কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাত দুই দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। দুই দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল ও ভারী অস্ত্রের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। এতে টেকনাফের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। এর আগে গত রোববার ও ঈদের দিন সোমবার সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। প্রায় এক মাস বাংলাদেশ সীমান্তে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও চলতি মাসে টেকনাফের নাফ নদের ওপারে মংডু, বুচিডং-রাচিডং টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে। এতে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়ের সঙ্গে এই তিন শহরের সরাসরি সড়ক ও নৌপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বিদ্রোহীরা বাংলাদেশের সীমান্তে থাকা দেশটির অধিকাংশ সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। রাজধানী সিথুওয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিদ্রোহীরা অগ্রসর হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় গত রবি ও সোমবার কোনো শব্দ শোনা যায়নি। তবে গতকাল সকাল ৮টার পর থেকে আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা ইমাম হোসাইন মাসুম বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে যেন টেকনাফ উড়ে যাচ্ছে। ভয়ে রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। এমন বিকট শব্দ আগে কখনো শুনিনি। মনে হয়েছে, বাড়ি যেন ভেঙে পড়ে যাচ্ছে।’
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, ‘ঈদের আগে ও পরের দুই দিন তেমন গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যায়নি। তবে গতকাল সকাল থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত ভারী অস্ত্রের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন যাপন করছে সীমান্তের বাসিন্দারা।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন কোনো ধরনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল ৮টার পর থেকে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে ২-বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে নাফ নদের মোহনায় আসা মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ গত তিন দিন ধরে দেখা যাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা। অপর দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
বিকল্প পথেই চলবে সেন্ট মার্টিনে নৌযান
৫ জুন থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে নাফ নদের মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে কয়েক দফায় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়া হয়। এরপর জেলা প্রশাসন এই পথে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়।
পরে সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল উপকূল ব্যবহার করে সেন্ট মার্টিনে লোকজন যাতায়াত করছে। খাদ্যসংকট নিরসনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে একটি জাহাজে করে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাঠানো হয়।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথ বন্ধ থাকায় দ্বীপের সাড়ে ১০ হাজার মানুষ চিন্তিত। কারণ, বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে চলাচল করতে হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন জানান, উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতিতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে শাহপরীর দ্বীপ থেকে গোলারচর হয়ে সেন্ট মার্টিন বিকল্প রুট তৈরির পরিকল্পনা চলছে। ভাটার সময় যাতে নৌযানগুলো চরে আটকা না পড়ে, তার জন্য গোলারচর ড্রেজিং করে চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাত দুই দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে। দুই দিন ধরে থেমে থেমে মর্টার শেল ও ভারী অস্ত্রের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত। এতে টেকনাফের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। এর আগে গত রোববার ও ঈদের দিন সোমবার সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। প্রায় এক মাস বাংলাদেশ সীমান্তে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও চলতি মাসে টেকনাফের নাফ নদের ওপারে মংডু, বুচিডং-রাচিডং টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র লড়াই চলছে। এতে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিথুয়ের সঙ্গে এই তিন শহরের সরাসরি সড়ক ও নৌপথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বিদ্রোহীরা বাংলাদেশের সীমান্তে থাকা দেশটির অধিকাংশ সীমান্তচৌকি দখলে নিয়েছে। রাজধানী সিথুওয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে বিদ্রোহীরা অগ্রসর হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় গত রবি ও সোমবার কোনো শব্দ শোনা যায়নি। তবে গতকাল সকাল ৮টার পর থেকে আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।
শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা ইমাম হোসাইন মাসুম বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দে যেন টেকনাফ উড়ে যাচ্ছে। ভয়ে রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। এমন বিকট শব্দ আগে কখনো শুনিনি। মনে হয়েছে, বাড়ি যেন ভেঙে পড়ে যাচ্ছে।’
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছিদ্দিক আহমদ বলেন, ‘ঈদের আগে ও পরের দুই দিন তেমন গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যায়নি। তবে গতকাল সকাল থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত ভারী অস্ত্রের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন যাপন করছে সীমান্তের বাসিন্দারা।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঈদের দিন কোনো ধরনের শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল ৮টার পর থেকে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে মিয়ানমারের ওপার থেকে। রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে ২-বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে নাফ নদের মোহনায় আসা মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ গত তিন দিন ধরে দেখা যাচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা। অপর দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
বিকল্প পথেই চলবে সেন্ট মার্টিনে নৌযান
৫ জুন থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে নাফ নদের মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে কয়েক দফায় মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি ছোড়া হয়। এরপর জেলা প্রশাসন এই পথে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে দ্বীপে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দেয়।
পরে সাবরাংয়ের মুন্ডারডেইল উপকূল ব্যবহার করে সেন্ট মার্টিনে লোকজন যাতায়াত করছে। খাদ্যসংকট নিরসনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে একটি জাহাজে করে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাঠানো হয়।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথ বন্ধ থাকায় দ্বীপের সাড়ে ১০ হাজার মানুষ চিন্তিত। কারণ, বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে চলাচল করতে হচ্ছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন জানান, উদ্ভূত সীমান্ত পরিস্থিতিতে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে শাহপরীর দ্বীপ থেকে গোলারচর হয়ে সেন্ট মার্টিন বিকল্প রুট তৈরির পরিকল্পনা চলছে। ভাটার সময় যাতে নৌযানগুলো চরে আটকা না পড়ে, তার জন্য গোলারচর ড্রেজিং করে চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকার ধামরাইয়ে তিন দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুর এলাকার গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন। এ সময় অবরোধস্থলের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৭ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খালের পানিতে ডুবে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
৭ ঘণ্টা আগেযশোরের অভয়নগরে পুকুরে ডুবে এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার অভয়নগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৮ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারকালে সেলিম হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা–৬ বিজিবির দর্শনা বিওপির একটি টহলদল তাকে আটক করে।
৮ ঘণ্টা আগে