Ajker Patrika

বরগুনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকার মানহানি মামলা

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৩, ১৮: ০৫
বরগুনায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কোটি টাকার মানহানি মামলা

বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৩ নম্বর সদস্য জাকির খানের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হয়েছে। বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি করেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার নাদিরা সুলতানা। গত মঙ্গলবার আদালতে মামলাটি হয় বলে তিনি জানান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের দলনেতা ছিলেন তালিমুল ইসলাম পলাশ। এ সময় জাকির খান বামনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে ১ নম্বর সদস্য পদ দাবি করেন। কিন্তু জাকির খান ঢাকায় অবস্থান করেন এবং সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যস্ত থাকেন বিধায় তাঁকে ওই পদে সুপারিশ করেননি পলাশ। এতে মনঃক্ষুণ্ন হয়ে আসামি জাকির খান প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজের ব্যাংক (প্রিমিয়ার ব্যাংক, আশকোনা, ঢাকা) অ্যাকাউন্টের চেকে বাদীর অনুকূলে ৫০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করে জাকির খান নিজেই তালিমুল ইসলাম পলাশের স্বাক্ষর জাল করে টাকা তুলে নেন। 

এরপর কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য বাদীকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন এবং পদ-বাণিজ্য করেছেন মর্মে প্রচার চালান, যা বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে বাদীর এক কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে মামলায় দাবি করা হয়। 

মামলার বাদী তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘জাকির খান বামনা উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য পদ দাবি করেছিল। আমি জেলা বিএনপির কাছে তার নাম সুপারিশ না করায় সে আমাকে অপদস্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে। এর অংশ হিসেবে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আমার নামে ৫০ হাজার টাকার চেক ইস্যু করে চেকে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা নিজেই তুলে নিয়ে উৎকোচ দেওয়ার প্রমাণ তৈরি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ ছড়ায়।’ 

‘গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত খবরও প্রকাশিত হয়। এতে আমার মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতে ন্যায়বিচার পাব বলে আমি আশা করছি।’ 

মামলার বিষয় নিয়ে কথা বলতে জাকির খানের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ছাড়া তাঁর ওয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি। 

জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাকির খান একজন ব্যবসায়ী। তিনি পদ কিনে রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন। আমরা সে সুযোগ না দেওয়ার পক্ষে থাকায় আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন। পলাশ মামলা করেছেন জেনেছি। আশা করি, আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত