নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
টানা বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী আট শতাধিক পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার থেকে আজ রোববার নগরীর আকবরশাহ ও মতিঝরনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গত ১৬ বছরে চট্টগ্রাম মহানগর ও আশপাশ এলাকায় পাহাড় ধসে অন্তত ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জুন। ওই বছর ২৪ ঘণ্টায় ৪২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ওই দিন একাধিক পাহাড়ে ধসের ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাহাড় ধসে এত প্রাণহানির পরও বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা, দখল ও বসতি স্থাপনা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে। এর মধ্যে ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫ পরিবার বসবাস করে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ে যাতে মানুষের আর প্রাণ না দিতে হয়, সে জন্যে কাজ করছি। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে প্রশাসনের একাধিক টিম এ কাজ করছে। এ ছাড়া মাইকিং করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা থেকে আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর, ঝিল পাহাড়, শান্তিনগর, বেলতলী ঘোনা ও মতিঝরনা এলাকায় পাহাড়ে বসবাসকারী ৮০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
উমর ফারুক আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০০ পরিবারকে রাখা হয়েছে।’ তাঁদের দুপুরের খাবারও প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে গত চার দিন ধরে নগরীতে থেমে থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী দু-এক দিনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।’
টানা বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী আট শতাধিক পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার থেকে আজ রোববার নগরীর আকবরশাহ ও মতিঝরনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। গত ১৬ বছরে চট্টগ্রাম মহানগর ও আশপাশ এলাকায় পাহাড় ধসে অন্তত ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাহাড় ধসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জুন। ওই বছর ২৪ ঘণ্টায় ৪২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ওই দিন একাধিক পাহাড়ে ধসের ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পাহাড় ধসে এত প্রাণহানির পরও বন্ধ হয়নি পাহাড় কাটা, দখল ও বসতি স্থাপনা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে। এর মধ্যে ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫ পরিবার বসবাস করে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ে যাতে মানুষের আর প্রাণ না দিতে হয়, সে জন্যে কাজ করছি। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে প্রশাসনের একাধিক টিম এ কাজ করছে। এ ছাড়া মাইকিং করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা থেকে আকবরশাহ এলাকার বিজয় নগর, ঝিল পাহাড়, শান্তিনগর, বেলতলী ঘোনা ও মতিঝরনা এলাকায় পাহাড়ে বসবাসকারী ৮০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
উমর ফারুক আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১০০ পরিবারকে রাখা হয়েছে।’ তাঁদের দুপুরের খাবারও প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে গত চার দিন ধরে নগরীতে থেমে থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী দু-এক দিনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।’
১৩ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অবশেষে অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে ঘটেছে বিপত্তি। প্রশিক্ষণ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত বন্ধ থাকছে কর্মকর্তাদের অস্ত্র..
৩ ঘণ্টা আগেরাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ইউনিট চালু করা হয়েছে। দরপত্রে শর্ত ছিল, ‘এ’ গ্রেডের ফায়ার প্রটেক্টেড বেড কাম প্যাসেঞ্জার লিফট লাগানো হবে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাগিয়ে দিয়েছিল ‘সি’ গ্রেডের লিফট। ধরা পড়ার পর এই লিফট খুলে নেওয়া হলে...
৪ ঘণ্টা আগেগাজীপুর জেলা ও মহানগরী এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গ্যাস-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে প্রভাব পড়েছে উৎপাদনে। বিশেষ করে পোশাকশিল্পসংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোতে উৎপাদন প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এমন অবস্থায় ভবিষ্যতে শ্রমিকদের বেতন, ব্যাংকের সুদ ইত্যাদি পরিশোধ করে কারখানা চালু রাখতে পারবেন কি না...
৪ ঘণ্টা আগেআজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর জ্যেষ্ঠ স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের সেরেস্তাদার কৃপাসিন্ধু দাশ। তিনি বলেন, আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলায় অভিযুক্ত ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি...
৬ ঘণ্টা আগে