খান রফিক, বরিশাল
এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘খনন করে নদীর বালু নদীতে ফেলার অর্থ হচ্ছে নদীতেই সরকারি টাকা ঢালা। এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা হচ্ছে। পরিকল্পিত খননের অভাবে কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল নৌবন্দরটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্দরের উত্তরে বিশাল চর পড়েছে। যে কারণে বন্দর টিকিয়ে রাখা কঠিন। প্রতিবছর বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কাজে আসছে না। বন্দরে লঞ্চ ভেড়ানোই কষ্টকর।’
শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা-সংকট রোধে এবং নৌবন্দর সচল রাখতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঘটা করে খনন কার্যক্রম শুরু করে ড্রেজিং বিভাগ। গত ৫ নভেম্বর শুরু হয় এই কার্যক্রম। কিন্তু নৌ বন্দর এলাকায় খননের পর বালু আবারও নদীতে ফেলার কারণে এই ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরিশাল-ঢাকা নৌপথের বিভিন্ন লঞ্চের মাস্টার অভিযোগ করেন, যেটুকু গভীরে খনন করার কথা ছিল, তা করা হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিবছরের মতো এবারও মোটা অঙ্ক ব্যয় করে বন্দরে চলছে দায়সারা খনন। তবে ড্রেজিং বিভাগ বলছে, নৌবন্দর ঘিরে এ বছর প্রায় এক লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলন করা হবে। বরিশাল নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের কাছেই ড্রেজিং চলছে। পাইপ দিয়ে সেই বালু ফেলা হচ্ছে অদূরে নদীতেই। আশপাশের একাধিক লঞ্চের স্টাফ জানান, ধীর গতিতে চলছে খনন। প্রায়ই এটি বন্ধ থাকে।
বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘বন্দর এলাকায় ড্রেজিং চলছে। এর মধ্যে একটি যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা থেকে মেরামত করে আনায় দুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ড্রেজিংয়ের জন্য লঞ্চগুলো একটি পন্টুন ছেড়ে দক্ষিণে রাখা হচ্ছে। বিকল্প পন্টুন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।’
এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে পয়েন্টে খননের কথা বলেছি, সেখানে খনন হচ্ছে না। তাদের প্রস্তাব ছিল, খনন চলাকালীন সব লঞ্চ বন্দর থেকে সরিয়ে বিকল্প পন্টুনে রাখব। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ বিকল্প পন্টুন না করে বন্দরের দক্ষিণে গাদাগাদি করে লঞ্চ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এখন তারা দক্ষিণে একটা লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ রাখছেন। এতে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ বাড়ছে।’
মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘ড্রেজিং বিভাগ ১০ দিন ধরে যে খনন শুরু করেছে, তা এক দিন করে তো দুই দিন করে না। দুই দিন ধরে ড্রেজিং বন্ধ। এ কদিন যে খনন করেছে, তাতে সাদা পানি বের হয়, কাদা ময়লা পানি বের হয় না। এর অর্থ একদিকে যেমন খনন গভীরে করা হচ্ছে না, অন্যদিকে নদীর মধ্যেই বালু ফেলা হচ্ছে। এতে পানির ঘূর্ণিতে ওই বালু বন্দরের পাশেই চলে আসছে। টেকসই ড্রেজিং করার জন্য বন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অন্তত ২০ ফুট গভীরে খনন দরকার। কারণ ঢাকা-বরিশাল বড় লঞ্চে কমপক্ষে ১৬ ফুট পানি দরকার। কিন্তু এবারও তারা বন্দরে ১৫ ফুটের বেশি গভীরে খনন করবে না। এই দায়সারা খননে দু-তিন মাস লাগবে। কিন্তু এই তিন মাসে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।’
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে নাব্যতা-সংকট দেখা দেওয়া বিভিন্ন নদীর ৪৭টি পয়েন্টে খনন শুরু করেছেন। প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলনে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে নৌবন্দরে ১ লাখ ঘনমিটার বালু খনন চলছে। স্থান না পাওয়ায় বরিশাল নৌবন্দর-সংলগ্ন কীর্তনখোলার বালু কেটে নদীর গভীরে ফেলছেন।
তবে বরিশাল নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, ‘নদীতে সঠিকভাবে জরিপ না করায় ড্রেজিংয়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নৌবন্দরের সামনে বারবার খনন করতে হচ্ছে। প্রতিবছর যে ড্রেজিং করা হয়, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। এবারও বন্দর এলাকায় খনন করে বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাককে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। পরে অবশ্য আর ফোন দেননি তিনি।
এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা—কথাগুলো বলছিলেন নদী খাল বাঁচাও আন্দোলনের বরিশাল কমিটির সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু। বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলমান ড্রেজিংকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ‘খনন করে নদীর বালু নদীতে ফেলার অর্থ হচ্ছে নদীতেই সরকারি টাকা ঢালা। এ যেন নদী সেচে নদীতেই জল ঢালা হচ্ছে। পরিকল্পিত খননের অভাবে কীর্তনখোলা নদীতে বরিশাল নৌবন্দরটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বন্দরের উত্তরে বিশাল চর পড়েছে। যে কারণে বন্দর টিকিয়ে রাখা কঠিন। প্রতিবছর বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগ বিপুল অর্থ ব্যয় করলেও তা কাজে আসছে না। বন্দরে লঞ্চ ভেড়ানোই কষ্টকর।’
শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা-সংকট রোধে এবং নৌবন্দর সচল রাখতে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঘটা করে খনন কার্যক্রম শুরু করে ড্রেজিং বিভাগ। গত ৫ নভেম্বর শুরু হয় এই কার্যক্রম। কিন্তু নৌ বন্দর এলাকায় খননের পর বালু আবারও নদীতে ফেলার কারণে এই ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরিশাল-ঢাকা নৌপথের বিভিন্ন লঞ্চের মাস্টার অভিযোগ করেন, যেটুকু গভীরে খনন করার কথা ছিল, তা করা হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিবছরের মতো এবারও মোটা অঙ্ক ব্যয় করে বন্দরে চলছে দায়সারা খনন। তবে ড্রেজিং বিভাগ বলছে, নৌবন্দর ঘিরে এ বছর প্রায় এক লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলন করা হবে। বরিশাল নৌবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের কাছেই ড্রেজিং চলছে। পাইপ দিয়ে সেই বালু ফেলা হচ্ছে অদূরে নদীতেই। আশপাশের একাধিক লঞ্চের স্টাফ জানান, ধীর গতিতে চলছে খনন। প্রায়ই এটি বন্ধ থাকে।
বরিশাল নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, ‘বন্দর এলাকায় ড্রেজিং চলছে। এর মধ্যে একটি যন্ত্রাংশ ভেঙে যাওয়ায় ঢাকা থেকে মেরামত করে আনায় দুদিন কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে ড্রেজিংয়ের জন্য লঞ্চগুলো একটি পন্টুন ছেড়ে দক্ষিণে রাখা হচ্ছে। বিকল্প পন্টুন দেওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।’
এমভি সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের মাস্টার মজিবর রহমান বলেন, ‘আমরা যে পয়েন্টে খননের কথা বলেছি, সেখানে খনন হচ্ছে না। তাদের প্রস্তাব ছিল, খনন চলাকালীন সব লঞ্চ বন্দর থেকে সরিয়ে বিকল্প পন্টুনে রাখব। কিন্তু ড্রেজিং বিভাগ বিকল্প পন্টুন না করে বন্দরের দক্ষিণে গাদাগাদি করে লঞ্চ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়। এখন তারা দক্ষিণে একটা লঞ্চের পেছনে আরেকটি লঞ্চ রাখছেন। এতে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ভোগ বাড়ছে।’
মজিবর রহমান আরও বলেন, ‘ড্রেজিং বিভাগ ১০ দিন ধরে যে খনন শুরু করেছে, তা এক দিন করে তো দুই দিন করে না। দুই দিন ধরে ড্রেজিং বন্ধ। এ কদিন যে খনন করেছে, তাতে সাদা পানি বের হয়, কাদা ময়লা পানি বের হয় না। এর অর্থ একদিকে যেমন খনন গভীরে করা হচ্ছে না, অন্যদিকে নদীর মধ্যেই বালু ফেলা হচ্ছে। এতে পানির ঘূর্ণিতে ওই বালু বন্দরের পাশেই চলে আসছে। টেকসই ড্রেজিং করার জন্য বন্দরসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর অন্তত ২০ ফুট গভীরে খনন দরকার। কারণ ঢাকা-বরিশাল বড় লঞ্চে কমপক্ষে ১৬ ফুট পানি দরকার। কিন্তু এবারও তারা বন্দরে ১৫ ফুটের বেশি গভীরে খনন করবে না। এই দায়সারা খননে দু-তিন মাস লাগবে। কিন্তু এই তিন মাসে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।’
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে নাব্যতা-সংকট দেখা দেওয়া বিভিন্ন নদীর ৪৭টি পয়েন্টে খনন শুরু করেছেন। প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার বালু উত্তোলনে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। এর মধ্যে নৌবন্দরে ১ লাখ ঘনমিটার বালু খনন চলছে। স্থান না পাওয়ায় বরিশাল নৌবন্দর-সংলগ্ন কীর্তনখোলার বালু কেটে নদীর গভীরে ফেলছেন।
তবে বরিশাল নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, ‘নদীতে সঠিকভাবে জরিপ না করায় ড্রেজিংয়ের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নৌবন্দরের সামনে বারবার খনন করতে হচ্ছে। প্রতিবছর যে ড্রেজিং করা হয়, তা বোঝার কোনো উপায় নেই। এবারও বন্দর এলাকায় খনন করে বালু নদীতেই ফেলা হচ্ছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাককে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, ব্যস্ত আছেন, পরে কথা বলবেন। পরে অবশ্য আর ফোন দেননি তিনি।
সুনির্দিষ্ট ডিজাইন করে অটোরিকশা বিআরটিএ থেকে অনুমোদন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জাগরণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সোহেল রানা। বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হক চৌধুরী হলে ‘আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় সড়ক পরিবহনে রিকশা বিতর্ক ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানান।
১০ মিনিট আগেআমি নিম্নস্বাক্ষরকারী চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে আপনার নেতৃত্বাধীন স্কাউট টিম মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এর স্ত্রী। দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শপথ গ্রহণের পর আপনি আইনের শাসন বজায় রাখা এবং দুঃশাসনের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
১৪ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল থেকে চলা এই সংঘর্ষে তাঁদের মৃত্যু হয়। উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
২১ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার পর একটি বিদ্যালয়ের ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে