বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত কমিটিতে সহসভাপতি পদ পান ধর্ষণ মামলার আসামি রাসেল। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে আজ সোমবার দুপুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগের পদ থেকে নিজেই অব্যাহতি নেন তিনি। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবিরও রাসেলের পদ পাওয়া ও অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতে বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত কমিটিতে রাসেলকে সহসভাপতির পদ দেওয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পর রাসেলের পদ পাওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ওঠে সহসভাপতি পদ পাওয়া রাসেল শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি। এতে সমালোচনার মুখে পড়ে বরগুনা জেলা ও বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ। পরে সোমবার দুপুরে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজেই পোস্ট দিয়ে অব্যাহতি নেন রাসেল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বরগুনার বামনা উপজেলার এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন রাসেল। এতে ওই স্কুলছাত্রী গর্ভবতী হয় এবং সন্তান প্রসব করে। এদিকে উপায়ান্তর না পেয়ে স্কুলছাত্রীর মা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২২ জুলাই ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৭ শিশুটির মা বাদী হয়ে রাসেলকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই বছর ২৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রাসেল জামিনে মুক্ত হন।
মামলার বাদী জানিয়েছেন, ওই মামলায় রাসেলকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদনও দিয়েছে। বর্তমানে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।
এদিকে একজন ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদ পাওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, ত্যাগীরা কমিটিতে জায়গা পান না, আর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানান তাঁরা।
বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এই অভিযুক্ত ছেলেকে আমি চিনি না। তিনি এর আগে ছাত্রলীগ করেছেন কিনা তাও আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে যদি ধর্ষণ মামলা থেকে থাকে তাহলে ছাত্রলীগের সভাপতি তো দূরের কথা তাকে দলের সদস্য পদেও রাখা হবে না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আজ সোমবার দুপুরের তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে লিখেন, ‘ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি নিলাম।’ তবে ওই পোস্টে তিনি অব্যাহতিপত্র আপলোড করেননি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘ওই ছেলের নাম প্রস্তাব করেছেন বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই তাকে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। মামলার বিষয়টি জানা ছিল না, জানা পর আমরা যোগাযোগ করার পর সে নিজেই পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছে।’
বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যঘোষিত কমিটিতে সহসভাপতি পদ পান ধর্ষণ মামলার আসামি রাসেল। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে আজ সোমবার দুপুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগের পদ থেকে নিজেই অব্যাহতি নেন তিনি। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবিরও রাসেলের পদ পাওয়া ও অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার রাতে বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত কমিটিতে রাসেলকে সহসভাপতির পদ দেওয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পর রাসেলের পদ পাওয়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ওঠে সহসভাপতি পদ পাওয়া রাসেল শিশু ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি। এতে সমালোচনার মুখে পড়ে বরগুনা জেলা ও বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ। পরে সোমবার দুপুরে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নিজেই পোস্ট দিয়ে অব্যাহতি নেন রাসেল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে বরগুনার বামনা উপজেলার এক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন রাসেল। এতে ওই স্কুলছাত্রী গর্ভবতী হয় এবং সন্তান প্রসব করে। এদিকে উপায়ান্তর না পেয়ে স্কুলছাত্রীর মা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২২ জুলাই ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৭ শিশুটির মা বাদী হয়ে রাসেলকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই বছর ২৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রাসেল জামিনে মুক্ত হন।
মামলার বাদী জানিয়েছেন, ওই মামলায় রাসেলকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদনও দিয়েছে। বর্তমানে আদালতে মামলাটি বিচারাধীন।
এদিকে একজন ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদ পাওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জানান, ত্যাগীরা কমিটিতে জায়গা পান না, আর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি হয় উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানান তাঁরা।
বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এই অভিযুক্ত ছেলেকে আমি চিনি না। তিনি এর আগে ছাত্রলীগ করেছেন কিনা তাও আমার জানা নেই। তার বিরুদ্ধে যদি ধর্ষণ মামলা থেকে থাকে তাহলে ছাত্রলীগের সভাপতি তো দূরের কথা তাকে দলের সদস্য পদেও রাখা হবে না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে আজ সোমবার দুপুরের তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে লিখেন, ‘ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি নিলাম।’ তবে ওই পোস্টে তিনি অব্যাহতিপত্র আপলোড করেননি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, ‘ওই ছেলের নাম প্রস্তাব করেছেন বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই তাকে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। মামলার বিষয়টি জানা ছিল না, জানা পর আমরা যোগাযোগ করার পর সে নিজেই পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছে।’
নাটোরের লালপুরে এক আইনজীবীর বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাতদল হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন আইনজীবীসহ তিনজন।
৪৩ মিনিট আগেরাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল ঠেকাতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র তালেবুর রহমান।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে শুরু হয়েছে পাথর লুটপাট। বুধবার সকালেও দেখা গেছে কয়েকশ বারকি নৌকায় করে চলেছে পাথর উত্তোলন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই অনন্য স্থান।
১ ঘণ্টা আগেসাভারে রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আহত শ্রমিক, নিহত শ্রমিকদের স্বজন ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে