টিনের ঘরে গোঁজা ছিল তালপাতার এক পাখা পাখাটিতে আমার মায়ের আদর সোহাগ মাখা।
লেজ-ঝুলঝুল একটি পাখি পাখায় দিয়ে ভর শিরীষগাছের শাখায়-শাখায় তোলে তুমুল ঝড়।
রূপকথা শহরে বেড়ে ওঠা মিষ্টি একটা মেয়ে। বয়স এখনো দশের ঘর পার হয়নি। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ছে। সেই রূপকথার একজন কাকু আছে। তার নাম রুদ্র।
এক জেব্রা ছিল, নাম তেলনিয়াশকা। জেব্রা তো জেব্রার মতোই হবে। সারাটা দিন কেবল কাঁদত আর কাঁদত। সকাল, বিকেল, রাত শুধু কেঁদেই যেত সে। খাওয়ার আগে, খাওয়ার পরে, দাঁত মাজার সময় এমনকি ঘুমের ভেতরও কাঁদত সে। তাঁর কান্নার শব্দ শুনে মাঝে মাঝে প্রতিবেশী পশুপাখিরা জানালায় এসে বলত, ‘তুমি যদি এভাবে কান্না করতে থাকো, ত
চোখ পাকিয়ে গোল ছুটলে কোথায় কোন পাড়াতে কোন ছেলেটার ভূত ছাড়াতে কোন গাছে আজ চড়বে তুমি কোথায় খাবে দোল!
‘লাউয়াছড়া’ গভীর বনে শিয়াল সাজে টিচার ‘হুক্কাহুয়া’ ডাক দিলে কয় বনমোরগে, জি স্যার! বলল শিয়াল ‘হুক্কাহুয়া’ ডাকতে হবে সবাই হুক্কাহুয়ার টিচিং নেবে? আমরা আছি ছ’ভাই!
বিকেলে ছোট খালা এলেন। মা আমাকে চুপিচুপি বললেন, ‘খোকা, বাজারে যা। ঘরে তেমন কিছু নেই। তোর খালা দুই দিন থাকবে। আজ হাটবার। বুধবারের আগে আর হাট বসবে না। ভালো দেখে একটা পদ্মার ইলিশ আর কিছু সবজি নিয়ে আয়। মাংস লাগবে না, ঘরের মুরগি দিয়ে চলবে।’
আবিষ্কারের চাপলে নেশা মাথায় ডুবল মিঠুন বিশ্বজ্ঞানের পাতায়। আরকিমিডিস গ্যালিলিও কুরি পড়ছে মিঠুন ভরছে জ্ঞানের ঝুড়ি।
ভালুক গেল ভাগলপুরে বিচ ভলিবল খেলতে, বিড়াল মাছের দাওয়াত বলো কও কি পারে ফেলতে! শেয়াল যাবে শিয়ালদহে মুরগি বাড়ি বেড়াতে, কুমির গেল কুমারগঞ্জে আর ফেরেনি সে রাতে।
একদিন এক পাখি সুরেলা কণ্ঠে গান গাইছিল। হঠাৎ পাখিটি এক লম্বা জিরাফের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নিচের নদীতে পড়ে যায়। ওই সময় একটা ছোট হাতি নদীর ধারে পানি খাচ্ছিল।
একটা বাঁশের খাঁচা হাতে নিয়ে বসে আছে মাহি। পাখি খুব ভালোবাসে সে। পাখি পোষা তার বহুদিনের শখ। তাই গতকাল বাবা খাঁচাটি এনে দিয়েছেন তাকে। এখন খাঁচা হাতে নিয়ে বদু ভাইয়ের অপেক্ষায় বসে আছে। পাখি ধরে আনতে জঙ্গলে গেছে বদু ভাই। এই কাজে বদু ভাই খুবই পটু। ওস্তাদ টাইপের লোক বললেও ভুল হবে না। পাখি ধরা যেন তার নেশা
‘আবোল তাবোল’ বকো না তো খাও ‘খিচুড়ি’ পেট ভরে ‘কাঠবুড়ো’কে দেখি না আজ ‘কুমড়োপটাশ’ কার ঘরে? ‘কাতুকুতু বুড়ো’ কোথায়? ‘গানের গুতো’ খাচ্ছে কী?
সমাজের অনাচার যত ভুল আছে, অনিয়ম দেখা যায় দূরে আর কাছে। কর্তা গিন্নি বাবু সাহেবের কাজে, সংসারে যখনই বারোটা বাজে।
হাঁস আর শজারুকে হাঁসজারু করে, গোমুণ্ডু জুড়ে দেন মোরগের ধড়ে। কাতুকুতু বুড়োটাকে ছেড়ে দেন মাঠে, হুঁকোমুখো হ্যাংলাটা টিংটিং হাঁটে।
যাচ্ছ কোথায় পাগলা দাশু যাচ্ছ কোথায় টুনি? আবোল তাবোল বকছো সবাই ধান্দা কী তা শুনি!
এই তো পড়া শুরু করেছ দেখছি! অনেক কথা আছে তোমার সঙ্গে আমার। টুকুন, আমাকে কী করেছে দেখেছ? সব বলব, আজ তোমাদের। আমি আগে ছিলাম এক লিটারের কোকা-কোলার বোতল। টুকুনের বাবা বাসার নিচের দোকান থেকে আমাকে নিয়ে এসেছিলেন। কোকা-কোলা শেষ হওয়ার পর টুকুনের মা আমাকে ময়লার ঝুড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন; তখন টুকুন বলল, ‘মা, ব
‘এ ছেলের কোনো দিন লেখাপড়া হবে না! পড়াশোনায় একেবারে মনোযোগ নেই!’ শিক্ষকদের এমন মন্তব্য শুনে অসন্তুষ্ট হলেন মা। তিনি জানতেন, ছেলে তাঁর অসাধারণ মেধাবী; একদিন সে বড় কিছু হবেই।