জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় জাহাজটির মাস্টার আব্দুর রশিদ একটি ফিশিং বোট দেখতে পান, যেটি প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থান করছিল। ফিশিং বোট ভেবে মাস্টার পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল গন্তব্যে। কিন্তু না, হঠাৎ ওই ফিশিং বোটটি এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করতে করতে দ্রুত তিন নটিক্যাল মাইলের মধ্যে চলে আসে। তখন ওই ফিশিং বোট থেকে একটি স্পিডবোট বের হয়, যেখানে চারজন জলদস্যু ছিল, যারা এমভি আবদুল্লাহতে ওঠার চেষ্টা করে।
গত শনিবার দিবাগত রাতে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সোমালিয়া উপকূল ছাড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি এখন দুবাইয়ের পথে আছে। জাহাজে থাকা পাঁচজন নাবিকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক। তাঁদের বর্ণনায় উঠে আসে জিম্মির প্রথম দিন থেকে মুক্তির দিন পর্যন্ত প্রায় ৩৩ দিনের কাহিনি। তবে কিছু বিধিনিষেধের কারণে ওই পাঁচ নাবিকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
নাবিকেরা জানান, জলদস্যুরা জাহাজে ওঠার চেষ্টা করলেও এমভি আবদুল্লাহতে কোনো অস্ত্র বা গানম্যান না থাকায় তাদের প্রতিহত করা যায়নি। জলদস্যুরা যাতে জাহাজে উঠতে না পারে, সে জন্য জাহাজের মাস্টার স্পিড বাড়িয়ে দেন। ডানে-বাঁয়ে গিয়ে জলদস্যুর স্পিডবোটটি ডুবানোর চেষ্টা করেন। ঢেউও তোলা হয়, যাতে স্পিডবোট উল্টে যায়। কিন্তু এর পরও স্পিডবোট থেকে এক জলদস্যু জাহাজে উঠে যায়। ওই জলদস্যু উঠেই এমভি আবদুল্লাহর জাহাজের ব্রিজের (যেখান থেকে জাহাজ পরিচালনা করা হয়) দিকে বন্দুক তাক করে গুলি করে।
ওই সময় জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ২২ নাবিক ইঞ্জিনরুমে থাকা সিকিউরড রুমে চলে যান। যেহেতু জাহাজটি চলন্ত অবস্থায় ছিল, সে জন্য ডিউটি অফিসার শুধু ব্রিজে ছিলেন। তিনিও যদি সিকিউরড রুমে চলে আসতেন, তাহলে জাহাজটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেত। ওই সময় স্পিডবোটে থাকা বাকি দুজনও উঠে যায়। মোট তিনজন জলদস্যু প্রথমে জাহাজের ব্রিজে চলে যায়। ব্রিজে থাকা ডিউটি অফিসারকে ওই তিনজন চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে। বন্দুক তাক করে থাকে এবং জলদস্যুরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে। তখন ডিউটি অফিসার তাদের বলছিলেন, ‘উই আর মুসলিম, প্লিজ ডোন্ট কিল আস।’ তারা যেহেতু ইংরেজি জানত না, সেজন্য পরে ডিউটি অফিসার আকারে-ইঙ্গিতে বোঝান যে তাঁরা মুসলিম।
নাবিকেরা জানান, জলদস্যুরা ডিউটি অফিসারকে আকারে-ইঙ্গিতে বোঝায়, সিকিউরড রুমে থাকা সবাই যেন ব্রিজে চলে আসে। তখন ডিউটি অফিসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে ব্রিজে চলে আসতে বলেন। তখন জাহাজটির মাস্টার আব্দুর রশিদ ব্রিজে চলে আসেন। এরপর সবাই ব্রিজে আসেন। সবাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সিকিউর রুম থেকে আসার আগে মাস্টার সবাইকে জানান, তারা বেশিক্ষণ সিকিউরড রুমে থাকতে পারবেন না। কারণ আশপাশে কোনো নৌবাহিনী নেই। এ ছাড়া বেশিক্ষণ সিকিউরড রুমে থাকলে তারা যেকোনো সময় দরজা ভেঙে সিকিউরড রুমে প্রবেশ করতে পারত। কারণ তাদের হাতে ভারী অস্ত্র ছিল।
ব্রিজে আসার পর ২৩ নাবিকই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। জলদস্যুর ফিশিং বোট থেকে একটি স্পিডবোটে আরও পাঁচজন জাহাজে আসে। এসেই তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তখন সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জিম্মির প্রথম দিন তারা ১২ জন ছিল। জলদস্যুরা ২৩ নাবিককে চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে বন্দুক তাক করে থাকে। জলদস্যুরা প্রথমে ভেবেছিল জাহাজটির সবাই ভারতীয়। তখন সবাই জলদস্যুদের বোঝায়, তারা মুসলিম এবং বাংলাদেশি।
প্রথম সারির একজন নাবিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় আমরা মনে করেছিলাম সবাইকে মেরে ফেলবে। কারণ আমরা এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে কোনো দিন পড়িনি। কেউ কেউ আল্লাহকে স্মরণ করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতও হয়ে যান। তারা অবশ্যই, আমাদের ফিজিক্যাল আঘাত করেনি। কিন্তু মানসিকভাবে অনেক টর্চার করে।’
এমভি আবদুল্লাহর আরেকজন নাবিক বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ওই ফিশিং বোট তারা এক মাস আগে জিম্মি করে। যেটিকে তারা মাস্টার বোট হিসেবে পরিচালনা করে। এর আগে এই ফিশিং বোট দিয়ে আরও তিনটি জাহাজ আটকের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা সফল হয়নি।’
জলদস্যুর ওই ফিশিং বোটটি এমভি আবদুল্লাহর কাছে চলে আসে। তারপর ফিশিং বোটটি জাহাজের সঙ্গে বাঁধা হয়।
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ১২ মার্চ জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় জাহাজটির মাস্টার আব্দুর রশিদ একটি ফিশিং বোট দেখতে পান, যেটি প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থান করছিল। ফিশিং বোট ভেবে মাস্টার পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল গন্তব্যে। কিন্তু না, হঠাৎ ওই ফিশিং বোটটি এমভি আবদুল্লাহকে অনুসরণ করতে করতে দ্রুত তিন নটিক্যাল মাইলের মধ্যে চলে আসে। তখন ওই ফিশিং বোট থেকে একটি স্পিডবোট বের হয়, যেখানে চারজন জলদস্যু ছিল, যারা এমভি আবদুল্লাহতে ওঠার চেষ্টা করে।
গত শনিবার দিবাগত রাতে জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সোমালিয়া উপকূল ছাড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি এখন দুবাইয়ের পথে আছে। জাহাজে থাকা পাঁচজন নাবিকের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার এই প্রতিবেদক। তাঁদের বর্ণনায় উঠে আসে জিম্মির প্রথম দিন থেকে মুক্তির দিন পর্যন্ত প্রায় ৩৩ দিনের কাহিনি। তবে কিছু বিধিনিষেধের কারণে ওই পাঁচ নাবিকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।
নাবিকেরা জানান, জলদস্যুরা জাহাজে ওঠার চেষ্টা করলেও এমভি আবদুল্লাহতে কোনো অস্ত্র বা গানম্যান না থাকায় তাদের প্রতিহত করা যায়নি। জলদস্যুরা যাতে জাহাজে উঠতে না পারে, সে জন্য জাহাজের মাস্টার স্পিড বাড়িয়ে দেন। ডানে-বাঁয়ে গিয়ে জলদস্যুর স্পিডবোটটি ডুবানোর চেষ্টা করেন। ঢেউও তোলা হয়, যাতে স্পিডবোট উল্টে যায়। কিন্তু এর পরও স্পিডবোট থেকে এক জলদস্যু জাহাজে উঠে যায়। ওই জলদস্যু উঠেই এমভি আবদুল্লাহর জাহাজের ব্রিজের (যেখান থেকে জাহাজ পরিচালনা করা হয়) দিকে বন্দুক তাক করে গুলি করে।
ওই সময় জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের মধ্যে ২২ নাবিক ইঞ্জিনরুমে থাকা সিকিউরড রুমে চলে যান। যেহেতু জাহাজটি চলন্ত অবস্থায় ছিল, সে জন্য ডিউটি অফিসার শুধু ব্রিজে ছিলেন। তিনিও যদি সিকিউরড রুমে চলে আসতেন, তাহলে জাহাজটি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যেত। ওই সময় স্পিডবোটে থাকা বাকি দুজনও উঠে যায়। মোট তিনজন জলদস্যু প্রথমে জাহাজের ব্রিজে চলে যায়। ব্রিজে থাকা ডিউটি অফিসারকে ওই তিনজন চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে। বন্দুক তাক করে থাকে এবং জলদস্যুরা চিৎকার-চেঁচামেচি করে। তখন ডিউটি অফিসার তাদের বলছিলেন, ‘উই আর মুসলিম, প্লিজ ডোন্ট কিল আস।’ তারা যেহেতু ইংরেজি জানত না, সেজন্য পরে ডিউটি অফিসার আকারে-ইঙ্গিতে বোঝান যে তাঁরা মুসলিম।
নাবিকেরা জানান, জলদস্যুরা ডিউটি অফিসারকে আকারে-ইঙ্গিতে বোঝায়, সিকিউরড রুমে থাকা সবাই যেন ব্রিজে চলে আসে। তখন ডিউটি অফিসার মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে ব্রিজে চলে আসতে বলেন। তখন জাহাজটির মাস্টার আব্দুর রশিদ ব্রিজে চলে আসেন। এরপর সবাই ব্রিজে আসেন। সবাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সিকিউর রুম থেকে আসার আগে মাস্টার সবাইকে জানান, তারা বেশিক্ষণ সিকিউরড রুমে থাকতে পারবেন না। কারণ আশপাশে কোনো নৌবাহিনী নেই। এ ছাড়া বেশিক্ষণ সিকিউরড রুমে থাকলে তারা যেকোনো সময় দরজা ভেঙে সিকিউরড রুমে প্রবেশ করতে পারত। কারণ তাদের হাতে ভারী অস্ত্র ছিল।
ব্রিজে আসার পর ২৩ নাবিকই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। জলদস্যুর ফিশিং বোট থেকে একটি স্পিডবোটে আরও পাঁচজন জাহাজে আসে। এসেই তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তখন সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জিম্মির প্রথম দিন তারা ১২ জন ছিল। জলদস্যুরা ২৩ নাবিককে চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে বন্দুক তাক করে থাকে। জলদস্যুরা প্রথমে ভেবেছিল জাহাজটির সবাই ভারতীয়। তখন সবাই জলদস্যুদের বোঝায়, তারা মুসলিম এবং বাংলাদেশি।
প্রথম সারির একজন নাবিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সময় আমরা মনে করেছিলাম সবাইকে মেরে ফেলবে। কারণ আমরা এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে কোনো দিন পড়িনি। কেউ কেউ আল্লাহকে স্মরণ করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতও হয়ে যান। তারা অবশ্যই, আমাদের ফিজিক্যাল আঘাত করেনি। কিন্তু মানসিকভাবে অনেক টর্চার করে।’
এমভি আবদুল্লাহর আরেকজন নাবিক বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ওই ফিশিং বোট তারা এক মাস আগে জিম্মি করে। যেটিকে তারা মাস্টার বোট হিসেবে পরিচালনা করে। এর আগে এই ফিশিং বোট দিয়ে আরও তিনটি জাহাজ আটকের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা সফল হয়নি।’
জলদস্যুর ওই ফিশিং বোটটি এমভি আবদুল্লাহর কাছে চলে আসে। তারপর ফিশিং বোটটি জাহাজের সঙ্গে বাঁধা হয়।
সম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
৩ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
১০ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
১৩ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
১৭ মিনিট আগে