নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ চলছে। দ্বিতীয় সুয়ারেজ প্রকল্পও একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ‘চট্টগ্রাম সুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক দ্বিতীয় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যার ২ হাজার ১৫৪ কোটি টাকাই খরচ হবে জমি অধিগ্রহণে।
জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার দ্বিতীয় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের কালুরঘাটের হামিদচর এলাকায় প্রকল্পের মূল স্থাপনা অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। এর ধারণক্ষমতা হবে ৬০ হাজার ঘনমিটার। প্রকল্পের অধীনে প্রধান সুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করা হবে ১১ কিলোমিটার, শাখা সুয়ারেজ লাইন ৭০ কিলোমিটার এবং সার্ভিস লাইন হবে ৭০ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় ৯৩২টি ম্যানহোল এবং গৃহসংযোগ ও ক্যাচপিট নির্মাণ হবে ১৪ হাজার করে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জামালখান, চকবাজার, চান্দগাঁও, শুলকবহর, ষোলশহরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসা যৌথভাবে অর্থায়ন করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে জাইকা দেবে ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৯৬৯ কোটি টাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা বহন করবে ৩৯ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নগরীর জামালখান এলাকার মোহাম্মদ আকবর বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে এখনো কোনো সুয়ারেজব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এটা খুবই প্রয়োজনীয় নগরবাসীর জন্য। সুয়ারেজব্যবস্থা গড়ে উঠলে জনস্বাস্থ্যের যেমন উন্নয়ন হবে, তেমনি পরিবেশদূষণের হাত থেকেও রক্ষা পাবে নগরী।
এ বিষয়ে ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল আমিন জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার বড় এ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হবে ৭১ দশমিক ১১ একর জমি। এর মধ্যে ৭০ একর ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং ১ একর খাস শ্রেণিভুক্ত। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চলতি মাসের শেষ দিকে পাস হতে পারে। ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয়ের ৪০ শতাংশ সরকার বহন করবে, বাকি ৬০ শতাংশ টাকা সরকার ওয়াসাকে ঋণ দেবে। ঋণের টাকা প্রকল্প শেষের পাঁচ বছর পর থেকে পরিশোধ করা শুরু হবে, যা ২৫ বছরে শোধ করা যাবে।
নুরুল আমিন বলেন, অনুমোদন হওয়া নতুন প্রকল্পের জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপর প্রকল্পের নকশা তৈরি ও দরপত্র আহ্বানসহ প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় চট্টগ্রাম শহরকে ছয়টি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করা হয়। প্রণীত প্ল্যানের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ওয়াসার প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্পের (জোন-১) কাজ শুরু হয়। নগরীর হালিশহরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ১৬৩ একর জমিতে প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নের পর নগরীর ২০ লাখ মানুষ এ সুয়ারেজের আওতায় আসবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম ওয়াসার এটিই হচ্ছে প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্প।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দুই ভাগে চলছে প্রকল্পের কাজ। একটি হচ্ছে পাইপলাইন বসানো এবং অপরটি হালিশহরে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এরপর আরও ৬০০ কোটি টাকা যোগ হচ্ছে এ প্রকল্পে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ চলছে। দ্বিতীয় সুয়ারেজ প্রকল্পও একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। ‘চট্টগ্রাম সুয়ারেজ সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক দ্বিতীয় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যার ২ হাজার ১৫৪ কোটি টাকাই খরচ হবে জমি অধিগ্রহণে।
জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার দ্বিতীয় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। চট্টগ্রামের কালুরঘাটের হামিদচর এলাকায় প্রকল্পের মূল স্থাপনা অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে। এর ধারণক্ষমতা হবে ৬০ হাজার ঘনমিটার। প্রকল্পের অধীনে প্রধান সুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করা হবে ১১ কিলোমিটার, শাখা সুয়ারেজ লাইন ৭০ কিলোমিটার এবং সার্ভিস লাইন হবে ৭০ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় ৯৩২টি ম্যানহোল এবং গৃহসংযোগ ও ক্যাচপিট নির্মাণ হবে ১৪ হাজার করে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জামালখান, চকবাজার, চান্দগাঁও, শুলকবহর, ষোলশহরসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসা যৌথভাবে অর্থায়ন করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে জাইকা দেবে ৪ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৯৬৯ কোটি টাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসা বহন করবে ৩৯ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নগরীর জামালখান এলাকার মোহাম্মদ আকবর বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে এখনো কোনো সুয়ারেজব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এটা খুবই প্রয়োজনীয় নগরবাসীর জন্য। সুয়ারেজব্যবস্থা গড়ে উঠলে জনস্বাস্থ্যের যেমন উন্নয়ন হবে, তেমনি পরিবেশদূষণের হাত থেকেও রক্ষা পাবে নগরী।
এ বিষয়ে ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল আমিন জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার বড় এ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হবে ৭১ দশমিক ১১ একর জমি। এর মধ্যে ৭০ একর ব্যক্তিমালিকানাধীন এবং ১ একর খাস শ্রেণিভুক্ত। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চলতি মাসের শেষ দিকে পাস হতে পারে। ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয়ের ৪০ শতাংশ সরকার বহন করবে, বাকি ৬০ শতাংশ টাকা সরকার ওয়াসাকে ঋণ দেবে। ঋণের টাকা প্রকল্প শেষের পাঁচ বছর পর থেকে পরিশোধ করা শুরু হবে, যা ২৫ বছরে শোধ করা যাবে।
নুরুল আমিন বলেন, অনুমোদন হওয়া নতুন প্রকল্পের জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরপর প্রকল্পের নকশা তৈরি ও দরপত্র আহ্বানসহ প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হবে।
এদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার স্যানিটেশন ও ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় চট্টগ্রাম শহরকে ছয়টি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করা হয়। প্রণীত প্ল্যানের সুপারিশ অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ওয়াসার প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্পের (জোন-১) কাজ শুরু হয়। নগরীর হালিশহরে চট্টগ্রাম ওয়াসার ১৬৩ একর জমিতে প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ও ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নের পর নগরীর ২০ লাখ মানুষ এ সুয়ারেজের আওতায় আসবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রাম ওয়াসার এটিই হচ্ছে প্রথম সুয়ারেজ প্রকল্প।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, এ প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দুই ভাগে চলছে প্রকল্পের কাজ। একটি হচ্ছে পাইপলাইন বসানো এবং অপরটি হালিশহরে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এরপর আরও ৬০০ কোটি টাকা যোগ হচ্ছে এ প্রকল্পে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম।
হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী জরিপ, গণশুনানি, প্রকল্প স্থান নির্ধারণ, প্রাক্কলন তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
৬ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় রাত নামতেই শুরু হয় পদ্মা নদীর বালু লুটের মহোৎসব। প্রতিদিন প্রায় ৫০টি খননযন্ত্র (ড্রেজার) সক্রিয় থাকে ভোর পর্যন্ত। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধসহ দুই উপজেলার ডান তীর রক্ষা বাঁধ। প্রশাসন বলছে, আটক-জরিমানা করেও অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না।
৬ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের আলুচাষিরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলায় ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরও বলছে, ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনার রয়েছে। কৃষকেরা বলছেন, ভারী বৃষ্টি হলে আলুর জমির অনেক ক্ষতি হবে। আলুখেতে অতিরিক্ত পান
৬ ঘণ্টা আগেমায়ের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছেন টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের প্রবাসী আয়নাল হক। বৃদ্ধ মাকে বিদেশে ঘুরিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাড়ি এনেছেন তিনি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাকে হেলিকপ্টারে নিয়ে উপজেলার বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে