অনলাইন ডেস্ক
মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) শিক্ষার্থীদের ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার না করাসহ ৫ দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন, মেডিকেল অফিসার ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এই আন্দোলনে নামেন তাঁরা। ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের ডাক্তার পদবি ব্যবহারসংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ও মেডিকেল অফিসাররা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মিম বলেন, ‘ছয় মাস বা তিন বছরের কোর্স করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে চায়। অথচ মেডিকেল কলেজে পাঁচ বছর এমবিবিএস ও বিডিএস পড়তে হয়। এরপর বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ডাক্তার ব্যবহার করতে হয়। আমরা চাই, ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের রিটের বিপরীতে তাদের ডাক্তার পদবি ব্যবহারের কোনো রায় যেন কোর্ট না দেন। বিএমডিসি থেকে যেন তাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন দেওয়া না হয়। এতে জনমানুষের জন্য বিব্রতকর হবে। চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাঘাত ঘটবে।’
জায়েদ বিন হাসান নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেন, ‘ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীরা ডাক্তারদের সহযোগী হিসেবে বের হয়। কিন্তু তারা ডাক্তার হওয়ার দাবি করছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। গরিব মানুষ জানে না সে এমবিবিএস ডাক্তার কি না। আমাদের এখন নিজেদের পরিচয়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়।’
ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের এক রিটের বিপরীতে আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তায় নামেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকেরা। বেলা ১টার দিকে ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
মেডিকেল কলেজ ও চিকিৎসকদের পাঁচ দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. ডাক্তার পদবি ব্যবহারসংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা; যা ২০১০ সালে সরকার দিয়েছে।
২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্য পদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরিতে প্রবেশের পথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।
৪. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান ও মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এর মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।
৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে।
মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) শিক্ষার্থীদের ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার না করাসহ ৫ দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন, মেডিকেল অফিসার ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে এই আন্দোলনে নামেন তাঁরা। ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের ডাক্তার পদবি ব্যবহারসংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি পালন করছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন ও মেডিকেল অফিসাররা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মিম বলেন, ‘ছয় মাস বা তিন বছরের কোর্স করে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে চায়। অথচ মেডিকেল কলেজে পাঁচ বছর এমবিবিএস ও বিডিএস পড়তে হয়। এরপর বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ডাক্তার ব্যবহার করতে হয়। আমরা চাই, ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের রিটের বিপরীতে তাদের ডাক্তার পদবি ব্যবহারের কোনো রায় যেন কোর্ট না দেন। বিএমডিসি থেকে যেন তাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন দেওয়া না হয়। এতে জনমানুষের জন্য বিব্রতকর হবে। চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যাঘাত ঘটবে।’
জায়েদ বিন হাসান নামের এক মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেন, ‘ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীরা ডাক্তারদের সহযোগী হিসেবে বের হয়। কিন্তু তারা ডাক্তার হওয়ার দাবি করছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে বিভ্রান্তি তৈরি হবে। গরিব মানুষ জানে না সে এমবিবিএস ডাক্তার কি না। আমাদের এখন নিজেদের পরিচয়ের জন্য রাস্তায় নামতে হয়।’
ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের এক রিটের বিপরীতে আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তায় নামেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকেরা। বেলা ১টার দিকে ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
মেডিকেল কলেজ ও চিকিৎসকদের পাঁচ দাবির মধ্যে রয়েছে:
১. ডাক্তার পদবি ব্যবহারসংক্রান্ত রিট প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা; যা ২০১০ সালে সরকার দিয়েছে।
২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্য পদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ষষ্ঠ গ্রেডে চাকরিতে প্রবেশের পথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।
৪. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান ও মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এর মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস ও ডিএমএফ শিক্ষার্থীদের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।
৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফার দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ করেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। সরকারের আশ্বাসে তাঁদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ঝটিকা মিছিল করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একই সময়ে ফতুল্লায় মিছিলের প্রস্তুতির সময় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাতিরঝিল মোড়ল গলিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল কর্মী আরিফ শিকদার (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
১ ঘণ্টা আগেবরগুনার তালতলীতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন রেজাউল ইসলাম নামের এক যুবক। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো তুসুকা জিনস লিমিটেড, তুসুকা ট্রাউজার্স লিমিটেড, তুসুকা ডেনিম লিমিডেট, তুসুকা প্রসেসিং লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড ও তুসুকা প্যাকেজিং লিমিটেড। নোটিশে বলা হয়, উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, কারখানার...
২ ঘণ্টা আগে