রাঙামাটিতে সহিংসতা: হত্যা মামলার দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৪

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ০৬
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৫: ২৪

রাঙামাটিতে গত ২০ সেপ্টেম্বরের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এঁদের মধ্যে মো. রুবেল (২৩) এবং এক কিশোরকে (১৭) অনিক কুমার চাকমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুজন রাকিব (২৭) ও আরেক কিশোরকে (১৭) অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশ জানায়, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে নিহত অনিক কুমার চাকমা হত্যার আসামি মো. রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে পুলিশ রাঙামাটিতে নিয়ে আসে। হত্যা মামলার অপর আসামিকে আজ বিকেলের দিকে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আজ বিকেলে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে রাকিবকে ও রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অপরজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে দুজনকে আজ সন্ধ্যায় জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের দুজনকে পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। 

হত্যা মামলার আসামি রুবেলের বাড়ি শহরের চম্পকনগর এলাকায়। 

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহেদ উদ্দিন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা থেকে হত্যা মামলার আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার ও বাকি তিনজনকে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার ও দোয়েল চত্বর থেকে গ্রেপ্তার  করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে মো. মামুন নামের এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৯ সেপ্টেম্বরে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিনজন পাহাড়ি  নিহত হন। ২০ সেপ্টেম্বরে এসব ঘটনার প্রতিবাদে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ-মিছিলটি বনরূপায় পৌঁছালে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় মিছিলে অংশ নেওয়া অনিক কুমার চাকমা নামের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারা হয়। একপর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন ঘরবাড়ি-দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর অনিক কুমার চাকমার বাবা আদর সেন চাকমা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুই হাজারের জনের বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত