নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চলন্ত ট্রেনে রেল কর্মচারীদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ট্রেনে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধীও। ট্রেনে গত ৫ বছরে এমন ১০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার ৮টিতেই রেল কর্মচারীরা জড়িত। সর্বশেষ উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন।
এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে বলে মনে করেন নাগরিক সমাজ।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার ১৯ বছর বয়সী তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। তিনি সিলেট থেকে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন। ওই তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকেন। তবে সিলেট গিয়েছিলেন ভাইয়ের বাসায়। তাঁর বাড়ি বান্দরবানে। তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন।
রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে অন্তত ১০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পেছনে জড়িতরা বেশির ভাগই রেল কর্মচারী। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে এলে ১৩ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী ভুল করে ওই ট্রেনে চড়েন।
চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় অ্যাটেন্ডেন্ট আক্কাস আলী মেয়েটিকে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। পরে একটি ফাঁকা কেবিনে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন ওই অ্যাটেন্ডেন্ট। পরে মেয়েটির চিৎকারে ট্রেনের যাত্রীরা কেবিন থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। অ্যাটেন্ডেন্টকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি রাজশাহী রেলস্টেশন মাস্টার মঈন উদ্দীন ধর্ষণ করেন দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে। ওই ঘটনায় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন।
একই বছর ২২ জুন সিরাজগঞ্জের শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার পথে আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মো. মমিনুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি সিলেট স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা সুরমা মেইল ট্রেনে ট্রেনের সহকারী জেনারেটর অপারেটর জাহিদ চলন্ত ট্রেনে ১৮ বছর বয়সের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
২০২২ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছিল বাবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের কথা ধামাচাপা দিতে চলন্ত ট্রেনেই কিশোরীর গলায় চাপ দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন মিন্টু নামে এক সৎবাবা।
কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিচয় শনাক্তের পর তার সৎবাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তাঁর সৎমেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা গোপন রাখতেই, শ্বাসরোধে হত্যা করে মেয়েকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ২১ আগস্ট ঢাকা রেলস্টেশনের (কমলাপুর) বলাকা কমিউটার ট্রেনের পরিত্যক্ত বগির টয়লেটের ভেতর থেকে মাদ্রাসাছাত্রী আসমার লাশ উদ্ধার করা হয়। আসমা আক্তারকে ধর্ষণের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা।
আসমা আক্তার পঞ্চগড় থেকে প্রেমিক মারুফ হাসান বাঁধনের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন। এ ঘটনায় আসমা আক্তারের বাবা বাঁধনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বাঁধন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নাটোরে চলন্ত ট্রেন থেকে নামিয়ে নিলিমা আকতার নামের এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সাবেক স্বামী জালাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ওই স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রেল সংশ্লিষ্টজন বলছে, ট্রেনের টয়লেটে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটে। এরপর খাবার বগিতে। সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনাটি খাবার বগিতে ঘটেছে। ওই নারীকে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে প্রায় সাতজন কর্মচারী। এরা সবাই খাবার সরবরাহে জড়িত ছিল। মূলত ধর্ষণের ঘটনায় রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই বেশির ভাগ জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক নারী মান সম্মানের ভয়ে যৌন হয়রানির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে, অনেকে পুলিশকে অভিযোগ করেন। সেগুলোই মূলত সামনে আসছে।
ট্রেনে বারবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও রেল কর্তৃপক্ষ নারী যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কিন্তু যে কোনো অপরাধে জিরো টলারেন্স। গতকাল ধর্ষণের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে চারজনকে গ্রেপ্তার করি। আমরা ট্রেনে আরও বিশেষ নজরদারি বাড়িয়েছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। তবেই এই সব ঘটনা ঘটবে না। রেলওয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, যাত্রীর নিরাপত্তায় মাত্র কয়েক লাখ টাকা খরচ করে নিরাপত্তা বাড়ায় না। এটি আসলে খুব দুঃখজনক।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকালের (বুধবার) ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের বরখাস্ত ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত করেছি। নতুন যেসব বগি আসছে ওইসব বগিতে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আমরা বাকি ট্রেনগুলোতেও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসব। আমাদের কাছে যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনে অথবা স্টেশনে কোনো নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে বা শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে, তাহলে তাদের শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে আদালতের। আমরা শুধু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। চলন্ত ট্রেনে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, সেটা দেখভাল করবে রেলওয়ে পুলিশ। আমরা এমন ঘটনায় তদন্ত করে শুধু চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারি। এরপর আদালত তাদের যে শাস্তি দেয় সেটাই হয়, আদালতের বাইরে আমরা কিছুই করতে পারি না। কোর্ট শাস্তি দিলে আমাদের দ্বিতীয়বার বিচার করার এখতিয়ার নেই।’
চলন্ত ট্রেনে রেল কর্মচারীদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ট্রেনে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিবন্ধীও। ট্রেনে গত ৫ বছরে এমন ১০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার ৮টিতেই রেল কর্মচারীরা জড়িত। সর্বশেষ উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হন।
এসব ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে বলে মনে করেন নাগরিক সমাজ।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার ১৯ বছর বয়সী তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। তিনি সিলেট থেকে উঠে খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন। ওই তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকেন। তবে সিলেট গিয়েছিলেন ভাইয়ের বাসায়। তাঁর বাড়ি বান্দরবানে। তিনি বাড়ি যাওয়ার জন্যই চট্টগ্রামে আসছিলেন।
রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে অন্তত ১০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসবের পেছনে জড়িতরা বেশির ভাগই রেল কর্মচারী। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাট-ঢাকা রুটে চলাচলকারী আন্তনগর ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে এলে ১৩ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী ভুল করে ওই ট্রেনে চড়েন।
চেকিংয়ের সময় তার কাছে টিকিট না পাওয়ায় অ্যাটেন্ডেন্ট আক্কাস আলী মেয়েটিকে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। পরে একটি ফাঁকা কেবিনে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন ওই অ্যাটেন্ডেন্ট। পরে মেয়েটির চিৎকারে ট্রেনের যাত্রীরা কেবিন থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। অ্যাটেন্ডেন্টকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি রাজশাহী রেলস্টেশন মাস্টার মঈন উদ্দীন ধর্ষণ করেন দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে। ওই ঘটনায় রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন।
একই বছর ২২ জুন সিরাজগঞ্জের শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী রেলস্টেশন থেকে রাজশাহীতে যাওয়ার পথে আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মো. মমিনুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি সিলেট স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা সুরমা মেইল ট্রেনে ট্রেনের সহকারী জেনারেটর অপারেটর জাহিদ চলন্ত ট্রেনে ১৮ বছর বয়সের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন।
২০২২ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছিল বাবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সীমান্ত এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের কথা ধামাচাপা দিতে চলন্ত ট্রেনেই কিশোরীর গলায় চাপ দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন মিন্টু নামে এক সৎবাবা।
কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিচয় শনাক্তের পর তার সৎবাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তাঁর সৎমেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা গোপন রাখতেই, শ্বাসরোধে হত্যা করে মেয়েকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। যশোর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন ওই সময় সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ২১ আগস্ট ঢাকা রেলস্টেশনের (কমলাপুর) বলাকা কমিউটার ট্রেনের পরিত্যক্ত বগির টয়লেটের ভেতর থেকে মাদ্রাসাছাত্রী আসমার লাশ উদ্ধার করা হয়। আসমা আক্তারকে ধর্ষণের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছিল দুর্বৃত্তরা।
আসমা আক্তার পঞ্চগড় থেকে প্রেমিক মারুফ হাসান বাঁধনের সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলেন। এ ঘটনায় আসমা আক্তারের বাবা বাঁধনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে বাঁধন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নাটোরে চলন্ত ট্রেন থেকে নামিয়ে নিলিমা আকতার নামের এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সাবেক স্বামী জালাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ওই স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রেল সংশ্লিষ্টজন বলছে, ট্রেনের টয়লেটে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটে। এরপর খাবার বগিতে। সর্বশেষ ধর্ষণের ঘটনাটি খাবার বগিতে ঘটেছে। ওই নারীকে একা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে প্রায় সাতজন কর্মচারী। এরা সবাই খাবার সরবরাহে জড়িত ছিল। মূলত ধর্ষণের ঘটনায় রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাই বেশির ভাগ জড়িয়ে পড়ছেন। অনেক নারী মান সম্মানের ভয়ে যৌন হয়রানির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে, অনেকে পুলিশকে অভিযোগ করেন। সেগুলোই মূলত সামনে আসছে।
ট্রেনে বারবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও রেল কর্তৃপক্ষ নারী যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে চট্টগ্রাম রেলওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কিন্তু যে কোনো অপরাধে জিরো টলারেন্স। গতকাল ধর্ষণের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে চারজনকে গ্রেপ্তার করি। আমরা ট্রেনে আরও বিশেষ নজরদারি বাড়িয়েছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে। তবেই এই সব ঘটনা ঘটবে না। রেলওয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, যাত্রীর নিরাপত্তায় মাত্র কয়েক লাখ টাকা খরচ করে নিরাপত্তা বাড়ায় না। এটি আসলে খুব দুঃখজনক।’
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকালের (বুধবার) ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের বরখাস্ত ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত করেছি। নতুন যেসব বগি আসছে ওইসব বগিতে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। আমরা বাকি ট্রেনগুলোতেও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসব। আমাদের কাছে যাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনে অথবা স্টেশনে কোনো নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে বা শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে, তাহলে তাদের শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে আদালতের। আমরা শুধু তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পারি। চলন্ত ট্রেনে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, সেটা দেখভাল করবে রেলওয়ে পুলিশ। আমরা এমন ঘটনায় তদন্ত করে শুধু চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারি। এরপর আদালত তাদের যে শাস্তি দেয় সেটাই হয়, আদালতের বাইরে আমরা কিছুই করতে পারি না। কোর্ট শাস্তি দিলে আমাদের দ্বিতীয়বার বিচার করার এখতিয়ার নেই।’
পদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১৮ মিনিট আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
২৭ মিনিট আগেলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন।
২৮ মিনিট আগেব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। সংগঠনটিতে ২২ জন পরিচালকের মধ্যে চারজন ট্রেড গ্রুপ থেকে ইতিমধ্যে মনোনীত হয়েছেন। ভোটাভুটি হবে ১৮ পরিচালক পদে। এর মধ্যে ১৩ জন সাধারণ ও ৫ জন সহযোগী পরিচালক।
১ ঘণ্টা আগে