সাবিত আল হাসান, সেন্টমার্টিন থেকে
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল আগামী শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন এই ঘোষণা দেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সেন্টমার্টিনে।
আজ সকাল থেকে পর্যটকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক লক্ষ করা গেছে। অনেকের প্রশ্ন, ‘ফিরতি পথে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবে কি না।’ কিংবা মিয়ানমারের দুই বাহিনীর অস্থিরতা টেকনাফের দমদম জেটি ঘাটের কাছাকাছি চলে এসেছে কি না।’ তবে রিসোর্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগত পর্যটকদের বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করছেন।
সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটন মৌসুম চলে। সাগর শান্ত থাকার কারণে পর্যটকেরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু এই মৌসুমেই একের পর এক বাধার সামনে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও পর্যটকেরা। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে চাঙা হয়ে ওঠা পর্যটন ব্যবসা মাঝপথে বাধার সম্মুখীন হওয়ায় এই ধকল কাটিয়ে ওঠা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে জাহাজ বন্ধের খবরে মুহূর্তের মধ্যেই হোটেল রিসোর্ট বুকিং বাতিল হতে শুরু হয়। একই সঙ্গে চাপ বাড়ে ফিরতি বাস টিকিটের। সুযোগ বুঝে বাস এজেন্টরা দেড় থেকে দুই গুণ ভাড়া আদায় করছেন যাত্রীদের কাছ থেকে। তা ছাড়া গতকাল রাতে টেকনাফ ঘাটে রওনা হওয়া বেশ কয়েকজন পর্যটক কক্সবাজারে নেমে গেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। বাতিল হচ্ছে অগ্রিম বুকিং করে রাখা জাহাজ ও রিসোর্ট।
ঢাকা থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী নাজমুল ও রুবেলের সঙ্গে কথা হয়। আলাপচারিতায় তাঁরা বলেন, ‘বাসের ফেরার টিকিট পাচ্ছি না। আমাদের ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকার পরিকল্পনা ছিল। এখন ৯ তারিখেই চলে যাব। টিকিট না পেলে কক্সবাজার থেকে উঠতে হবে বাসে। বাড়ির সবাই মোবাইল ফোনে কল দিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, দুশ্চিন্তা করছেন। সব মিলিয়ে ঘুরতে আসার আমেজই নষ্ট হয়ে গেছে।’
সেন্টমার্টিনের পশ্চিম বিচের নীল দিগন্তে নামের রিসোর্টের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বলেন, ‘করোনার মধ্যে ২০২১ ও ২২ সালে ব্যবসা মোটামুটি হয়েছিল। গত বছর জাহাজ নিয়ে কারসাজি, এ বছর হরতাল অবরোধ আর নির্বাচনে ব্যবসা ভালো হয়নি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যা শুরু হয়েছিল, সেটা যুদ্ধের কারণে শেষ। আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো স্বস্তির খবর নেই।’
সমুদ্র কুটির রিসোর্টের ইনচার্জ হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব রুম বুকিং ছিল। আজ সকাল থেকে একে একে বাতিল হচ্ছে বুকিং। হরতাল, অবরোধ ও নির্বাচনের কারণে পর্যটক আনাগোনা ছিল খুবই কম। ভেবেছি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু এখনই সব শেষ। এখন স্টাফদের কক্সবাজার পাঠিয়ে দিতে হবে। কারণ এখানে থাকলে তাঁদের পেছনে অনেক খরচ হয়।’
তবে গুঞ্জন রয়েছে, টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল না করলেও কক্সবাজার থেকে জাহাজ চলতে পারে। কারণ সেই জাহাজ মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করে না।
কোনারপাড়া এলাকার ফটোগ্রাফার মিলন হোসেন বলেন, ‘পর্যটন মৌসুমের আগে আমরা যেমন ছিলাম, তেমনই থাকব। কী আর করার আছে আমাদের? এই কয়টা মাস আয় করেই তো সারা বছর চলি।’
সেন্টমার্টিনগামী কাজল জাহাজের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের জাহাজ আপাতত ৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অন্যত্র সরে থাকবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করার নেই আমাদের। নদীতে পানি কম বলে বেশ কিছুদিন জাহাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার যুদ্ধের কারণে বন্ধ হবে।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হয়। এই আয়ের ওপরেই বাকি সাত মাস স্থানীয় লোকজন চলে। কিন্তু এবার অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। মার্চের আগে ফের জাহাজ চালু হবে কি না, জানি না। আর শোনা যাচ্ছে কক্সবাজারের জাহাজ চলবে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নই আমরা।’
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল আগামী শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন এই ঘোষণা দেওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সেন্টমার্টিনে।
