস বয়ে নিয়ে যায়। ইউরোপ রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। গত বছরও ইউরোপের মোট গ্যাস চাহিদার ৪০ শতাংশ এককভাবে পূরণ করেছিল রাশিয়া। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সেই সরবরাহে বিপুলভাবে ভাটা পড়েছে। ফলে ইউরোপে শিল্প কারখানার উৎপাদন কমে গেছে, যার প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এর আগে কখনো এই পাইপলাইনে সংস্কারকাজের কথা তেমন একটা না শোনা গেলেও সম্প্রতি এই কারণ দেখিয়ে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। ফলে এই পাইপলাইন এখন পশ্চিমের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়ার দর-কষাকষির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
এই পাইপলাইন নিয়ে কী ঘটেছে এখন পর্যন্ত
চলতি বছরের জুন মাসে রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ এর সক্ষমতার ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনে। সে সময় বলা হয়েছিল, পাইপলাইন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি টারবাইন ফেরত পেতে দেরি হওয়ার কারণে সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। ওই টারবাইনটি কানাডার প্রতিষ্ঠান সিমেন্স এনার্জির কাছে দেওয়া হয়েছিল সংস্কারের জন্য। তবে জার্মানি রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, এই সরবরাহ কমানোর পেছনে কারিগরি যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়।
সম্প্রতি গ্যাজপ্রম আরও জানিয়েছিল, বুধবার থেকেই নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন হয়ে গ্যাস সরবরাহ এর সক্ষমতার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। ইইউর জ্বালানিবিষয়ক নীতিনির্ধারক কাদরি সিমনস মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা জানি, কোনো কারিগরি ত্রুটি নেই।’
ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার নর্ড স্ট্রিম-১ এর মধ্য দিয়ে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয় রাশিয়া। এ দিন নর্ড স্ট্রিম ১ দিয়ে ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ হয়েছে, যা আগের দিনই ছিল ২৮ মিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা। এ অবস্থায় গৃহস্থালি ও শিল্প খাতে গ্যাসের ব্যবহার কমাতে এবং গ্যাস মজুতের অনুরোধ জানিয়েছে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার ইইউভুক্ত দেশগুলো কম গ্যাস সরবরাহে টিকে থাকার লক্ষ্যে একটি জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। মূল লক্ষ্য, মস্কো কখনো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যেন টিকে থাকা যায়। ইউরোপের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আসন্ন শীতকাল। শীতে নিজের নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে গ্যাস সরবরাহ কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে এমনকি রেশনিংয়ের কথাও ভাবা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের মূল ভয় এখন শীত নিয়ে। তাদের আশঙ্কা, আসন্ন শীতে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। এমনটি হলে জার্মান অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে, যা দ্রব্যমূল্যকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাবে। গ্যাস সংকটের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে নেদারল্যান্ডসে। দেশটিতে গ্যাসের দাম বর্তমানে ২০৫ ইউরোতে গিয়ে ঠেকেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১২ শতাংশ বেশি।
কেন এই ইস্যু অনেক বেশি রাজনৈতিক
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ গত সোমবার বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধের ব্যাপারে মোটেও আগ্রহী নয়। তবে ইউরোপ যদি বেপরোয়াভাবে রাশিয়ার ওপর অবরোধ ও বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকে, তবে পরিস্থিতি যেকোনো সময় বদলে যেতে পারে।’
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সর্বশেষ এই সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। রাশিয়ার ওপর ক্রমবর্ধমান হারে অবরোধ আরোপ করার ফলে বিশ্বজুড়েই জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে পারে বলে তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করেছিলেন।
বিপরীতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য গ্যাস যুদ্ধ’ চালাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সম্মিলিত অবরোধ আরোপের মাধ্যমে রাশিয়ার এমন আচরণের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। জার্মানির জলবায়ু ও অর্থনীতিবিষয়কমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেকও বলেছেন, পুতিন ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ খেলা খেলছেন।
ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে
জ্বালানি সরবরাহ আবারও পুরোদমে চালু হবে কি না, সে বিষয়ে দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, টারবাইন এখনো এসে পৌঁছায়নি। তবে মস্কোর আশাবাদ, খুব শিগগিরই টারবাইন যুক্ত করা হবে। রাশিয়ার বারবার দেওয়া নিশ্চয়তার পরও দেশটি চলতি শীতে গ্যাস সরবরাহ কমাতে যাচ্ছে। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপদগ্রস্ত জার্মান অর্থনীতি মন্দায় পড়তে পারে। বাড়তে পারে জ্বালানি এবং সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের দাম।
ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানি এর জ্বালানি চাহিদার জন্য বহুলাংশে নির্ভর করে। দেশটির জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করে রাশিয়া। সম্প্রতি জার্মানি তাদের গ্যাস সংরক্ষণাগারগুলো ভরে তুলতে চাইছে আসন্ন শীতের আগেই।
আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ ইউরোপের দেশগুলো গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়, যাতে আগামী শীত নাগাদ ৪৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। তবে গ্রিস, ইতালি, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেনসহ দেশগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও সদস্য দেশগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ইইউ প্রয়োজনে গ্যাস ব্যবহার হ্রাসের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে পারে।
শেষ পর্যন্ত এই নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনই রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যকার রাজনৈতিক দর-কষাকষির অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।
ট্রাম্প ফিরে আসায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের ধারাবাহিকতাই বজায় থাকতে পারে, সামান্য কিছু পরিবর্তন নিয়ে। ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পেছনের সারিতে থাকলেও বাংলাদেশ,
৪ ঘণ্টা আগেড. ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন পুরো জাতি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে তাঁকে পরিষ্কারভাবে এই পরিকল্পনা প্রকাশ করতে হবে যে, তিনি কীভাবে দেশ শাসন করবেন এবং ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
১ দিন আগেসম্প্রতি দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলারনির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
২ দিন আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
২ দিন আগে