Ajker Patrika

মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের খবরে ক্ষিপ্ত জনতা, স্বেচ্ছায় তালাবদ্ধ হুজুরকে আটক করল পুলিশ

কর্ণফুলী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯: ৪৬
আটক হাফেজ মাওলানা মুফতি আসআদ তালহা।
আটক হাফেজ মাওলানা মুফতি আসআদ তালহা।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তাকরিমুল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় ১২ বছরের এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুফতি আসআদ তালহাকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের চাঁপাতলী ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘সোমবার সকালে বাড়িতে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষকের নির্যাতনের ঘটনা বলে। আমরা সকলে তাকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষক মাদ্রাসায় ভেতর থেকে তালা দিয়ে আটকে সেখানে বসে থাকে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।’

ভিকটিমের স্বজনেরা জানান, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে হুজুর মাদ্রাসার পাশে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রকে। পরদিন সকালে ছাত্রটি অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে এসে ঘটনার বিস্তারিত তাঁদের জানায়। এ ঘটনায় তাঁরা থানায় মামলা দায়ে করছেন।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক এক মাস আগেও এ রকম একটি ঘটনা ঘটায়। সেটা তিনি স্থানীয়ভাবে সমাধান করেন।

স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসার ভবনের একটি ফ্ল্যাটে বউ-বাচ্চা নিয়ে হুজুর থাকেন। বউ-বাচ্চাকে বেড়াতে পাঠিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে হুজুর। এর আগেও এ রকম একটি অভিযোগে ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেটা সমাধান করে ফেলে। গতকাল রাতের ঘটনায় সকাল থেকে পুরো এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষকও ভেতর থেকে তালা দিয়ে সেখানে বসে থাকে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত