Ajker Patrika

নিলামে ২৮ টন মহিষের মাংস বিক্রি করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিলামে ২৮ টন মহিষের মাংস বিক্রি করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস 

ভারত থেকে আমদানি করা ২৮ টন মহিষের মাংস নিলামে বিক্রির জন্য নগরীতে মাইকিং করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। আগামীকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখায় এটি অনুষ্ঠিত হবে। 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা তুহিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহিষের ২৮ টন মাংস নিলামে বিক্রির জন্য রোববার কাস্টমসের নিলাম শাখার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাইকিং করা করা হয়েছে। আমরা আশা করেছি সোমবারের নিলামে ফ্রোজেন মিট বিক্রি হয়ে যাবে।’

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আমদানিকারক এন বি ট্রেডিং চলতি বছরের মে মাসে ভারত থেকে এই হিমায়িত মাংসের চালান আমদানি করে। পণ্য চালানটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস নিতে গত ২ মে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে আমদানি করায় খালাস দেয়নি কাস্টমস। প্রক্রিয়া শেষে পণ্য চালানটি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

নিলাম শাখা সূত্র বলছে, নিলামে অংশ নিতে আগ্রহীদের চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে দেখানো হচ্ছে ২৭ হাজার ৯৮০ কেজি ওজনের পণ্য চালান। একটি লটভুক্ত মহিষের মাংসের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৩ টাকা। সেই হিসেবে প্রতি কেজি মহিষের মাংসের দাম ধরা হয়েছে ৮৭৫ টাকা। 

কাস্টমসের নিলাম পরিচালনকারী প্রতিষ্ঠান কেএম করপোরেশনের তথ্যমতে, ৪০ ফুট সাইজের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে রেফার কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি (নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল) ইয়ার্ডে রয়েছে পণ্য চালানটি। নিলামে অংশ নিতে আগ্রহীদের কাস্টমসের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে পণ্য চালানটি দেখানো হচ্ছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, নিলামে সংরক্ষিত পণ্যের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য পাওয়া গেলে পণ্য বিক্রির বিধান রয়েছে। সেই হিসেবে পণ্য চালানটির দাম ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৯ টাকা হলে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করতে পারবে। এতে কেজি প্রতি দর পড়বে ৫২৫ টাকা। 

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুযায়ী, গরু, ছাগল, মুরগির মাংস ও মানুষের খাওয়ার উপযোগী অন্যান্য পশুর মাংস আমদানির ক্ষেত্রে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে। এর পর প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ফ্রোজেন মিট আমদানিতে অনুমতি দিচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত