Ajker Patrika

চট্টগ্রামের ঈদবাজার: কেনাকাটা জমার অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৯: ৪০
চট্টগ্রামের ঈদবাজার: কেনাকাটা জমার অপেক্ষা

ঈদের বাকি আর মাত্র ১০ দিন। এই উৎসব ঘিরে পোশাক কেনাকাটা জমে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর মার্কেটগুলোতে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, দুয়েক দিনের মধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনা আরও বাড়বে। তবে এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।

নগরীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকেই মার্কেটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রি ও ক্রেতার চাপ দুটোই বাড়ে ইফতারের পর।

নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার এ্যাপোলো শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আকবর আলী চৌধুরী বলেন, ‘ঈদের আগে এক সপ্তাহ কেনাকাটার জন্য মোক্ষম সময়। আশা করছি এ সময় জমজমাট হবে ঈদের কেনাকাটা।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ঈদে সিল্ক, কটন, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন কাপড়ে হাতের কাজ, মেশিন এমব্রয়ডারির থ্রিপিস এবং ব্লক প্রিন্টের শাড়ির চাহিদা তুলনামূলকভাবে বেশি। এ ছাড়া তরুণদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে টি-শার্ট, পলো টি-শার্ট, ক্যাজুয়াল টি-শার্ট, ফরমাল টি-শার্ট, শার্ট, ফতুয়া ও বাহারি রঙের পাঞ্জাবি। তবে উঠতি তরুণীদের একটি বিরাট অংশের আগ্রহ গাউন ও ফ্রক কেনার দিকে। আর মধ্যবয়সী নারীদের পছন্দ রকমারি ডিজাইনের শাড়ি।

নগরীর চকবাজারের এসি মার্কেট বালি আর্কেড, মতি টাওয়ার, চক ভিউ সুপার মার্কেট, গুলজার টাওয়ার, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, ফিনলে স্কয়ার, আফমি প্লাজা, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেসকো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওস্যান সিটি, টেরিবাজার, নিউমার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, জহুর হকার্স মার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটে পোশাকের দোকান ও ফ্যাশন হাউসে তরুণীদের ভিড় দেখা গেছে।

এ ছাড়া পাঞ্জাবির শোরুমগুলোতে ভিড় করছেন তরুণেরা। পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া, শাড়ি, থ্রিপিস, জুতা ও স্যান্ডেল কেনার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের দোকানকে প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা।

মুরাদপুর থেকে নগরীর নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান বলেন, ‘ভালো মানের পাঞ্জাবি ও শার্টের জন্য এখানে এসেছি। কিন্তু দাম এবার একটু বেশি।’

তবে ব্যবসায়ী আকবর আলীর মতে, এবার ঈদের কেনাকাটায় মানুষের আর্থিক সামর্থ্য গতবারের তুলনায় খানিকটা কমেছে। দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা ও দেনদরবারে বিষয়টি বোঝা যায়।

এদিকে জহুর মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম-সদস্যসচিব ফজলুল আমিন জানান, মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারাই বেশি আসেন এই মার্কেটে। কম দামে ভালো পণ্য পাওয়া যায় এখানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত