গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, ২ দেবরের বিচার দাবি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৬: ২০
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আসমা আক্তার হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন বয়সী মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গৃহবধূ আসমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে দুই দেবরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার সকালে উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চর মথুরা ও চির্কা গ্রামবাসীর উদ্যোগে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে চর মথুরা ও চির্কা গ্রামের বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি পার্শ্ববর্তী নয়ারহাট বাজার থেকে বের হয়ে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা, ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা সদর, উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে। পরে থানা ঘেরাও করে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা। নিহতের দুই দেবর ও শ্বশুর-শাশুড়ির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে এলাকাবাসীর পক্ষে ফাতেমা বেগম, মিনু আক্তার, ফাবিয়া জাহান, রুবেল খানসহ অনেকে বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, আসমার লাশের গোসল করানোর সময় শরীরের স্পর্শকাতর কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অথচ বলা হয়েছিল তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন। তাঁর শরীরের আঘাতের চিহ্ন নিশ্চিত করে তাঁকে যৌন ও শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ আম গাছে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। আমরা অভিযুক্তদের ফাঁসি দাবি করছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের হানিফ রাঢ়ির ছেলে মাসুমের সঙ্গে চরমথুরা গ্রামের হাফেজ খানের মেয়ে আসমার প্রায় ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে ১৮ মাস বয়সী আয়ান নামের একটি ছেলে-সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে মাসুম মালয়েশিয়াতে থাকলেও আসমা শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই দেবর সাইমন ও শাহীনের সঙ্গে স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। গত ২ নভেম্বর রাতে আসমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

আসমার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের পর দাফন আগে গোসলের সময় শরীরের বিশেষ অঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। থানা-পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরে লালচে দাগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার দিন থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।

আসমার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন আচরণ ও দুই দেবরের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে রহস্যময় হিসেবে দেখেন পরিবারের লোকজন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এলাকাবাসী ও আসমার স্বজনেরা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত