Ajker Patrika

আমতলীতে সাড়ে ৮ কোটির সড়ক ১০ মাসও টেকেনি

  • � লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম সড়কটিতে ভোগান্তি
  • � এলজিইডি চিঠি দিলেও সংস্কারকাজ করছেন না ঠিকাদার
মো. হোসেন আলী কাজী, আমতলী (বরগুনা)
পিচ ঢালাইয়ের সড়কের মাঝখানে খানাখন্দ। সম্প্রতি বরগুনার আমতলীর তারিকাটা এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিচ ঢালাইয়ের সড়কের মাঝখানে খানাখন্দ। সম্প্রতি বরগুনার আমতলীর তারিকাটা এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার আমতলী-তালতলী ও বাগেরহাটের ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার উপকূলীয় আঞ্চলিক সড়ক। তিন প্যাকেজে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকায় সড়কটি কার্পেটিং করে স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি)। ঠিকাদার ছিলেন মো. সগির হোসেন। কিন্তু ১০ মাসের মধ্যেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

ঠিকাদার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় কার্যাদেশ অনুসারে কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বারবার চিঠি দিলেও তিনি তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। এতে আঞ্চলিক সড়কটি ব্যবহারকারী লক্ষাধিক মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, বরগুনার আমতলী-তালতলী ও বাগেরহাটের ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার উপকূলীয় আঞ্চলিক সড়ক এটি। ২০২১ সালের অক্টোবরে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দে মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা সেতু পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণে তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। বরগুনার ঠিকাদার মো. সগির হোসেন ওই সড়ক নির্মাণের কাজ পান। কাজের দুই প্যাকেজ ২০২২ সালের শেষের দিকে সমাপ্ত করেন। সর্বশেষ প্যাকেজ তারিকাটা থেকে কচুপাত্রা সড়কের কাজ গত বছর ডিসেম্বর মাসে শুরু করেন ঠিকাদার।

নিম্নমানের কাজ করলেও তৎকালীন আমতলী এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ করে ঠিকাদার সগির হোসেন সমুদয় টাকা তুলে নেন। সড়ক নির্মাণের ১০ মাসের মাথায় সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমতলী-তালতলী উপজেলার অন্তত লক্ষাধিক মানুষ ও কয়েক শত যানবাহন চলাচল করে। এদিকে এ সড়ক সংস্কারের জন্য আমতলী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর বারবার ঠিকাদারকে চিঠি দিলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করছেন না বলে জানান আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী।

ঠিকাদার মো. সগির হোসেন বলেন, ‘ধারণক্ষমতার চেয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়ক ভেঙে গেছে। এতে আমার কী করার আছে? তবে আমাকে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ সড়ক সংস্কারের জন্য চিঠি দিয়েছে। আমি কাজ করে দেওয়ার কথা বলেছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘সংস্কারের জন্য ঠিকাদার সগির হোসেনকে কয়েক বার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তিনি কাজ করছেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত