আবদুল বাছেদ, ঢাকা
গত সপ্তাহে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের চুক্তি হয়। এর পরপরই সীমান্ত থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়া শুরু করে ভারত ও চীনের সেনারা। সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের দুই দিনের মাথায় দুই দেশের সেনারা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার এলএসির পাঁচটি জায়গায় এই মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে দুটি স্থান লাদাখে অবস্থিত। চীন-ভারতের এমন মধুর সম্পর্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্র কি কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছে?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের বাহিনী কবে থেকে ওই এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করবে—তা এখন ঠিক করা হবে।
স্যাটেলাইটের ছবিতেও সেনাসদস্য সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনডিটিভি আজ সেই ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ডেপস্যাংয়ের এক স্থানে ১১ অক্টোবর চীনা বাহিনীর যে অবস্থান ছিল, ২৫ অক্টোবর তা নেই। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী চীনা বাহিনী তা সরিয়ে নিয়েছে।
২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। এরপর দুই দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা মোতায়েন বাড়ানোর পাশাপাশি সামরিক তৎপরতাও বাড়িয়ে গেছে। দুই দেশের সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক স্তরে বারবার বৈঠকের ফলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি এড়ানো গেলেও মুখোমুখি অবস্থান থেকে কোনো দেশই পিছিয়ে আসেনি। তবে ব্রিকস সম্মেলনে পাল্টে গেছে চিত্রপট।
ভারতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকে দুই দেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছেছে। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী চীনা প্রতিপক্ষের ওপর বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এটি (বিশ্বাস পুনরুদ্ধার) তখনই ঘটবে যখন আমরা একে অপরকে দেখতে পারব, একে অপরকে বোঝাতে ও আশ্বস্ত করতে পারব যে আমরা বাফার জোনে ঢুকে পড়ছি না।’
ভারত-চীন দ্বন্দ্ব প্রশমনের বিষয়টি এশিয়া ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও বেশ প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এ বিষয়ে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক জোরাওয়ার দাউলত সিং বলেন, এই সমঝোতা এশিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক উন্নয়ন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা যুদ্ধের (কোল্ড ওয়ার) পরিকল্পনা থেকে ভারতকে আলাদা করতে পারে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে চীনের ভূখণ্ডগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং আঞ্চলিক প্রভাবের বিরুদ্ধে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে। তবে চীন ও ভারতের সাম্প্রতিক এই সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে ভারত হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে তার সম্পর্কের দিক নির্ধারণ করতে পারে।
সম্পর্কের এমন উন্নতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেলায় সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হবে অর্থনীতি। কারণ, এরই মধ্যে চীন–ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বহরে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে গেছে চীন। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ভারত–চীন মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১১৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। যদিও চীনে ভারতের রপ্তানি ছিল মাত্র ১৬ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য-ঘাটতি এই মুহূর্তে ৮৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
চীনের চাহিদামতো বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ ভারত তুলে নিলে বাণিজ্য-ঘাটতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। টেলিকমসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উন্মুক্ত হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতীয় শিল্প মহলেরও চাপ রয়েছে সরকারের ওপর। বিশেষজ্ঞ মহল যদিও এই বিষয়ে ভারতকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি গভীর বিবেচনায় রাখতে বলেছে।
তবে চীনের সঙ্গে বিনিয়োগ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা জোর দিয়ে বলেছেন, চীনের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি করতে এবং ভারতের বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রবেশে সহায়ক হতে পারে। ভারতের বৈদ্যুতিক যানবাহন, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারি শিল্পে চীনা বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদেরা। তাদের মতে, চীনের সঙ্গে নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত রাখা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বাড়ানো যেতে পারে।
এদিকে ভারত ও চীনের মধ্যে যখন সমঝোতার বিষয়টি সামনে আসছে, ঠিক তখনই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর। এ অবস্থায় ভারত-চীন তাদের সমঝোতা আলোচনার মাধ্যমে সম্ভবত পশ্চিমাদের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চাইছে যে তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতার বিরোধিতা করলেও আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।
তবে ভারতের কৌশলগত বিশ্লেষক অনিল ত্রিগুনায়েত মনে করেন, এই সমঝোতার মাধ্যমে উভয় দেশ একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে, যা কৌশলগত উত্তেজনার মধ্যেও বজায় থাকবে।
চীন ও ভারতের সমঝোতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে চার দেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির (কোয়াড) প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় তৈরি করছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এই জোট গঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপ চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে আনার চেষ্টা করছিল দীর্ঘদিন ধরে। এ কারণেই চীন-ভারত নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস।
এক সম্পাদকীয়তে পত্রিকাটি জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও চীনকে ‘ডিকাপলিং’ বিভক্ত রেখে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার চাপের কারণে আঞ্চলিক উত্তেজনা ও ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই ভারত-চীন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাকনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক অধ্যাপক জিকুইন ঝু ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, ভারত-চীন সম্পর্কের বরফ গলে যাওয়া উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। এটি চীনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে কোয়াডের সদস্য ভারত পরবর্তীকালে চীনের বিরুদ্ধে কোনো শক্ত অবস্থান নেবে না। ফলে কোয়াড অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।’
গত সপ্তাহে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলন শুরুর ঠিক আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর উত্তেজনা প্রশমনে দুই দেশের চুক্তি হয়। এর পরপরই সীমান্ত থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়া শুরু করে ভারত ও চীনের সেনারা। সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের দুই দিনের মাথায় দুই দেশের সেনারা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার এলএসির পাঁচটি জায়গায় এই মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে দুটি স্থান লাদাখে অবস্থিত। চীন-ভারতের এমন মধুর সম্পর্কের ফলে যুক্তরাষ্ট্র কি কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছে?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের বাহিনী কবে থেকে ওই এলাকায় টহল দেওয়া শুরু করবে—তা এখন ঠিক করা হবে।
স্যাটেলাইটের ছবিতেও সেনাসদস্য সরানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এনডিটিভি আজ সেই ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ডেপস্যাংয়ের এক স্থানে ১১ অক্টোবর চীনা বাহিনীর যে অবস্থান ছিল, ২৫ অক্টোবর তা নেই। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী চীনা বাহিনী তা সরিয়ে নিয়েছে।
২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। এরপর দুই দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা মোতায়েন বাড়ানোর পাশাপাশি সামরিক তৎপরতাও বাড়িয়ে গেছে। দুই দেশের সেনাবাহিনী ও কূটনৈতিক স্তরে বারবার বৈঠকের ফলে সংঘর্ষের পরিস্থিতি এড়ানো গেলেও মুখোমুখি অবস্থান থেকে কোনো দেশই পিছিয়ে আসেনি। তবে ব্রিকস সম্মেলনে পাল্টে গেছে চিত্রপট।
ভারতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জু ফেইহং গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকে দুই দেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছেছে। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী চীনা প্রতিপক্ষের ওপর বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। এটি (বিশ্বাস পুনরুদ্ধার) তখনই ঘটবে যখন আমরা একে অপরকে দেখতে পারব, একে অপরকে বোঝাতে ও আশ্বস্ত করতে পারব যে আমরা বাফার জোনে ঢুকে পড়ছি না।’
ভারত-চীন দ্বন্দ্ব প্রশমনের বিষয়টি এশিয়া ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও বেশ প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এ বিষয়ে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক জোরাওয়ার দাউলত সিং বলেন, এই সমঝোতা এশিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক উন্নয়ন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা যুদ্ধের (কোল্ড ওয়ার) পরিকল্পনা থেকে ভারতকে আলাদা করতে পারে।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে চীনের ভূখণ্ডগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং আঞ্চলিক প্রভাবের বিরুদ্ধে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে। তবে চীন ও ভারতের সাম্প্রতিক এই সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে ভারত হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে তার সম্পর্কের দিক নির্ধারণ করতে পারে।
সম্পর্কের এমন উন্নতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বেলায় সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হবে অর্থনীতি। কারণ, এরই মধ্যে চীন–ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বহরে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে গেছে চীন। ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ভারত–চীন মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১১৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। যদিও চীনে ভারতের রপ্তানি ছিল মাত্র ১৬ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য-ঘাটতি এই মুহূর্তে ৮৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
চীনের চাহিদামতো বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ ভারত তুলে নিলে বাণিজ্য-ঘাটতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। টেলিকমসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উন্মুক্ত হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতীয় শিল্প মহলেরও চাপ রয়েছে সরকারের ওপর। বিশেষজ্ঞ মহল যদিও এই বিষয়ে ভারতকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি গভীর বিবেচনায় রাখতে বলেছে।
তবে চীনের সঙ্গে বিনিয়োগ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য ভারতের অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা জোর দিয়ে বলেছেন, চীনের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি করতে এবং ভারতের বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে প্রবেশে সহায়ক হতে পারে। ভারতের বৈদ্যুতিক যানবাহন, সোলার প্যানেল এবং ব্যাটারি শিল্পে চীনা বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদেরা। তাদের মতে, চীনের সঙ্গে নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত রাখা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বাড়ানো যেতে পারে।
এদিকে ভারত ও চীনের মধ্যে যখন সমঝোতার বিষয়টি সামনে আসছে, ঠিক তখনই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছু রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিশেষ করে কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর। এ অবস্থায় ভারত-চীন তাদের সমঝোতা আলোচনার মাধ্যমে সম্ভবত পশ্চিমাদের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চাইছে যে তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতার বিরোধিতা করলেও আঞ্চলিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।
তবে ভারতের কৌশলগত বিশ্লেষক অনিল ত্রিগুনায়েত মনে করেন, এই সমঝোতার মাধ্যমে উভয় দেশ একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে, যা কৌশলগত উত্তেজনার মধ্যেও বজায় থাকবে।
চীন ও ভারতের সমঝোতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে চার দেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির (কোয়াড) প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় তৈরি করছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এই জোট গঠিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপ চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে আনার চেষ্টা করছিল দীর্ঘদিন ধরে। এ কারণেই চীন-ভারত নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস।
এক সম্পাদকীয়তে পত্রিকাটি জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও চীনকে ‘ডিকাপলিং’ বিভক্ত রেখে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞার চাপের কারণে আঞ্চলিক উত্তেজনা ও ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বেড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই ভারত-চীন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাকনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক অধ্যাপক জিকুইন ঝু ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, ভারত-চীন সম্পর্কের বরফ গলে যাওয়া উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। এটি চীনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এতে কোয়াডের সদস্য ভারত পরবর্তীকালে চীনের বিরুদ্ধে কোনো শক্ত অবস্থান নেবে না। ফলে কোয়াড অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর বিশ্বের অনেক অঞ্চলে নতুন উদ্বেগ ও প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সতর্কভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, ইউক্রেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, আর ইসরায়েল অনেকটা খুশিতে উদ্বেলিত। তবে বিশেষ নজরে আছে পারস্য উপসাগরীয় তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি একটি বৃহত্তর সুরক্ষাবাদী নীতির দিকে ঝুঁকে পড়ে, তবে ছোট দেশগুলোকে এর বিরোধিতা করার জন্য উৎসাহিত করা কঠিন হবে। তবে সবকিছু এখনো সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। ট্রাম্পের সতর্কতাগুলো হয়তো তাঁর কথার প্রতিফলন হতে পারে। তবে, বাস্তবতা হলো—এভাবেই একটি গুরুতর বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে
১৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি তাঁর দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউস যাত্রা। ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব, তাঁর রাজনৈতিক বোঝাপড়াসহ নানা কারণেই বিশ্বজুড়ে দেশগুলো এখন হিসাব কষছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রেসিডেন্টের আমলে তাদের সঙ্গে যুক্তর
১৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে বড় অবদান রেখেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। আর এই সমর্থন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির জন্য লাভজনক হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
১৯ ঘণ্টা আগে