বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, পিরোজপুরে প্রস্তুত ২৬০ আশ্রয়কেন্দ্র 

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ৩৮
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ৩৯

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপের ফলে পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে বিরাজ করছে। আজ সোমবার সকাল থেকে কিছু কিছু উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। জেলার কঁচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গাসহ বৃহৎ নদ-নদীগুলোতে জোয়ারের পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।

২২ দিন ইলিশ ধরায় অবরোধ থাকায় গভীর সাগরে পিরোজপুরের কোনো জেলে নেই। এ ছাড়াও পানি বাড়লে উপকূলবর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার মাঝেরচর, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, সাপলেজা খেতাচিড়া, ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালীচর, কালাইয়া, সন্নাসী, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, তেলীখালী এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।

তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উপজেলাগুলোর ২৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার রাখা হয়েছে। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, সিপিবিসহ কয়েক সংগঠনের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক জরুরি অবস্থায় সেবা প্রদানে জন্য প্রস্তুত আছে।

ভারী বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ে আবহাওয়া নিয়ে কৃষকেরা চিন্তিত থাকলেও কৃষি বিভাগ বলছে, পানিতে আমনের রোপণের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় হামুন আতঙ্ক রয়েছে পিরোজপুর জেলার মৎস্য চাষিরা। জেলায় তিন শতাধিক ঘের পুকুর রয়েছে যা অধিকাংশই অরক্ষিত। ফলে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলে ঘের পুকুর জলাশয়ের মাছ বের হয়ে যাবে বলে শঙ্কায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান ভারী বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ে আবহাওয়া দেখা দিলে নদী তীরবর্তী মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। ঘূর্ণিঝড় এর ক্ষতি এড়াতে ২৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি এড়াতে সকল দপ্তরকে সচেতন থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত