কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ট্রাফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে চালক সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে পালাতে গিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে মহিউদ্দিন (৩২) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মহিউদ্দিন দেবিদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের আলমাস মিয়ার ছেলে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা আমির হোসেন ও তাজুল ইসলাম জানান, আজ দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালের উত্তর পাশে বসে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করছিলেন দেবিদ্বার জুনের ট্রাফিক পরিদর্শক তারিকুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন। এ সময় যাত্রীবাহী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে থামাতে সিগনাল দেন। কিন্তু অটোরিকশাটি গতিরোধ না করে পেছনের দিকে মোড় নেয়। এতে ক্ষুব্ধ ওই ট্রাফিক পরিদর্শক মোটরসাইকেলে অটোরিকশাটিকে পেছন দিক থেকে ধাওয়া করেন। এ সময় দ্রুতগতিতে পালাতে গিয়ে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি খাদে পড়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশায় থাকা যাত্রী মহিউদ্দিন মারা যান। 

পরে বিক্ষুব্ধ জনতা দেবিদ্বার জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক তারিকুল ইসলামকে ধাওয়া করলে তিনি দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। এদিকে এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই ট্রাফিক পরিদর্শককে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান। 

দেবিদ্বার জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো সিএনজিকে ধাওয়া করিনি, অথবা আমাকেও কেউ ধাওয়া করেনি। আমি নিয়ম অনুযায়ী সেখানে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের কাগজপত্র তল্লাশি করছিলাম। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা অথবা নিহতের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই।’ 

হাইওয়ে পুলিশের মিরপুর ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘একটি অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আমরা দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে ঘটনার সম্পর্কে তদন্ত করছি।’ 

আলমগীর আরও বলেন,  এলাকার লোকজন ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। বাস্তব বিষয়টা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।