যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ‘স্পাই’ বা নজরদারির বেলুন উড়তে দেখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গত বুধবার মন্টানা অঙ্গরাজ্যের আকাশে বেলুনটি উড়তে দেখা যায়। এর আগে বেলুনটি আলাস্কার অ্যালেউটিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ও কানাডার ওপর দিয়ে উড়েছিল।
এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তাঁর চীন সফর স্থগিত করেছেন। যদিও চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ’ বেলুন। বাতাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চলে গেছে।
কিন্তু কথা হলো, স্যাটেলাইট থাকতে বেলুন দিয়ে চীন কেন গোয়েন্দাগিরি করতে যাবে? আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগমুহূর্তেই বা এমন ঘটনা কেন ঘটল? চীনের ‘স্পাই বেলুন’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আকাশ প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক হি ইউয়ান মিং বিবিসিকে বলেন, ‘উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি না করে বেইজিং মূলত ওয়াশিংটনকে বার্তা দিতে চেয়েছে যে আমরা প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। এ জন্যই তাঁরা এ ধরনের বেলুন ব্যবহার করেছে।’
অবশ্য নজরদারির জন্য বেলুন ব্যবহারের ধারণা বেশ পুরোনো। আধুনিক এই বেলুনগুলো পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৪ থেকে ৩৭ কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত উড়তে পারে। তবে চীনা বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন হো দাবি করেছেন, বেইজিংয়ের হাতে আরও অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি রয়েছে।
সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চীনা প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর ড. হো এ ধরনের বেলুন ব্যবহারের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে নজরদারি করতে চীনের হাতে অন্য উপায় রয়েছে। কিন্তু বেলুন ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা পাঠানো। মূলত আমেরিকানরা বিষয়টি নিয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটি দেখতে চেয়েছে চীন। চীন এটাও চেয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র যেন বেলুনটি শনাক্ত করে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের বেলুনে স্পাই ক্যামেরা এবং রাডার সেন্সরের মতো আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা যায়। নজরদারির জন্য বেলুন ব্যবহারের সুবিধা হলো—এটি ড্রোন বা স্যাটেলাইটের চেয়ে কম ব্যয়বহুল এবং স্থাপন করা সহজ। এ ছাড়া বেলুনের গতি ধীর হওয়ায় এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্ধারিত এলাকায় নজরদারি করা যায়। অন্যদিকে স্যাটেলাইটের গতিবিধি তার কক্ষপথে সীমাবদ্ধ থাকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা বেলুনটিকে গুলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্তে থেকে সরে আসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বেলুনটিকে গুলি করার নির্দেশ দিলে এফ-২২ যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই দিনই প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলিসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা গোয়েন্দা বেলুনটির হুমকি মূল্যায়ন করতে জরুরি বৈঠক করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন, গুলি করা হলে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ মানুষের জন্য বিপদ ঘটাতে পারে। তাই তাঁরা গুলি না করার পরামর্শ দেন।
মন্টানা একটি জনবহুল রাজ্য। এখানে বেলুনটি ধ্বংস হলে বাসিন্দাদের ক্ষতি হতে পারে। এই এলাকায় তিনটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ফিল্ড রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বেলুনটি সম্ভবত তথ্য সংগ্রহের জন্য সংবেদনশীল এলাকার ওপর দিয়ে উড়ছিল।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বেলুনটি যুক্তরাজ্যের জন্য এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো হুমকি নয়। কারণ কর্মকর্তারা জানেন, বেলুনটি এখন সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় আছে এবং কোন কোন এলাকা অতিক্রম করছে।
বাণিজ্যিক উড়োজাহাজগুলো যে উচ্চতায় উড্ডয়ন করে, বেলুনটি সেই উচ্চতার ওপরে থাকায় এটি উড়োজাহাজ চলাচলের জন্যও তেমন হুমকি নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বেইজিংয়ে চীনা কর্মকর্তাদের কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পেন্টাগন এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বেলুনটির বর্তমান অবস্থান প্রকাশ করেননি এবং এ ব্যাপারে বিশদ কোনো বিবরণও দেননি। তাঁরা শুধু বলেছেন, এ ধরনের নজরদারি বেলুন বেশ কয়েক বছর ধরেই শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে এই বেলুনটি দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে দেখা যাচ্ছে।
রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর মার্কো রুবি চীনা নজরদারি বেলুনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এক টুইটে বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে বেইজিং আমাদের ওপর নজরদারি নির্লজ্জভাবে বাড়িয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অন্য এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বেলুনটির বিষয়ে উল্লেখ না করে বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চীন।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের চীন সফরের কথা রয়েছে। এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বেলুন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই বেলুনের গতি সীমিত। এটি ‘মনুষ্যহীন বেসামরিক বিমানযান’। বাতাসের কারণে পরিকল্পিত রুট থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। প্রধানত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণায় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় অনিচ্ছাকৃত প্রবেশের জন্য চীন অনুতপ্ত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। অপ্রত্যাশিতভাবে বাতাসে এটি উড়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ‘স্পাই’ বা নজরদারির বেলুন উড়তে দেখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গত বুধবার মন্টানা অঙ্গরাজ্যের আকাশে বেলুনটি উড়তে দেখা যায়। এর আগে বেলুনটি আলাস্কার অ্যালেউটিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ও কানাডার ওপর দিয়ে উড়েছিল।
এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তাঁর চীন সফর স্থগিত করেছেন। যদিও চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ’ বেলুন। বাতাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চলে গেছে।
কিন্তু কথা হলো, স্যাটেলাইট থাকতে বেলুন দিয়ে চীন কেন গোয়েন্দাগিরি করতে যাবে? আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগমুহূর্তেই বা এমন ঘটনা কেন ঘটল? চীনের ‘স্পাই বেলুন’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আকাশ প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক হি ইউয়ান মিং বিবিসিকে বলেন, ‘উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি না করে বেইজিং মূলত ওয়াশিংটনকে বার্তা দিতে চেয়েছে যে আমরা প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। এ জন্যই তাঁরা এ ধরনের বেলুন ব্যবহার করেছে।’
অবশ্য নজরদারির জন্য বেলুন ব্যবহারের ধারণা বেশ পুরোনো। আধুনিক এই বেলুনগুলো পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২৪ থেকে ৩৭ কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত উড়তে পারে। তবে চীনা বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন হো দাবি করেছেন, বেইজিংয়ের হাতে আরও অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি রয়েছে।
সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চীনা প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর ড. হো এ ধরনের বেলুন ব্যবহারের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে নজরদারি করতে চীনের হাতে অন্য উপায় রয়েছে। কিন্তু বেলুন ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা পাঠানো। মূলত আমেরিকানরা বিষয়টি নিয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটি দেখতে চেয়েছে চীন। চীন এটাও চেয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র যেন বেলুনটি শনাক্ত করে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের বেলুনে স্পাই ক্যামেরা এবং রাডার সেন্সরের মতো আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করা যায়। নজরদারির জন্য বেলুন ব্যবহারের সুবিধা হলো—এটি ড্রোন বা স্যাটেলাইটের চেয়ে কম ব্যয়বহুল এবং স্থাপন করা সহজ। এ ছাড়া বেলুনের গতি ধীর হওয়ায় এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্ধারিত এলাকায় নজরদারি করা যায়। অন্যদিকে স্যাটেলাইটের গতিবিধি তার কক্ষপথে সীমাবদ্ধ থাকে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তারা বেলুনটিকে গুলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্তে থেকে সরে আসেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বেলুনটিকে গুলি করার নির্দেশ দিলে এফ-২২ যুদ্ধবিমান প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই দিনই প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলিসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা গোয়েন্দা বেলুনটির হুমকি মূল্যায়ন করতে জরুরি বৈঠক করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন, গুলি করা হলে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ মানুষের জন্য বিপদ ঘটাতে পারে। তাই তাঁরা গুলি না করার পরামর্শ দেন।
মন্টানা একটি জনবহুল রাজ্য। এখানে বেলুনটি ধ্বংস হলে বাসিন্দাদের ক্ষতি হতে পারে। এই এলাকায় তিনটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ফিল্ড রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, বেলুনটি সম্ভবত তথ্য সংগ্রহের জন্য সংবেদনশীল এলাকার ওপর দিয়ে উড়ছিল।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বেলুনটি যুক্তরাজ্যের জন্য এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো হুমকি নয়। কারণ কর্মকর্তারা জানেন, বেলুনটি এখন সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় আছে এবং কোন কোন এলাকা অতিক্রম করছে।
বাণিজ্যিক উড়োজাহাজগুলো যে উচ্চতায় উড্ডয়ন করে, বেলুনটি সেই উচ্চতার ওপরে থাকায় এটি উড়োজাহাজ চলাচলের জন্যও তেমন হুমকি নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বেইজিংয়ে চীনা কর্মকর্তাদের কাছেও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পেন্টাগন এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বেলুনটির বর্তমান অবস্থান প্রকাশ করেননি এবং এ ব্যাপারে বিশদ কোনো বিবরণও দেননি। তাঁরা শুধু বলেছেন, এ ধরনের নজরদারি বেলুন বেশ কয়েক বছর ধরেই শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে এই বেলুনটি দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে দেখা যাচ্ছে।
রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর মার্কো রুবি চীনা নজরদারি বেলুনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এক টুইটে বলেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে বেইজিং আমাদের ওপর নজরদারি নির্লজ্জভাবে বাড়িয়েছে।’
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অন্য এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বেলুনটির বিষয়ে উল্লেখ না করে বলেন, ‘বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চীন।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের চীন সফরের কথা রয়েছে। এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বেলুন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
এদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই বেলুনের গতি সীমিত। এটি ‘মনুষ্যহীন বেসামরিক বিমানযান’। বাতাসের কারণে পরিকল্পিত রুট থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। প্রধানত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণায় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় অনিচ্ছাকৃত প্রবেশের জন্য চীন অনুতপ্ত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। অপ্রত্যাশিতভাবে বাতাসে এটি উড়ে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ ক্যাম্পেইন এগিয়ে নিতে বিশ্বের দেশগুলোর ওপর বিশাল শুল্ক আরোপ করেছিলেন। যদিও পরে সেই শুল্ক তিনি ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। কিন্তু চীনের ওপর তিনি শুল্ক বাড়িয়েই চলেছেন। জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় কাছাকাছি পরিমাণে
৭ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একসময় অনেকগুলো দেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করতে চেয়েছিলেন। তবে এই যুদ্ধে এখন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রতিপক্ষ বলা যায় চীনকেই। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। গতকাল বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, চীন ছাড়া অন্য কোনো দেশের পণ্যের ওপর তিনি...
২ দিন আগেশুল্কযুদ্ধের হুংকার দিয়ে শুরু করলেও মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় ট্রাম্পকে পিছু হটতে হলো। শেয়ার ও বন্ডবাজারের অস্থিরতা, ক্ষুদ্র ব্যবসার ক্ষতি ও বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে ধস তাঁকে নীতিগত ইউ-টার্ন নিতে বাধ্য করেছে। তবে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি বিশ্ববাজারে স্বস্তি আনলেও চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতই
৩ দিন আগেগোপন চুক্তির আওতায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যান্য মিত্রশক্তি—যেমন ইতালি ও রাশিয়াও তুরস্কের কিছু অংশের ওপর নিজেদের দাবি জানিয়েছিল। রুশদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা ছিল ইস্তাম্বুল শাসন করা এবং একসময়ের বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের মহান রাজধানীতে অর্থোডক্স চার্চের প্রাধান্য পুনরুদ্ধার করা।
৩ দিন আগে