উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
‘চলো চলো আরাকান চলো’ ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আগামীকাল রোববার সকালে উখিয়া-টেকনাফের ১০টি ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে নিজ ঘরের ফেরার দাবি নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে পৃথক সমাবেশ। সেখানে সমবেত হতে সকল ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের কাছে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে বার্তা।
‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ শিরোনামে কক্সবাজারে ক্যাম্পগুলোতে সমাবেশ করতে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি সমাবেশকে সফল করতে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
উখিয়ার ২ ওয়েস্টের ৯,১৪, ১৩,১৭ নম্বর ক্যাম্প এবং ১ ওয়েস্টের ৪ ও ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে সকাল ৮টা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। যেখানে উল্লেখিত ক্যাম্পগুলোর পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা অংশ নেবেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ একই দাবিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে, এবারের সমাবেশের একক কোনো আয়োজক কিংবা নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ সামনে না এলেও প্রচারপত্রে আয়োজক হিসেবে ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী’ লেখা হয়েছে।
জানিয়েছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, এবারের সমাবেশ থেকে রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হবে।
উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই এবং আমাদের আশা এবারের সমাবেশটির মাধ্যমে উত্থাপিত রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাবে।’
রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং বলেন, ‘সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আমাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাই আমরা। সমাবেশে আমরা এই মূল দাবিটাই জানাব বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, আমরা কৃতজ্ঞ।’
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় জানিয়েছে, বড় কোনো জমায়েত-বিক্ষোভ কিংবা মিছিল না হওয়ার শর্তে রোহিঙ্গাদের শান্তি পূর্ণ অবস্থান সমাবেশে কোনো প্রকারের বাধা দেওয়া হবে না।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘আগামীকাল রোহিঙ্গারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানাবেন। তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না।’
তবে, এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ছাড়া রোহিঙ্গাদের বড় কোনো জমায়েত কিংবা বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসাইন বলেন, ‘সমাবেশের তথ্য আমরা পেয়েছি। ক্যাম্প এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৮ এপিবিএনের তৎপরতা সব সময় অব্যাহত আছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে নতুন করে পালিয়ে আসে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। সরকারি হিসেবে যাদের সংখ্যা এখন প্রায় ১১ লাখেরও বেশি।
‘চলো চলো আরাকান চলো’ ক্যাম্পেইন শুরু করতে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আগামীকাল রোববার সকালে উখিয়া-টেকনাফের ১০টি ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে নিজ ঘরের ফেরার দাবি নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে পৃথক সমাবেশ। সেখানে সমবেত হতে সকল ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের কাছে এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে বার্তা।
‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ শিরোনামে কক্সবাজারে ক্যাম্পগুলোতে সমাবেশ করতে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি সমাবেশকে সফল করতে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
উখিয়ার ২ ওয়েস্টের ৯,১৪, ১৩,১৭ নম্বর ক্যাম্প এবং ১ ওয়েস্টের ৪ ও ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে সকাল ৮টা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। যেখানে উল্লেখিত ক্যাম্পগুলোর পার্শ্ববর্তী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা অংশ নেবেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ একই দাবিতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন। তবে, এবারের সমাবেশের একক কোনো আয়োজক কিংবা নেতৃত্ব পর্যায়ের কেউ সামনে না এলেও প্রচারপত্রে আয়োজক হিসেবে ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী’ লেখা হয়েছে।
জানিয়েছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, এবারের সমাবেশ থেকে রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকা, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে আরাকানের গ্রামে গ্রামে প্রত্যাবাসন, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হবে।
উখিয়ার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমরা নিরাপদ প্রত্যাবাসন চাই এবং আমাদের আশা এবারের সমাবেশটির মাধ্যমে উত্থাপিত রোহিঙ্গাদের যৌক্তিক দাবিগুলো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাবে।’
রোহিঙ্গা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কিন মং বলেন, ‘সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে আমাদের দেশ মিয়ানমারে ফিরতে চাই আমরা। সমাবেশে আমরা এই মূল দাবিটাই জানাব বিশ্ববাসীর কাছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে, আমরা কৃতজ্ঞ।’
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয় জানিয়েছে, বড় কোনো জমায়েত-বিক্ষোভ কিংবা মিছিল না হওয়ার শর্তে রোহিঙ্গাদের শান্তি পূর্ণ অবস্থান সমাবেশে কোনো প্রকারের বাধা দেওয়া হবে না।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘আগামীকাল রোহিঙ্গারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানাবেন। তাঁদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না।’
তবে, এখন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ছাড়া রোহিঙ্গাদের বড় কোনো জমায়েত কিংবা বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসাইন বলেন, ‘সমাবেশের তথ্য আমরা পেয়েছি। ক্যাম্প এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ৮ এপিবিএনের তৎপরতা সব সময় অব্যাহত আছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে নতুন করে পালিয়ে আসে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। সরকারি হিসেবে যাদের সংখ্যা এখন প্রায় ১১ লাখেরও বেশি।
১৭ দিন কারা ভোগের পর পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৭.৬৫ এমএম পিস্তল–গুলিসহ গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হাসান এই জামিন মঞ্জুর করেন।
৩১ মিনিট আগেজুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত নতুন প্রজন্মের স্বাধীনতার পর এবার ভিন্ন আলোকে উদ্যাপন হবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের গতিশীল নেতৃত্বে ৫ আগস্ট পরবর্তী সংকটময় মুহূর্তেও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৬ মিনিট আগেজামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকল চালুসহ বেকার শ্রমিকদের কর্ম সংস্থানের দাবি জানিয়েছেন পাটকল শ্রমিকরা। আজ রোববার সকালে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংলগ্ন সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর প্রধান সড়কে উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।
৩৬ মিনিট আগেমূল সড়কে চলাচলের দাবিসহ সাত দফা দাবিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকেরা। এ সময় পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন...
৪৩ মিনিট আগে