বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ফেনীর মহিপালে নয়জন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৬২ জনের নামে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার নিহত শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুমের (২৫) ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বাদী ফেনী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করতে প্ররোচনা, উসকানি ও নির্দেশনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাতটি পৃথক মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীসহ দুই হাজার ৫৮৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

নিহত মাসুম সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া এলাকার নোমান হাসানের ছেলে। তিনি ছাগলনাইয়া আবদুল হক চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। 

আসামিরা হলেন-জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সাবেক পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল, সাবেক পৌরমেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, সাবেক পৌরমেয়র মো. মোস্তফা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম পিটু, জিয়া উদ্দিন বাবলু, আ. লীগ নেতা জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী পাপ্পু প্রমুখ। 

এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুশফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক সাতটি মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

গত ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ফেনীর মহিপালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। একইসময়ে শহরের ট্রাংক রোডে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। বেলা ২টার দিকে মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মহিপালের দিকে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে ছাত্র আন্দোলনের নয়জন নিহত হন।