ঝালকাঠিতে ১১ দিনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি

ঝালকাঠি সংবাদদাতা
আপডেট : ০৫ জুন ২০২৪, ২১: ১৫
Thumbnail image

ঘূর্ণিঝড় রিমালের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও ঝালকাঠি সদর উপজেলা ও কাঠালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। এখনো বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন হাজারো গ্রাহক। তবে দু-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় লাইন চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে। অসহনীয় গরম, এমন অবস্থায় শিশু এবং বৃদ্ধদের খুব কষ্ট হচ্ছে। ১১ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই, রাতে ঘুমাতে পারছেন না। রাতের বেলা মোমের আলো ছাড়া কিছুর ব্যবস্থা নেই। 

কাঠালিয়ার শৌলাজালিয়া ইউনিয়নের বীণাপানির কানাইপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক বিজিবি সদস্য কবিরুল আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর ১১ দিন পার হলেও কানাইপুর এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সরবারহ করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ। যে কারণে এলাকার মানুষ গরমে ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দুর্ভোগে শিকার হচ্ছে। কানাইপুর এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানাচ্ছি।’

সদর উপজেলার গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ওস্তাখান গ্রামের গ্রাহক আলেয়া বেগম, মিনার বেগম, শেফালী আক্তার, সেতার আক্তার, আজগর আলী ও কালাম ফরাজী বলেন, ‘অসহনীয় গরম, এমন অবস্থায় ১১ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। রাতে ঘুমাতে পারি না। বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে দৈনন্দিন কাজ করার জন্য পানি তুলতে পারছি না। এত বড় ঝড় গেল, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করব যে মোবাইলেও কল যায় না। আমরা একেবারে অন্ধকারে আছি। জীবন এত দুর্বিষহ যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’

সদর উপজেলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান আকতার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালে এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক তারে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছ। ভেঙে গিয়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, ছিঁড়েছে তার। দ্রুত বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুতের লোকজনের সঙ্গে এলাকার যুবসমাজ একত্রিত হয়ে স্বেচ্ছায় গাছ কাটায় সহযোগিতা করছে।’

কাঠালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী প্রকৌশলী বিভাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের এবং ঠিকাদারের লোকজন একত্রিত হয়ে কাজ করেছেন। ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। আশা করছি কাল বৃহস্পতিবার দিনের মধ্যে বীণাপানির কানাইপুরসহ আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে সক্ষম হবো।’ 

রাজাপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌ. সুপ্রিয়া সমদ্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে উক্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।’ 

ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের সাড়ে চার শ স্টাফ কাজ করেছেন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে এখন পর্যন্ত সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়নি। হয়তোবা দু-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় লাইন চালু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত