আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ছোট দেশ মালদ্বীপ। জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখের মতো। হাজারটির বেশি দ্বীপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের মানুষেরা। ছোট্ট এই দেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে বড়সড় পরিবর্তন আসন্ন বুঝতে পারছে বিশ্ব। বিশেষ করে নির্বাচনী ফলাফল দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদের কপালে।
মালদ্বীপে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মোহামেদ মুইজ্জু। গত শনিবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন চীনপন্থী এই নেতা।
মালদ্বীপে ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত নেতা ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুইজ্জু। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
ফলে মালদ্বীপের ভূ-রাজনীতিতে চীনের সম্ভাব্য প্রভাব ভাবাচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদের। এবারের ভোটকে ভারত ও চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের বিষয়ে একটি ‘গণভোট’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘এমন শক্তির প্রতিযোগিতায় প্রায়ই দুর্দান্ত শক্তির লড়াই চালায় প্রতিপক্ষ। সেই হিসাবে বেইজিং এ নির্বাচনে বড় বিজয়ী। মুইজ্জুর নির্বাচনী প্রচারণায় বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। পাশাপাশি মালদ্বীপে ভারতীয় সেনার উপস্থিতি বন্ধ করার মাধ্যমে ভারতের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যও ছিল, যা বেইজিংয়ের জন্য অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত।’
বর্তমানে মালদ্বীপে অবস্থান করছেন ৭৫ ভারতীয় সেনা। মালদ্বীপ থেকে এসব ভারতীয় সেনা একেবারে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুইজ্জু। ফলে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মুইজ্জু তাঁর দেশটিতে ভারতের প্রভাব কমাতে পদক্ষেপ নেবেন—এমনটিই ধারণা করছেন অনেক বিশ্লেষক।
অন্যদিকে এ অবস্থায় ভারতও থেমে থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মালদ্বীপে যতটা সম্ভব প্রভাব ধরে রাখতে চেষ্টা করবে ভারত। এর প্রমাণ মেলে, মুইজ্জুর জয়ের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো অভিনন্দন বার্তায়।
মালদ্বীপের প্রগ্রেসিভ পার্টির (পিপিএম) নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন মুইজ্জু। দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও চীনপন্থী নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিন কারাগারে থাকায় অপ্রত্যাশিতভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হন মুইজ্জু।
মালদ্বীপে নাটকীয়ভাবে নির্বাচিত নতুন এই সরকারের সঙ্গে ভারত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাইবে বলে মন্তব্য করেছেন শান্তনু রায় চৌধুরী। তিনি ‘দ্য চায়না ফ্যাক্টর: বেইজিং’স এক্সপান্ডিং এনগেজমেন্ট ইন শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মিয়ানমার’ শিরোনামে একটি বই লিখে পরিচিতি পান।
শান্তনু আরও বলেন, কিন্তু সামনের পথ নয়াদিল্লির জন্য এতটাও সুগম হবে না। নতুন সরকারের চীনপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব এবং মালেতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে নয়াদিল্লির করা বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ এখন ঝুলে আছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মুইজ্জুর বিজয় দেশটিতে কেবল বেইজিংয়ের প্রভাবই বাড়াবে না, সেই সঙ্গে চীনা বিনিয়োগকারীদেরও মালেতে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বিষয়টি নিয়ে মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, বেইজিং অবশ্যই মালদ্বীপে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে।
কুগেলম্যান আরও বলেন, ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে মালদ্বীপের নির্বাচনী ফলাফল ভারতের বিপক্ষে গেলেও পিছ পা হবে না নয়াদিল্লি। আপাতত মালেকে কোনোভাবেই চীনের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না নয়াদিল্লি। এ জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতাতেও শামিল হতে রাজি নয়াদিল্লি।
ছোট দেশ মালদ্বীপ। জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখের মতো। হাজারটির বেশি দ্বীপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের মানুষেরা। ছোট্ট এই দেশে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে বড়সড় পরিবর্তন আসন্ন বুঝতে পারছে বিশ্ব। বিশেষ করে নির্বাচনী ফলাফল দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদের কপালে।
মালদ্বীপে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মোহামেদ মুইজ্জু। গত শনিবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন চীনপন্থী এই নেতা।
মালদ্বীপে ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত নেতা ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুইজ্জু। চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
ফলে মালদ্বীপের ভূ-রাজনীতিতে চীনের সম্ভাব্য প্রভাব ভাবাচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদের। এবারের ভোটকে ভারত ও চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের বিষয়ে একটি ‘গণভোট’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘এমন শক্তির প্রতিযোগিতায় প্রায়ই দুর্দান্ত শক্তির লড়াই চালায় প্রতিপক্ষ। সেই হিসাবে বেইজিং এ নির্বাচনে বড় বিজয়ী। মুইজ্জুর নির্বাচনী প্রচারণায় বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। পাশাপাশি মালদ্বীপে ভারতীয় সেনার উপস্থিতি বন্ধ করার মাধ্যমে ভারতের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যও ছিল, যা বেইজিংয়ের জন্য অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত।’
বর্তমানে মালদ্বীপে অবস্থান করছেন ৭৫ ভারতীয় সেনা। মালদ্বীপ থেকে এসব ভারতীয় সেনা একেবারে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুইজ্জু। ফলে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মুইজ্জু তাঁর দেশটিতে ভারতের প্রভাব কমাতে পদক্ষেপ নেবেন—এমনটিই ধারণা করছেন অনেক বিশ্লেষক।
অন্যদিকে এ অবস্থায় ভারতও থেমে থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মালদ্বীপে যতটা সম্ভব প্রভাব ধরে রাখতে চেষ্টা করবে ভারত। এর প্রমাণ মেলে, মুইজ্জুর জয়ের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো অভিনন্দন বার্তায়।
মালদ্বীপের প্রগ্রেসিভ পার্টির (পিপিএম) নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন মুইজ্জু। দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও চীনপন্থী নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিন কারাগারে থাকায় অপ্রত্যাশিতভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হন মুইজ্জু।
মালদ্বীপে নাটকীয়ভাবে নির্বাচিত নতুন এই সরকারের সঙ্গে ভারত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাইবে বলে মন্তব্য করেছেন শান্তনু রায় চৌধুরী। তিনি ‘দ্য চায়না ফ্যাক্টর: বেইজিং’স এক্সপান্ডিং এনগেজমেন্ট ইন শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মিয়ানমার’ শিরোনামে একটি বই লিখে পরিচিতি পান।
শান্তনু আরও বলেন, কিন্তু সামনের পথ নয়াদিল্লির জন্য এতটাও সুগম হবে না। নতুন সরকারের চীনপন্থী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব এবং মালেতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে নয়াদিল্লির করা বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ এখন ঝুলে আছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মুইজ্জুর বিজয় দেশটিতে কেবল বেইজিংয়ের প্রভাবই বাড়াবে না, সেই সঙ্গে চীনা বিনিয়োগকারীদেরও মালেতে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বিষয়টি নিয়ে মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, বেইজিং অবশ্যই মালদ্বীপে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে।
কুগেলম্যান আরও বলেন, ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে মালদ্বীপের নির্বাচনী ফলাফল ভারতের বিপক্ষে গেলেও পিছ পা হবে না নয়াদিল্লি। আপাতত মালেকে কোনোভাবেই চীনের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না নয়াদিল্লি। এ জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতাতেও শামিল হতে রাজি নয়াদিল্লি।
সম্প্রতি ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন ডলার-নির্ভর বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই প্রথম দেশটি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ঘটনাটি বিশ্লেষকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বার্তা দিয়েছে চীন।
১ ঘণ্টা আগেএকটা সময় ইসরায়েলের ছোট ও সুসংহত সমাজকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রায় অপ্রতিরোধ্য বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন বিষয়টি কার্যত বদলে গেছে। বর্তমান সংঘাত, ইসরায়েলে উগ্র ডানপন্থার উত্থান এবং নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের বিচার বিভাগ সংস্কারের মতো বিষয়গুলো দেশটির সমাজে বিদ্যমান সূক্ষ্ম বিভাজনগুলো
৯ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রূপ এবং যুদ্ধ ও বাণিজ্য সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে বিশ্লেষণ। চীন, রাশিয়া ও ইউরোপের সাথে নতুন কৌশল এবং মার্কিন আধিপত্যের ভবিষ্যৎ।
২ দিন আগেকোভিড-১৯ মহামারির পর সোশ্যাল মিডিয়া ফাস্ট ফ্যাশন শিল্পকে ভঙ্গুর করে তুলেছে। জায়গা করে নিচ্ছে ভয়াবহ মানবাধিকার সংকট সৃস্টিকারী ‘আলট্রা-ফাস্ট ফ্যাশন’। সেই শিল্পে তৈরি মানুষেরই ‘রক্তে’ রঞ্জিত পোশাক সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করে কিনছে অনবরত। আর রক্তের বেসাতি থেকে মালিক শ্রেণি মুনাফা কামিয়েই যাচ্ছে।
৫ দিন আগে