আজ সকাল থেকে পর্যটকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক লক্ষ করা গেছে। অনেকের প্রশ্ন, ‘ফিরতি পথে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবে কি না।’ কিংবা মিয়ানমারের দুই বাহিনীর অস্থিরতা টেকনাফের দমদম জেটি ঘাটের কাছাকাছি চলে এসেছে কি না।’ তবে রিসোর্ট ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগত পর্যটকদের বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করছেন।
সেন্টমার্টিনের ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটন মৌসুম চলে। সাগর শান্ত থাকার কারণে পর্যটকেরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন। কিন্তু এই মৌসুমেই একের পর এক বাধার সামনে পড়ছেন ব্যবসায়ী ও পর্যটকেরা। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে চাঙা হয়ে ওঠা পর্যটন ব্যবসা মাঝপথে বাধার সম্মুখীন হওয়ায় এই ধকল কাটিয়ে ওঠা নিয়ে শঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে জাহাজ বন্ধের খবরে মুহূর্তের মধ্যেই হোটেল রিসোর্ট বুকিং বাতিল হতে শুরু হয়। একই সঙ্গে চাপ বাড়ে ফিরতি বাস টিকিটের। সুযোগ বুঝে বাস এজেন্টরা দেড় থেকে দুই গুণ ভাড়া আদায় করছেন যাত্রীদের কাছ থেকে। তা ছাড়া গতকাল রাতে টেকনাফ ঘাটে রওনা হওয়া বেশ কয়েকজন পর্যটক কক্সবাজারে নেমে গেছেন বলে খবর পাওয়া যায়। বাতিল হচ্ছে অগ্রিম বুকিং করে রাখা জাহাজ ও রিসোর্ট।
ঢাকা থেকে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী নাজমুল ও রুবেলের সঙ্গে কথা হয়। আলাপচারিতায় তাঁরা বলেন, ‘বাসের ফেরার টিকিট পাচ্ছি না। আমাদের ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকার পরিকল্পনা ছিল। এখন ৯ তারিখেই চলে যাব। টিকিট না পেলে কক্সবাজার থেকে উঠতে হবে বাসে। বাড়ির সবাই মোবাইল ফোনে কল দিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, দুশ্চিন্তা করছেন। সব মিলিয়ে ঘুরতে আসার আমেজই নষ্ট হয়ে গেছে।’
সেন্টমার্টিনের পশ্চিম বিচের নীল দিগন্তে নামের রিসোর্টের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বলেন, ‘করোনার মধ্যে ২০২১ ও ২২ সালে ব্যবসা মোটামুটি হয়েছিল। গত বছর জাহাজ নিয়ে কারসাজি, এ বছর হরতাল অবরোধ আর নির্বাচনে ব্যবসা ভালো হয়নি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যা শুরু হয়েছিল, সেটা যুদ্ধের কারণে শেষ। আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য কোনো স্বস্তির খবর নেই।’
সমুদ্র কুটির রিসোর্টের ইনচার্জ হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব রুম বুকিং ছিল। আজ সকাল থেকে একে একে বাতিল হচ্ছে বুকিং। হরতাল, অবরোধ ও নির্বাচনের কারণে পর্যটক আনাগোনা ছিল খুবই কম। ভেবেছি ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু এখনই সব শেষ। এখন স্টাফদের কক্সবাজার পাঠিয়ে দিতে হবে। কারণ এখানে থাকলে তাঁদের পেছনে অনেক খরচ হয়।’
তবে গুঞ্জন রয়েছে, টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল না করলেও কক্সবাজার থেকে জাহাজ চলতে পারে। কারণ সেই জাহাজ মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করে না।
কোনারপাড়া এলাকার ফটোগ্রাফার মিলন হোসেন বলেন, ‘পর্যটন মৌসুমের আগে আমরা যেমন ছিলাম, তেমনই থাকব। কী আর করার আছে আমাদের? এই কয়টা মাস আয় করেই তো সারা বছর চলি।’
সেন্টমার্টিনগামী কাজল জাহাজের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের জাহাজ আপাতত ৯ তারিখ পর্যন্ত চলবে। নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত অন্যত্র সরে থাকবে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করার নেই আমাদের। নদীতে পানি কম বলে বেশ কিছুদিন জাহাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার যুদ্ধের কারণে বন্ধ হবে।’
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হয়। এই আয়ের ওপরেই বাকি সাত মাস স্থানীয় লোকজন চলে। কিন্তু এবার অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। মার্চের আগে ফের জাহাজ চালু হবে কি না, জানি না। আর শোনা যাচ্ছে কক্সবাজারের জাহাজ চলবে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত নই আমরা।’
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিরাজ হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৪ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকচাপায় শাহ সুলতান ফাহাদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের কামালপুর ফকির মার্কেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে জিসান (১৯) নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। অজ্ঞাত কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে হাইওয়ে পুলিশের...
৩৪ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে নেহাল খান (১৮) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বাইপাস মহাসড়কের ধলাগাছ মতির মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৯ মিনিট আগে