Ajker Patrika

ফেনী হাসপাতাল

তীব্র গরমে রোগী বেড়ে ৩ গুণ, বারান্দা-মেঝেতে চিকিৎসা

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নারীদের ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে অনেকে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নারীদের ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে অনেকে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফেনীতে দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে শিশু ও নারীদের মধ্যে জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে তিনগুণ। শয্যাসংকটে অনেকে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের ২৬ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ৬৭ জন। বেশির ভাগ শিশু জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স শ্যামলী রানী জানান, প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি শিশু ভর্তি হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে রোগীর চাপ অনেক বেড়েছে।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিত্রও একই। ১৭টি শয্যার বিপরীতে ভর্তি ৪৫ রোগী, যাদের অধিকাংশই শিশু। সিনিয়র স্টাফ নার্স আনোয়ারা বেগমের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ২০-৩০ জন নারী ও শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগে। অন্যদিকে নারীদের ওয়ার্ডে ২৬ শয্যার জায়গায় ৬১ ও পুরুষ ওয়ার্ডে ৫৭ জন রোগী রয়েছেন।

শহরের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১০ মাস বয়সী মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তিন দিন আগে। প্রথম দুই দিন বারান্দায় ছিলেন। পরে শয্যা পেয়েছেন।

রাজাপুরের সাহেনা বেগম বলেন, রোগীর ভিড় অনেক, কিন্তু সন্তান অসুস্থ হওয়ায় আসতে হয়েছে।

হাসপাতালের বহির্বিভাগেও রোগীর ভিড় ব্যাপক। টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরে এক শিশুর চিকিৎসা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরে এক শিশুর চিকিৎসা চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বহির্বিভাগে দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষমাণ আবদুল আজিজ বলেন, এই গরমে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর, আর ভেতরেও স্বস্তি নেই।

এ নিয়ে কথা হলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. রিদোয়ান বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ডেই ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি। আমরা আগেই রোগীদের শয্যাসংকটের কথা জানিয়ে দিচ্ছি। তারপরও চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছি।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফেনী কার্যালয়ের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান জানান, আজ ফেনীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭ এপ্রিল রেকর্ড হয় ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবির সিন্ডিকেটে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদন

শ্বশুরকে জামাতার ফোন: ‘আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান’

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে গেলেন ইমামতি করতে

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক: আইনজীবী

ঐতিহাসিক শিমলা চুক্তি বাতিল করল পাকিস্তান, এর প্রভাব কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত