Ajker Patrika

সিগারেট খেতে নিষেধ করায় ২ নেতাকে ছুরিকাঘাত ছাত্রলীগ কর্মীদের

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯: ১৭
সিগারেট খেতে নিষেধ করায় ২ নেতাকে ছুরিকাঘাত ছাত্রলীগ কর্মীদের

ফেনী শহরে সিগারেট খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার বিকেলে ডাক্তারপাড়ার নুরুজ্জামান উকিল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আহত প্রসেনজিত ভৌমিক ওরফে রূপম (২৭) ফেনী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি শহরের ডাক্তারপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকেন। তাঁর বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের বসন্তপুরে। অপরজন ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসাইন। তিনি একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ কর্মী মোহন হাজারী ও মো. শাখাওয়াত দুজন তাঁদের লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাত করেছেন। এর মধ্যে নুরুজ্জামান সড়কে রূপমকে তলপেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং জাহিদকে হাতে-পায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। ইতিমধ্যে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

রূপমের বন্ধু মো. রিয়াজ বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়েরা রূপমকে ছুরিকাঘাত করেছে। দুপুরে সিনিয়রদের সামনে জুনিয়রদের সিগারেট খেতে নিষেধ করেছিলেন রূপমের সঙ্গে থাকা অন্য একজন। এ নিয়ে একটু কথা-কাটাকাটি হয়। তখন তারা চলে যায়। পরে দুপুরের পর ছোটরা আরও কয়েকজনকে নিয়ে আসে এবং রূপমকে একা পেয়ে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য মাঠ পরিষ্কার করতে সিনিয়র-জুনিয়ররা একত্রিত হয়। এ সময় সিনিয়ররা জুনিয়রদের সিগারেট খেতে নিষেধ করলে তারা গালিগালাজ করে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীকালে তারা কিছুক্ষণ পর এসে মাস্টারপাড়ার রাসেল হাজারী ও মোহন হাজারীর নেতৃত্বে শাখাওয়াত, রাসেল, ওসামা, সোহাগ, বাপ্পা নামের কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের আহত করেন।

আহত রূপম ও জাহিদকে প্রথমে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তপু এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত মোহন হাজারী ও মো. শাখাওয়াত তাঁরা ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই বলে তিনি দাবি করেন।

ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনা জেনেছে। তবে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত