ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
রায়হান ব্যাপারী, আবুল কাশেম ও আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের গুলখার গ্রামের বাসিন্দা। তিনজনই পেশায় সিএনজিচালক। তাঁরা তিনজনই ছিলেন মাদকসেবী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাদক সেবন করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
গত বৃহস্পতিবার সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে এ মামলায় ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাকিবুল হাসান রকি।
রায়ে বাবা-মায়ের সেবা, সন্তানদের স্কুলে পাঠানো, গাছ লাগানোসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। আসামিরা সংশোধন হলে তাঁদের মামলা থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে আদালত জানান। একই সঙ্গে রায় কার্যকরের জন্য একজন প্রবেশন কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা দেন আদালত।
সংশোধনমূলক রায়ের আসামিরা হলেন-মো. হারুন ব্যাপারীর ছেলে মো. রায়হান ব্যাপারী, হেলাল খানের ছেলে মো. আবুল কাশেম ও আব্দুল আজিজের ছেলে ছেলে আনোয়ার হোসেন। তাঁরা সবাই উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের গুলখার গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড আরোপ করা যৌক্তিক ও যথাযথ বিবেচিত হয়। তবে নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিন সিএনজিচালকের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা নেই অর্থাৎ তারা কোনো পেশাদার অপরাধী নন। পেশায় তাঁরা প্রত্যেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হলে অন্য অপরাধীদের সাহচর্যে তাঁদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে।
‘ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় অপরাধীকে সবক্ষেত্রেই সাজা আরোপ করা আইন সমর্থন করে না। কেননা শাস্তি দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য সংশোধন, প্রতিহিংসামূলক নয়। এ ক্ষেত্রে অপরাধীকে সমাজের নিজ পরিমণ্ডলে একজন প্রবেশন কর্মকর্তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে তাঁর অপরাধ প্রবণতা সরিয়ে সু-প্রবৃত্তিকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।’
আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, আগামী এক বছরের জন্য আসামিরা প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং তার নির্দেশনা মেনে চলবেন। ওই সময়ে তাঁরা কোনো অপরাধ করবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন, সদাচরণ করবেন। আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হবেন। মাদক সেবন ও বিক্রয় করতে পারবেন না। মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেলামেশা করবেন না। জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
আসামি ধূমপান ছাড়বেন। প্রবেশন কর্মকর্তার নির্দেশনা মতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত হয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণায় অংশ নেবেন। প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি না নিয়ে পেশা ও বাসস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন না। সব সময় আদালত স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট বাসস্থান বা পেশায় থাকতে হবে। প্রবেশনকালে আসামি পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে ২০টি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগাবেন।’
‘আসামিরা প্রবেশনকালে পিতামাতার দেখাশোনা করবেন এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো ও উপযুক্ত পড়াশোনার বন্দোবস্ত করবেন। নিয়মিত নামাজ আদায় এবং ধর্মীয় কাজ করবেন।’
আদালতের দেওয়া আদেশের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। প্রবেশন কর্মকর্তাকে প্রতি তিন মাস পরপর শর্ত প্রতিপালন ও অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট জমার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সফলভাবে আসামিরা সংশোধন হলে তাদের মামলা থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছাবে। জেলে না পাঠিয়েও যে সংশোধন করানো যায় সেটার উদাহরণ সৃষ্টি হবে। আমি এ রায়ে খুশি। আমিসহ দুই আসামির মা ও স্ত্রী লিখিত দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এ মামলায় আসামিদের দুই বছরের সাজা হতে পারত। সেটা না করে তাদের সংশোধনের যে রায় দেওয়া হয়েছে সেটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যে আইনে এ রায়টি দেওয়া হয়েছে সেটির প্রচলন নেই। আমারও এটা জানা ছিল না। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এমন দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে বলে জানা নেই।
রায়হান ব্যাপারী, আবুল কাশেম ও আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের গুলখার গ্রামের বাসিন্দা। তিনজনই পেশায় সিএনজিচালক। তাঁরা তিনজনই ছিলেন মাদকসেবী। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাদক সেবন করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
গত বৃহস্পতিবার সংশোধন হওয়ার সুযোগ দিয়ে এ মামলায় ব্যতিক্রমী রায় দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাকিবুল হাসান রকি।
রায়ে বাবা-মায়ের সেবা, সন্তানদের স্কুলে পাঠানো, গাছ লাগানোসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়। আসামিরা সংশোধন হলে তাঁদের মামলা থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে আদালত জানান। একই সঙ্গে রায় কার্যকরের জন্য একজন প্রবেশন কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা দেন আদালত।
সংশোধনমূলক রায়ের আসামিরা হলেন-মো. হারুন ব্যাপারীর ছেলে মো. রায়হান ব্যাপারী, হেলাল খানের ছেলে মো. আবুল কাশেম ও আব্দুল আজিজের ছেলে ছেলে আনোয়ার হোসেন। তাঁরা সবাই উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের গুলখার গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড আরোপ করা যৌক্তিক ও যথাযথ বিবেচিত হয়। তবে নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিন সিএনজিচালকের বিরুদ্ধে আগের কোনো মামলা নেই অর্থাৎ তারা কোনো পেশাদার অপরাধী নন। পেশায় তাঁরা প্রত্যেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হলে অন্য অপরাধীদের সাহচর্যে তাঁদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাবে।
‘ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় অপরাধীকে সবক্ষেত্রেই সাজা আরোপ করা আইন সমর্থন করে না। কেননা শাস্তি দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য সংশোধন, প্রতিহিংসামূলক নয়। এ ক্ষেত্রে অপরাধীকে সমাজের নিজ পরিমণ্ডলে একজন প্রবেশন কর্মকর্তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে তাঁর অপরাধ প্রবণতা সরিয়ে সু-প্রবৃত্তিকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।’
আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, আগামী এক বছরের জন্য আসামিরা প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং তার নির্দেশনা মেনে চলবেন। ওই সময়ে তাঁরা কোনো অপরাধ করবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন, সদাচরণ করবেন। আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হবেন। মাদক সেবন ও বিক্রয় করতে পারবেন না। মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মেলামেশা করবেন না। জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
আসামি ধূমপান ছাড়বেন। প্রবেশন কর্মকর্তার নির্দেশনা মতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত হয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণায় অংশ নেবেন। প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি না নিয়ে পেশা ও বাসস্থান পরিবর্তন করতে পারবেন না। সব সময় আদালত স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট বাসস্থান বা পেশায় থাকতে হবে। প্রবেশনকালে আসামি পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবে ২০টি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগাবেন।’
‘আসামিরা প্রবেশনকালে পিতামাতার দেখাশোনা করবেন এবং ভরণপোষণের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠানো ও উপযুক্ত পড়াশোনার বন্দোবস্ত করবেন। নিয়মিত নামাজ আদায় এবং ধর্মীয় কাজ করবেন।’
আদালতের দেওয়া আদেশের কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত দিনের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। প্রবেশন কর্মকর্তাকে প্রতি তিন মাস পরপর শর্ত প্রতিপালন ও অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট জমার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সফলভাবে আসামিরা সংশোধন হলে তাদের মামলা থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছাবে। জেলে না পাঠিয়েও যে সংশোধন করানো যায় সেটার উদাহরণ সৃষ্টি হবে। আমি এ রায়ে খুশি। আমিসহ দুই আসামির মা ও স্ত্রী লিখিত দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এ মামলায় আসামিদের দুই বছরের সাজা হতে পারত। সেটা না করে তাদের সংশোধনের যে রায় দেওয়া হয়েছে সেটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যে আইনে এ রায়টি দেওয়া হয়েছে সেটির প্রচলন নেই। আমারও এটা জানা ছিল না। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এমন দৃষ্টান্তমূলক রায় হয়েছে বলে জানা নেই।
ফেনীর সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাপুর গ্রামে ফেসবুক পোস্টে ‘হা হা’ রিয়েক্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে চার কিশোর আহত হয়েছে
৬ ঘণ্টা আগেফেনীর কালিদহ ইউনিয়নের কালিদহ বাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করা হয়েছে। তাঁর নাম জহিরুল ইসলাম (৪০)
৭ ঘণ্টা আগেফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় জিএম রিংকু (২১) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের আবুবক্কর সড়কের রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে
৭ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক কারখানার শ্রমিক শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা অলিদ মিয়া। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) নিহত শাহরিয়ারের মামা রনী মিয়াকে আসামি করে তিনি মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে
৭ ঘণ্টা আগে