সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থেকে ইয়াবা উদ্ধার, তদন্তের আগেই পুলিশ বলছে ‘ফাঁসানো হয়েছে’

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩: ৫৭
Thumbnail image
ইয়াবা উদ্ধার হওয়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ও চালক মো. শাহাদাৎ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৩৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল শুক্রবার রাতে হাসপাতালটির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গাড়ির চালক মো. শাহাদাৎ হোসেনের উপস্থিতিতে গ্যারেজে রাখা অ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশি চালিয়ে টুল বক্সের ভেতর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। টুলবক্সের চাবি শুধু চালকের কাছে থাকলেও এ বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক (আরএমও) টি এম মেহেদী হাসান (সানি) ও ডিবি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন।

এ বিষয়ে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হয়তো চালককে কেউ ফাঁসানোর জন্য এ কাজ করেছে। গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাই চালকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম, জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মনিন্দ্র নাথ দত্ত ও ওয়ার্ড বয় নাসির জানান, সবার সামনেই শাহাদাৎ হোসেন চাবি দিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দেওয়ার পর ডিবি পুলিশ ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে  টুলবক্সের ভেতর থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো উদ্ধার করেছে। তখন বক্সটি অক্ষত অবস্থায়ই ছিল।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, আউটসোর্সিং প্রজেক্টের অ্যাম্বুলেন্স চালক মো. শাহাদাৎ হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই মাদকাসক্ত এবং মাদকের কারবার করেন। ডোপ টেস্ট করালেই বিষয়টি প্রমাণিত হবে। হাসপাতালের জেনারেটরের তেল ভর্তির দায়িত্বেও আছেন শাহাদাৎ। চলতি বছরের ৩০ জুন চতুর্থ এইচপিএনএসপি প্রকল্পের হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট ওপির আওতায় আউটসোর্সিং প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি এখনো বহাল রয়েছেন।

অ্যাম্বুলেন্সে ভেতর থেকে ইয়াবা উদ্ধারের বিষয়ে চালক মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য কেউ হয়তো এ কাজ করছে। আমি এ কাজের সঙ্গে জড়িত না।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক (আরএমও) টি এম মেহেদী হাসান (সানি) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিবি-পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি করার অনুমতি চাওয়ার পরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতেই গাড়ির ভেতর থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাড়ির চাবি সব সময় চালক শাহাদতের কাছেই থাকে। গাড়ির ভেতরে কীভাবে ইয়াবা এল তা আমাদের জানা নেই।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহম্মেদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও কোনো সাড়া দেননি তিনি।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) উজ্জ্বল কুমার রায় বলেন, ‘হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শপথ নিয়েই বাইডেনের নীতি বাতিল ও ১০০ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের

শাহজালাল বিমানবন্দরে চাকরি নেননি মনোজ কুমার, বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে বিভ্রান্তি

বিচার বিভাগের সমস্যা তুলে ধরলেন বিচারক, আনিসুল হক বললেন ‘সমস্যা কেটে যাবে’

বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১৬ জনের চাকরি, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ভাতা নয়, সঞ্চয়পত্র কিনে দিচ্ছে সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত