Ajker Patrika

সাবেক এমপিদের ২৪ বিলাসবহুল গাড়ি আবার উঠছে নিলামে

  • ১০টি গাড়ির কোনো দরই জমা পড়েনি।
  • ১৪টির দর জমা পড়লেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া যায়নি।
  • নিলামে উঠেছিল মোট ৪৪টি গাড়ি।
 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সংসদ সদস্যদের (এমপি) আমদানি করা ২৪টি গাড়ি প্রথমবারের মতো নিলামে উঠলেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ১০টির কোনো দরই জমা পড়েনি। এ কারণে গাড়িগুলো ফের নিলামে তোলার কথা ভাবছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, আগ্রহীদের কাছ থেকে দরপত্র জমা নেওয়ার পর গত সোমবার এসব খোলা হয়। নিলামে তোলা এমপিদের ২৪টি গাড়ির মধ্যে দর পড়েছে ১৪টিতে। গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর দিয়েছেন আগ্রহী ক্রেতারা। ১০টি গাড়িতে কোনো দরই জমা পড়েনি। সব মিলিয়ে মোট ৪৪টি গাড়ির নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মোট ১৩৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন দর দাখিল করে। অনলাইনে এই নিলামে গত রোববার বেলা ২টা পর্যন্ত দর প্রস্তাবের সময় ছিল।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন জানান, ‘দরপত্রগুলো আমরা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছি। এমপিদের গাড়িগুলোর কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, সংসদ সদস্যদের গাড়িগুলো টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের। প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। নিয়মানুযায়ী প্রথম নিলামে এই দরের ৬০ শতাংশ বা তার বেশি যিনি সর্বোচ্চ দর দেবেন, তাঁর কাছে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। এ হিসাবে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দর পড়লে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। সাবেক সংসদ সদস্যদের কোনো গাড়িতেই এত দর পড়েনি। ফলে নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দরদাতাই গাড়ি পাচ্ছেন না। এ কারণে আবারও নিলামে তুলতে হবে এসব গাড়ি।

তথ্যমতে, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা। সরকারের পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপর এ গাড়িগুলো আর সংগ্রহ করেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা।

তাঁদের ২৪টিসহ এ দফার প্রথম নিলামে মোট ৪৪টি গাড়ি বিক্রির জন্য তোলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারউজ্জামানের ফেলে যাওয়া গাড়িতে যে দরপত্র জমা পড়েছে, তাতে মাত্র ১ লাখ দর দিয়ে এই গাড়ি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন মহসীন মোহাম্মদ কবির নামের এক দরদাতা। এই গাড়ির দাম ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেনের (পাভেল) গাড়িতে সবচেয়ে বেশি দর পড়েছে। দুই গাড়িতে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা করে দর দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন এস এম আরিফ নামের একজন। কিন্তু তাতেও ৬০ শতাংশ দর হয়নি। রংপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামানের গাড়িতে তিনজন দরদাতার মধ্যে ইজি সার্ভিসেস লিমিটেডের সর্বোচ্চ দর ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের গাড়ির সর্বোচ্চ ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা দর দিয়েছে ল্যাবএইড লিমিটেড। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিকের গাড়ি কেনার জন্য সর্বোচ্চ দর পাওয়া গেছে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এই দর দিয়েছেন ফারাজ আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি। সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গাড়ির জন্য ৩০ লাখ ও তারানা হালিমের গাড়ি ৫ লাখ, নেত্রকোনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের গাড়ি ৩০ লাখ, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আনিসুজ্জামানের টয়োটা গাড়ির নিলামে দর উঠেছে ৫ লাখ, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. তৌহিদুজ্জামানের গাড়ির ২০ লাখ, গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবীরের গাড়ি দেড় কোটি ও জান্নাত আরা হেনরীর টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারের ৫ লাখ টাকা দর পড়েছে।

এদিকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের গাড়ি নিলামে তোলা হলেও কেনার জন্য কেউ সাড়া দেননি। এ ছাড়া জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মোতালেবসহ ১০ জন সংসদ সদস্যের আমদানি করা গাড়িতে কোনো দর পড়েনি।

সংসদ সদস্যরা প্রতি পাঁচ বছরে একবার শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করতে পারেন। এ ধরনের গাড়ির ওপর কর ৮১০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তবে এমপিদের তা দিতে হয় না। ১৯৮৭ সালে এরশাদের শাসনামলে আইনপ্রণেতাদের খুশি করতে শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা চালু করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ মে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। সেই থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিলাসবহুল গাড়ির আমদানি চলেছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, এমপিদের কর-অব্যাহতির ফলে গত ১৫ বছরে সরকারের ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যশোর সীমান্তে কড়া নজরদারি

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারের গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর যশোর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা যেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যেই বেনাপোলসহ সীমান্ত এলাকাগুলোয় ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ৪৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০ দশমিক ২৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও পাঁচপিসতলা এলাকাসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘মোতালেব শিকদাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তাঁর মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বৈরাগী টিলা এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)-৯ সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব-৯ সিলেট সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নম্বর মিরাশি ইউনিয়নের বৈরাগী টিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত