সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত আর মৃতকে জীবিত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি নিজেদের নামে লিখে নিল একটি চক্র। ভুয়া আমমোক্তারনামা, খতিয়ান ও দলিল তৈরি করে ভূমি ও রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সেই জায়গা নিজেদের নামে লিখে নেয় তারা। একটি মামলা তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এমন তথ্য পেয়েছে।
গত বছরের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে এই মামলা করেন নগরের পূর্ব বাকলিয়ার ওয়াইজেরপাড়ার বাসিন্দা শহর মুল্লক (৭১। এতে বলা হয়, শহর মুল্লককে মৃত দেখিয়ে তাঁর জায়গা জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে লিখে নেয় চক্রটি। জায়গাটি শহর মুল্লকের দখলে থাকলেও ১৩ বছর আগে ভুয়া দলিল করে নেন চক্রের সদস্যরা। পরে বিষয়টি জানতে পারেন মূল মালিক।
ভুয়া নথিতে জমি লিখে নেওয়া চক্রের সদস্যরা হলেন কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা এস এম আহমদ হোসাইন, পূর্ব ষোলশহরের নাছির উদ্দিন শাহ, সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক নুরুল আজিম, সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা এস এম মহিউদ্দিন কবির ও বাঁশখালীর বাসিন্দা এস এম ওসমান ছিদ্দিকী। তাঁদের ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় প্রতিবেশীর কাছ থেকে শহর মুল্লক খবর পান পূর্ব বাকলিয়ায় ওয়াইজেরপাড়ার ২১ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ওই জায়গার ওয়ারিশ তিনিসহ তিনজন।
কিন্তু তাঁর নামে কোনো নোটিশ না আসায় চিন্তায় পড়েন। পরে ভূমি ও রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর জায়গাটি অন্যের নামে দলিল হয়ে গেছে। এরপর তিনি আইনি প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর শহর মুল্লকের ওই জমির দাবিদার হিসেবে এস এম আহমদ হোছাইন নামে নোটিশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। জায়গার দুটি দাগের একটিতে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৭৮ হাজার এবং অন্যটিতে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছর মামলার পর ক্ষতিপূরণের টাকা ছাড় স্থগিত রাখা হয়।
সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ভুক্তভোগীদের দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মৃত এক নারীকে জীবিত এবং জীবিতকে মৃত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আমমোক্তারনামা ও সাফকবলা দলিল নিজেদের নামে করে নেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা মাহফুজা খাতুন নামের তফসিলভুক্ত সম্পত্তির মালিকানা থাকা এক নারীকে জীবিত ও একই সম্পত্তির ওয়ারিশসূত্রে অংশীদার হওয়া মামলার বাদী শহর মুল্লককে (৭০) মৃত দেখিয়ে তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলে আকবর হোসেনকে দাতা সাজিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে একটি আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দলিল করেন। সেখানে দাতা হিসেবে একই তফসিলভুক্ত সম্পত্তির অংশীদার দাবিদার আরও তিনজনের নাম রয়েছে। আমমোক্তারনামা গ্রহীতা ছিলেন মামলার আসামি নাছির উদ্দিন শাহ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম সিআইডির পরিদর্শক প্রণয় দে গত সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় বাদী যেসব অভিযোগ করেছেন তাঁর সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত আর মৃতকে জীবিত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের জমি নিজেদের নামে লিখে নিল একটি চক্র। ভুয়া আমমোক্তারনামা, খতিয়ান ও দলিল তৈরি করে ভূমি ও রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সেই জায়গা নিজেদের নামে লিখে নেয় তারা। একটি মামলা তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এমন তথ্য পেয়েছে।
গত বছরের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের প্রথম আদালতে এই মামলা করেন নগরের পূর্ব বাকলিয়ার ওয়াইজেরপাড়ার বাসিন্দা শহর মুল্লক (৭১। এতে বলা হয়, শহর মুল্লককে মৃত দেখিয়ে তাঁর জায়গা জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেদের নামে লিখে নেয় চক্রটি। জায়গাটি শহর মুল্লকের দখলে থাকলেও ১৩ বছর আগে ভুয়া দলিল করে নেন চক্রের সদস্যরা। পরে বিষয়টি জানতে পারেন মূল মালিক।
ভুয়া নথিতে জমি লিখে নেওয়া চক্রের সদস্যরা হলেন কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা এস এম আহমদ হোসাইন, পূর্ব ষোলশহরের নাছির উদ্দিন শাহ, সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক নুরুল আজিম, সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা এস এম মহিউদ্দিন কবির ও বাঁশখালীর বাসিন্দা এস এম ওসমান ছিদ্দিকী। তাঁদের ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় প্রতিবেশীর কাছ থেকে শহর মুল্লক খবর পান পূর্ব বাকলিয়ায় ওয়াইজেরপাড়ার ২১ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ওই জায়গার ওয়ারিশ তিনিসহ তিনজন।
কিন্তু তাঁর নামে কোনো নোটিশ না আসায় চিন্তায় পড়েন। পরে ভূমি ও রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর জায়গাটি অন্যের নামে দলিল হয়ে গেছে। এরপর তিনি আইনি প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর শহর মুল্লকের ওই জমির দাবিদার হিসেবে এস এম আহমদ হোছাইন নামে নোটিশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা। জায়গার দুটি দাগের একটিতে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৭৮ হাজার এবং অন্যটিতে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত বছর মামলার পর ক্ষতিপূরণের টাকা ছাড় স্থগিত রাখা হয়।
সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ভুক্তভোগীদের দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মৃত এক নারীকে জীবিত এবং জীবিতকে মৃত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আমমোক্তারনামা ও সাফকবলা দলিল নিজেদের নামে করে নেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা মাহফুজা খাতুন নামের তফসিলভুক্ত সম্পত্তির মালিকানা থাকা এক নারীকে জীবিত ও একই সম্পত্তির ওয়ারিশসূত্রে অংশীদার হওয়া মামলার বাদী শহর মুল্লককে (৭০) মৃত দেখিয়ে তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলে আকবর হোসেনকে দাতা সাজিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে একটি আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দলিল করেন। সেখানে দাতা হিসেবে একই তফসিলভুক্ত সম্পত্তির অংশীদার দাবিদার আরও তিনজনের নাম রয়েছে। আমমোক্তারনামা গ্রহীতা ছিলেন মামলার আসামি নাছির উদ্দিন শাহ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম সিআইডির পরিদর্শক প্রণয় দে গত সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় বাদী যেসব অভিযোগ করেছেন তাঁর সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে।
ইমন আওয়ামী নেতা ও মন্ত্রীদের রোষানলে পড়ে একাধিক মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলখানায় আটক ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইমন জামিনে মুক্তি পায়। ইমন বর্তমানে বিদেশে। কিন্তু তাঁকে এলিফ্যান্ট রোডের হামলায় আসামি করা হয়েছে...
২ মিনিট আগেডা. শফিক বলেন, ‘রাজশাহী, যেটাকে শিক্ষার ভিলেজ বলা হয়, শিক্ষার গ্রাম। আমি আশা করি, ৫ তারিখের (৫ আগস্ট) পর রাজশাহীতে কোনো চাঁদাবাজি হয় না। এখানকার মানুষ ভদ্র, বিনয়ী ও সৎ। কেউ চাঁদাবাজি এখানে করে না, ঠিক না?’ এ সময় নেতা-কর্মীরা ‘চাঁদাবাজি হয়’ বলে আওয়াজ তোলেন। আমির প্রশ্ন করেন, ‘এখানেও চাঁদাবাজি হয়...
৫ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে ইডেন মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাজারীবাগ ৭/এ রোডের ৯১/কে নম্বর বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়...
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া ছিনতাই মামলার আসামি শাহাদত হোসেন কলমকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার মহাদেবপুর গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়ার আদমদীঘি থানা-পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগে