Ajker Patrika

‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে’ আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও হিজলা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪, ২০: ১০
‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে’ আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে মেঘনার চরের সয়াবিনখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের দাবি, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। 

নিহত জামাল মাঝি (৫৫) ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত কাদের মাঝির ছেলে। তাঁর মাছঘাট আছে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথের অনুসারী। 

অভিযোগ উঠেছে, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ড. শাম্মী আহমেদের অনুসারী ও ধুলখোলা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন করা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এর আগে, গতকাল শুক্রবার জামাল উদ্দিন ঢালী গ্রুপের একজনকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেটির পাল্টা প্রতিশোধে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে দাবি নিহতের স্বজনদের। 

স্বজনেরা জানান, ভোররাতে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে আর ঘরে ফেরেননি জামাল মাঝি। আজ সকাল ৯টার দিকে এলাকাবাসী লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। 

স্থানীয় চৌকিদার আলী আশরাফ বলেন, এর আগে জামাল মাঝির ওপর চারবার হামলা হয় এবং ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ধুলখোলা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল ঢালী, মনির সিকদার, বাসেদ চৌকিদার, বাবুল রাঢ়ীসহ ২০-২৫ জন জামালকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা সংরক্ষিত আসনের এমপি ড. শাম্মীর অনুসারী বলে তিনি জানান। 

নিহত জামাল মাঝীর স্ত্রী আঁখি নুর বলেন, তাঁর স্বামীকে কুপিয়ে মেরেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জামাল ঢালী, আলম, বাবুলরা। এ ঘটনায় বিচার চান তিনি। 

অভিযুক্ত ধুলখোলা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল ঢালী বলেন, ‘কে বা কারা জামাল মাঝিকে মেরে ফেলে সয়াবিনখেতে ফেলে রেখেছে। তিনি পংকজের লোক হিসেবে আওয়ামী লীগ করেন। তিনি কিংবা তাঁর লোকদের সেখানে যাওয়ার সুযোগ নেই। জামাল মাঝি নিজেই বিভিন্ন সময় ঘরে আগুন দিয়ে হামলার নাটক করেছেন।’ 

ধুলখোলা ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য এনামুল ইসলাম রাসেল বলেন, পুলিশ সকাল ৯টার দিকে সয়াবিনখেতের মধ্য থেকে জামালের লাশ উদ্ধার করে। 

হিজলা থানার ওসি জুবায়ের হোসেন বলেন, জামাল মাঝি এমপি পংকজ গ্রুপের লোক। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শরীরে একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি। হত্যার ঘটনা রাজনৈতিক কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত