ফেনী প্রতিনিধি
জুমার নামাজের বয়ানে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলায় ফেনীতে মসজিদের এক ইমামকে অপদস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের পূর্ব নৈরাজপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অপমানবোধ থেকে উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন ওই ইমাম হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা বলিপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। দেড় বছর ধরে ওই মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল জুমার খুতবার আগে জুলুম ও হত্যার পরিণাম নিয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে বয়ান করছিলেন ইমাম সাহেব। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে চলমান ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যা নির্যাতনের কথা বলেন। এ সময় মুসল্লিদের মধ্যে আবদুর রহিম, তাঁর ভাই আবদুল মন্নান ও ভগ্নিপতি রবিউল হক (পুলিশ) উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। ইমাম কেন সরকারের বিপক্ষে বয়ান করছেন, তার জন্য তাঁরা জবাবদিহি চান।
এ সময় তাঁরা ইমামকে রাজাকার বলে গালমন্দ হুমকি দেন। ইমামের সামনে থেকে মাইক ও তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে নেন তাঁরা। মুহূর্তে মুসল্লিদের মধ্যে হট্টগোল বেধে যায়। পরে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি পরে দেখা হবে বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ইমাম সাহেব তাঁর বক্তব্যে ছাত্র আন্দোলনের উদাহরণ টেনে কথা বললে কয়েকজন মুসল্লি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি। নামাজ শেষ করে ইমাম সাহেব স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। মসজিদ কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা ইউসুফ বলেন, ‘হুজুর সব সময় জুমার বয়ানে সমসাময়িক বিষয়ে নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন। আজ শুক্রবার জুলুম ও হত্যার পরিণাম বিষয় বক্তব্য রাখার সময় কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। এতে কয়েকজন মুসল্লি হুজুরকে অহেতুক অপদস্থ করেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। মুসল্লিদের সামনে নিজের অপমান সহ্য করতে না পেরে হুজুর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোরআন হাদিসের আলোকে জুলুম ও হত্যার পরিণামের কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। উদাহরণ দিতে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যার কথা বলাতে আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী দুই–তিনজন মুসল্লি প্রকাশ্যে অপমান-অপদস্থ করেন। আব্দুর রহিম খান তেড়ে এসে আমার সামনে থাকা মাইক সরিয়ে আমাকে রাজাকার বলে সম্বোধন করেন। আবদুল মন্নান ও রবিউল হক আমাকে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাঁরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মুসল্লিরাও জোর প্রতিবাদ করেনি। পরে নামাজ শেষ করে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।’
ইমামকে অপদস্থের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবদুর রহিম খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ হুজুর মিথ্যাবাদী। সে মোবাইল দেখে ফেসবুকে কী ঘটছে সেটা নিয়ে আলোচনা করছিল। আমি তাকে এসব না বলে কোরআন হাদিস থেকে কথা বলার অনুরোধ করেছি। আমি তার কাছ থেকে মাইক ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়নি।’
এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত মসজিদ কমিটির সভাপতি রবিউল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি ইতিমধ্যে জেনেছি। যারা ইমামের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন, তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের লোক। ইমাম সাহেব স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে না দিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে পারতেন। যেহেতু এখন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাচ্ছি না। তবুও ফেনী এসে কমিটির লোকদের নিয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব।’
ফরহাদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন টিপু বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে জানায়নি। আপনার কাছে জানতে পারলাম। বিস্তারিত জেনে এ বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
জুমার নামাজের বয়ানে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলায় ফেনীতে মসজিদের এক ইমামকে অপদস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের পূর্ব নৈরাজপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অপমানবোধ থেকে উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন ওই ইমাম হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা বলিপাড়া গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। দেড় বছর ধরে ওই মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল জুমার খুতবার আগে জুলুম ও হত্যার পরিণাম নিয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে বয়ান করছিলেন ইমাম সাহেব। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে চলমান ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যা নির্যাতনের কথা বলেন। এ সময় মুসল্লিদের মধ্যে আবদুর রহিম, তাঁর ভাই আবদুল মন্নান ও ভগ্নিপতি রবিউল হক (পুলিশ) উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। ইমাম কেন সরকারের বিপক্ষে বয়ান করছেন, তার জন্য তাঁরা জবাবদিহি চান।
এ সময় তাঁরা ইমামকে রাজাকার বলে গালমন্দ হুমকি দেন। ইমামের সামনে থেকে মাইক ও তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে নেন তাঁরা। মুহূর্তে মুসল্লিদের মধ্যে হট্টগোল বেধে যায়। পরে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি পরে দেখা হবে বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ইমাম সাহেব তাঁর বক্তব্যে ছাত্র আন্দোলনের উদাহরণ টেনে কথা বললে কয়েকজন মুসল্লি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি। নামাজ শেষ করে ইমাম সাহেব স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। মসজিদ কমিটির সভাপতিকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ফিরলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
মসজিদের মুয়াজ্জিন মাওলানা ইউসুফ বলেন, ‘হুজুর সব সময় জুমার বয়ানে সমসাময়িক বিষয়ে নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন। আজ শুক্রবার জুলুম ও হত্যার পরিণাম বিষয় বক্তব্য রাখার সময় কোটা আন্দোলনে ছাত্রদের হত্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। এতে কয়েকজন মুসল্লি হুজুরকে অহেতুক অপদস্থ করেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। মুসল্লিদের সামনে নিজের অপমান সহ্য করতে না পেরে হুজুর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কোরআন হাদিসের আলোকে জুলুম ও হত্যার পরিণামের কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। উদাহরণ দিতে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যার কথা বলাতে আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী দুই–তিনজন মুসল্লি প্রকাশ্যে অপমান-অপদস্থ করেন। আব্দুর রহিম খান তেড়ে এসে আমার সামনে থাকা মাইক সরিয়ে আমাকে রাজাকার বলে সম্বোধন করেন। আবদুল মন্নান ও রবিউল হক আমাকে অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলতে থাকেন। তাঁরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ মুসল্লিরাও জোর প্রতিবাদ করেনি। পরে নামাজ শেষ করে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।’
ইমামকে অপদস্থের অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবদুর রহিম খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ হুজুর মিথ্যাবাদী। সে মোবাইল দেখে ফেসবুকে কী ঘটছে সেটা নিয়ে আলোচনা করছিল। আমি তাকে এসব না বলে কোরআন হাদিস থেকে কথা বলার অনুরোধ করেছি। আমি তার কাছ থেকে মাইক ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়নি।’
এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত মসজিদ কমিটির সভাপতি রবিউল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি ইতিমধ্যে জেনেছি। যারা ইমামের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন, তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের লোক। ইমাম সাহেব স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে না দিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে পারতেন। যেহেতু এখন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাচ্ছি না। তবুও ফেনী এসে কমিটির লোকদের নিয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিব।’
ফরহাদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন টিপু বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে জানায়নি। আপনার কাছে জানতে পারলাম। বিস্তারিত জেনে এ বিষয়ে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম নাজমা মোবারেককে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব পদে বদলি করা হয়েছে। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে নতুন কাউকে পদায়ন করা
১৬ মিনিট আগেবেরোবির সব বিভাগে বাংলাদেশ স্টাডিজ নামক কোর্সে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ৪৯তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯ মিনিট আগেসাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মুহাম্মাদ মোহসিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া নিষেধাজ্ঞা জারির এই আদেশ দেন।
১৯ মিনিট আগেময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মামলা-সংক্রান্ত বিরোধে বাগ্বিতণ্ডায় এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বাবা-ছেলে ও ভাতিজা। মারধরের সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। এ নিয়ে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
২৮ মিনিট আগে