Ajker Patrika

‘আমার এ সাফল্য বাবা-মা দেখে যেতে পারলেন না’

ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮: ৩৪
‘আমার এ সাফল্য বাবা-মা দেখে যেতে পারলেন না’

২০২০ সালে মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা মারা যান। গত বছর এইচ এস সি পরীক্ষা চলাকালীন মারা যান তাঁর মা। কলেজের শিক্ষক ও আত্মীয়দের জোরাজুরিতে মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার মোস্তাফিজ। আজ রোববার এইচ. এস. সি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। জিপিএ ৫ পেয়েছেন মোস্তাফিজ। এমন আনন্দ সংবাদ জানানোর জন্য মা-বাবা বেঁচে নেই ভেবে কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি। 

মোস্তাফিজ উপজেলার আমান উল্লাহ মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। 

ফলাফল পাওয়ার পর কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমার এ সাফল্য বাবা-মা দেখে যেতে পারলেন না।’ 
 
শিক্ষার্থী মোস্তাফিজের বাবার নাম বিপ্লব আকন্দ। তিনি ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী। তাঁর মায়ের নাম লায়লা জেসমিন মুন্নী। তিনি মাটিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। 

বিপ্লব-মুন্নী দম্পতির দুই ছেলের মধ্যে মোস্তাফিজ বড়। ছোট ছেলে মুইন স্থানীয় বিহারীলাল মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। 

আমান উল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ মো. কাওসার উদ্দিন বলেন, ‘ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী। পরীক্ষা চলাকালীন ওর মা মারা যায়। সেদিন আমরা গিয়ে মায়ের মৃতদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ওর উপস্থিতিতে জানাজা সম্পন্ন করি। আফসোস এ সাফল্য দেখে যেতে পারেনি ওর বাবা-মা। ২০২০ সালে অল্প বয়সে ওর বাবা মারা যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মারা যায় মা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত