মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অসময়ে ধরা পড়ছে অসংখ্য ইলিশ 

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ২৯

এবার অসময়ে ভোলার মেঘনা নদী ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ। ছোট-বড় এসব ইলিশ ব্যাপারীরা ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে চালান করছেন। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রচুর ইলিশের দেখা মিলছে। সাধারণত এ সময়ে বাজারে তেমন ইলিশ থাকে না। এ বছর ছোট-বড় ইলিশের ছড়াছড়ি দেখে অবাক ক্রেতারা। বাজার চাহিদাও ব্যাপক, দামও ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে।

জেলে ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। এবার ভরা মৌসুমে ইলিশের দেখা মেলেনি। পৌষ-মাঘ মাসের অসময়ে ভোলার মেঘনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এখানকার জেলে, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা ইলিশকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ছাড়া দাম সস্তা হওয়ায় জেলার মাছঘাট ও হাটবাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষণীয়। গভীর রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু রূপালি ইলিশ। 

আজ রোববার সকালে শশীগঞ্জ মাছঘাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেকটি মাছ ২৫০-৪০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি (৪ টি) ইলিশ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, ৪৫০-৭০০ গ্রামের প্রতি হালি ইলিশ ৯০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, প্রতিটি ৭৫০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ইলিশ ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, এক কেজির ওপরে প্রতি হালি (৪ টি) ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ বর্ষা মৌসুমে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের হালি ৪ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন।

মাছ ধরে ফিরে আসা শশীগঞ্জ ঘাটের জেলে মফিজ মাঝি বলেন, ছোট নৌকায় ৬ জন জেলেকে নিয়ে মাছ ধরে একদিন পর ঘাটে আসি। মাছ বিক্রি করে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা হাতে পেয়েছি।

মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশওই ঘাটের আরও কয়েকজন জেলে বলেন, এখন আমরা প্রত্যেকদিন ২০-২৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পাড়ি। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে প্রত্যেকদিন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারিনি। বর্তমানে আমরা সংসার পরিচালনা করে দেনা পরিশোধ করার আশা করছি। 

চৌমুহনী বাজার এলাকার শ্রমজীবী কয়েকজন বলেন, বর্ষার চেয়ে ইলিশের দাম অনেক কম হওয়ায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ হালি ইলিশ কিনেছি। মেঘনার টাটকা ইলিশ অনেক সুস্বাদু। 

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুম, অভয়াশ্রম, জাটকা রক্ষা অভিযান, অবৈধ জাল উচ্ছেদের অভিযান ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষা অভিযান বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় নদনদীতে সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিল। সকল নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেদের অবরোধ পালন ফলপ্রসূ হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত