Ajker Patrika

চাঁদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি

চাঁদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ মে ২০২৪, ১৪: ৫৪
চাঁদপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সেই ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে কর্মরত মাদক কেনাবেচায় জড়িত থাকায় অভিযুক্ত তিনজনসহ চারজনকে একই সঙ্গে বদলি করা হয়েছে। একই অভিযোগে গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয় উপপরিদর্শক পিয়ার হোসেনকে। বিভাগীয় তদন্ত শেষে ছয় মাসের ব্যবধানে বাকি তিনজনকেও চাঁদপুর থেকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। 

তিনি বলেন, অফিস আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই চারজন ৭ মে থেকে পরবর্তী তারিখে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে ৫ মে তাঁদের বদলির আদেশ দেয়। 

 ২০২৩ সালে বদলি হওয়া পরিদর্শক সেন্টু রঞ্জন দেবনাথ, উপপরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম, উপপরিদর্শক পিয়ার হোসেন ও গাড়িচালক ওমর ফারুক রাজনের বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচায় জড়িত এবং মাসিক টাকা আদায়ের অভিযোগ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের তথ্য প্রদানকারী রিপন ঢালী, মাদক বিক্রেতা দেওয়ান মো. শাহাদাত হোসেন ও মাদক বিক্রেতা শাহজাহানের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দাপ্তরিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ করেন তৎকালীন চাঁদপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম। 

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর থেকে বদলি করে দেওয়া হয় উপপরিদর্শক পিয়ার হোসেনকে। এরপর এসব অভিযোগের তদন্ত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়। অভিযুক্ত বাকি দুই কর্মকর্তা ও গাড়িচালককে সাত মাস পর বদলির আদেশ দেয় প্রধান কার্যালয়। 

অভিযুক্ত সেন্টু রঞ্জন দেবনাথকে বদলি করা হয় সুনামগঞ্জে, মো. সাইফুল ইসলামকে বড়গুনা জেলায় এবং গাড়িচালক ওমর ফারুক রাজনকে চট্টগ্রাম জেলায়। এ ছাড়া গাজীপুর জেলায় নিয়মিত বদলি হন সহকারী প্রসিকিউটর মো. আসাদুজ্জামান। 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বদলি প্রক্রিয়া নিয়মিত কাজ। যাঁরা বদলি হয়েছেন, তাঁরা ৭ মে থেকে পরবর্তী সময়ের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগ দেবেন। একসঙ্গে চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি হওয়ায় আমাদের সাময়িকভাবে কাজের অসুবিধা হবে। আবার নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারী যোগদান করবেন। তবে চালকের পদটি এখন শূন্য। 

অভিযুক্ত বদলি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এসব কর্মকর্তার অভিযোগ বিষয়ে আমি জানি। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা পর্যন্ত হওয়ার নিয়ম আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত