তুনাজ্জিনা বিনতে মিজান (দুয়া)
একদিন এক পাখি সুরেলা কণ্ঠে গান গাইছিল। হঠাৎ পাখিটি এক লম্বা জিরাফের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিচের নদীতে পড়ে যায়। ওই সময় একটা ছোট হাতি নদীর ধারে পানি খাচ্ছিল। পাখিটাকে দেখে হাতিটি ছুটে গেল সাহায্য করতে। হাতি তার শুঁড় দিয়ে পাখিটিকে পাড়ে তুলে নিয়ে এল। সুস্থ হওয়ার পর পাখিটি উড়তে উড়তে চলে গেল জিরাফটির কাছে। সামনের একটা গাছের ডালে বসে বলল, তুমি আমাকে ধাক্কা দিলে কেন? জিরাফটি বলল, আমি যে তোমাকে দেখিনি! আর এত উপরে ওড়ার কী দরকার ছিল তোমার? পাখিটি তখন খুব রেগে গিয়ে জিরাফটির মাথায় ঠোকর দিতে লাগল। জিরাফটির মাথায় ঠোকর দেওয়ার পর জিরাফ বললো, ‘এত যে ঠোকর দিলে, তোমার তো ঠোঁট ব্যথা হওয়ার কথা। এবার তুমি খাবার খাবে কীভাবে?’ পাখিটি খুব রেগে গেল কথাটি শুনে। বললো, তবে রে ব্যাটা! দেখাচ্ছি মজা! পাখি গান ধরলো:
‘জিরাফের লম্বা গলা, কানে দিব ডলা।
কান গেল ছিলে, চমকে গেল পিলে।’
গান শুনে রেগে গিয়ে জিরাফ পাখিকে জোরে ধাক্কা দিল। ধাক্কা খেয়ে পাখি ছিটকে পড়ল ডাল থেকে। অন্য গাছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ার সময় পাখির পা গেল ভেঙে। অন্য পাখিরা কিচিরমিচির করে ছুটে আসতে লাগল আহত পাখিকে উদ্ধার করতে। কিন্তু কেউ পাখিটিকে মাটি থেকে পাখির বাসায় বা কোনো ডালেই টেনে তুলতে পারছিল না। কয়েকটা পাখি কিচিমিচির ডাকতে ডাকতে ছুটে চলল বানরের দলকে ডেকে আনতে। এদিকে বানরের দল খাবারের খোঁজে কোথায় গেছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দলের বন্ধুকে আহত দেখে কয়েকটা বন্ধু পাখি ছুটতে ছুটতে পৌঁছে গেল জিরাফের কাছে। ঠোকর দিতে থাকল জিরাফের মাথায়। এদিক ওদিক মাথা সরাতে সরাতে হাঁটতে থাকল জিরাফ। এসে দাঁড়াল পাখিটি যেখানে পড়ে আছে সেখানে। পাখিকে দেখে খুবই কষ্ট হলো ওর, হলো মন খারাপ। লম্বা মাথাটা ঝুঁকিয়ে তুলে আনলো মুখে করে। তারপর রেখে এল পাখির বাসায়। তারপর প্রতিদিন দেখে আসতো অসুস্থ পাখিকে। একটু সুস্থ হলে মাথায় বসিয়ে নিয়ে বেড়াতে যেত জিরাফ। এভাবে ওরা বন্ধু হয়ে গেল। জিরাফ ওয়াদা করল দেখে শুনে পথ চলবে আর পাখি ওয়াদা করল আর কখনো কাউকে রাগানোর মতো গান গাইবে না।
তুনাজ্জিনা বিনতে মিজান (দুয়া)
ইউনিক পাবলিক স্কুল, বগুড়া
দ্বিতীয় শ্রেণি, প্রভাতি
বয়স-৮ বছর।
একদিন এক পাখি সুরেলা কণ্ঠে গান গাইছিল। হঠাৎ পাখিটি এক লম্বা জিরাফের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিচের নদীতে পড়ে যায়। ওই সময় একটা ছোট হাতি নদীর ধারে পানি খাচ্ছিল। পাখিটাকে দেখে হাতিটি ছুটে গেল সাহায্য করতে। হাতি তার শুঁড় দিয়ে পাখিটিকে পাড়ে তুলে নিয়ে এল। সুস্থ হওয়ার পর পাখিটি উড়তে উড়তে চলে গেল জিরাফটির কাছে। সামনের একটা গাছের ডালে বসে বলল, তুমি আমাকে ধাক্কা দিলে কেন? জিরাফটি বলল, আমি যে তোমাকে দেখিনি! আর এত উপরে ওড়ার কী দরকার ছিল তোমার? পাখিটি তখন খুব রেগে গিয়ে জিরাফটির মাথায় ঠোকর দিতে লাগল। জিরাফটির মাথায় ঠোকর দেওয়ার পর জিরাফ বললো, ‘এত যে ঠোকর দিলে, তোমার তো ঠোঁট ব্যথা হওয়ার কথা। এবার তুমি খাবার খাবে কীভাবে?’ পাখিটি খুব রেগে গেল কথাটি শুনে। বললো, তবে রে ব্যাটা! দেখাচ্ছি মজা! পাখি গান ধরলো:
‘জিরাফের লম্বা গলা, কানে দিব ডলা।
কান গেল ছিলে, চমকে গেল পিলে।’
গান শুনে রেগে গিয়ে জিরাফ পাখিকে জোরে ধাক্কা দিল। ধাক্কা খেয়ে পাখি ছিটকে পড়ল ডাল থেকে। অন্য গাছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ার সময় পাখির পা গেল ভেঙে। অন্য পাখিরা কিচিরমিচির করে ছুটে আসতে লাগল আহত পাখিকে উদ্ধার করতে। কিন্তু কেউ পাখিটিকে মাটি থেকে পাখির বাসায় বা কোনো ডালেই টেনে তুলতে পারছিল না। কয়েকটা পাখি কিচিমিচির ডাকতে ডাকতে ছুটে চলল বানরের দলকে ডেকে আনতে। এদিকে বানরের দল খাবারের খোঁজে কোথায় গেছে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দলের বন্ধুকে আহত দেখে কয়েকটা বন্ধু পাখি ছুটতে ছুটতে পৌঁছে গেল জিরাফের কাছে। ঠোকর দিতে থাকল জিরাফের মাথায়। এদিক ওদিক মাথা সরাতে সরাতে হাঁটতে থাকল জিরাফ। এসে দাঁড়াল পাখিটি যেখানে পড়ে আছে সেখানে। পাখিকে দেখে খুবই কষ্ট হলো ওর, হলো মন খারাপ। লম্বা মাথাটা ঝুঁকিয়ে তুলে আনলো মুখে করে। তারপর রেখে এল পাখির বাসায়। তারপর প্রতিদিন দেখে আসতো অসুস্থ পাখিকে। একটু সুস্থ হলে মাথায় বসিয়ে নিয়ে বেড়াতে যেত জিরাফ। এভাবে ওরা বন্ধু হয়ে গেল। জিরাফ ওয়াদা করল দেখে শুনে পথ চলবে আর পাখি ওয়াদা করল আর কখনো কাউকে রাগানোর মতো গান গাইবে না।
তুনাজ্জিনা বিনতে মিজান (দুয়া)
ইউনিক পাবলিক স্কুল, বগুড়া
দ্বিতীয় শ্রেণি, প্রভাতি
বয়স-৮ বছর।
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
২ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৩ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২০ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২০ দিন আগে