প্রতিনিধি, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ি রামগড় উপজেলার একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন না রোগীরা। জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে রয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব। পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য রোগীদের নির্ভর করতে হয় চট্টগ্রাম ও ফেনীর ওপর। চিকিৎসক সংকটের কারণে নিয়মিত রোগীদের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদেরও চিকিৎসা দিচ্ছেন তাঁরা। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে নিয়মিত গড়ে ২০০-৩০০ রোগী আসলেও ইনডোরে ভর্তি থাকছেন ১০-২০ জন। করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে রোগীরা হাসপাতালে থাকতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
জানা যায়, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হলেও কোন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৩১ শয্যার কাঠামোতে হাসপাতাল চললেও সেখানে রয়েছে চিকিৎসক ও নার্সের অভাব। ৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক পদের সংখ্যা ১৩ টি, কিন্তু বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২ জন। ১৪ জন নার্সের পরিবর্তে রয়েছে সাতজন। হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ গুলোতেও নেই পর্যাপ্ত জনবল। হাসপাতালে নেই কোন পুষ্টিবিদ। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দুটি পদই শূন্য, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে সাতজনের স্থানে রয়েছে দুজন। ৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারীর পরিবর্তে রয়েছে ২১ জন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৬৬ ও ২১টি পদের পরিবর্তে যথাক্রমে কর্মরত ৩৮ ও ১৭টি পদ।
এ ছাড়াও সার্জারি, চক্ষু, গায়নি, এ্যাননেন্থিসিয়া, মেডিসিন, ডেন্টাল, অর্থোপেডিক, চর্ম ও যৌন বিভাগে নেই কোন ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মেডিকেল অফিসার (ইওসি), মেডিকেল অফিসার (আইএম ও) ও মেডিকেল অফিসার (এমএমসি) পদ গুলো শূন্য। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতালের তিনটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র পাতাছড়া, হাফছড়ি ও রামগড় ইউনিয়নের লামকুতে সব কটি পদই শূন্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় স্থানীয় মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যে কোন সমস্যায় স্থানীয়দের ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের ওপর নির্ভর করতে হয়। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং কষ্ট সাধ্য।
দুই বছরের শিশু নিয়ে পাতাছড়া এলাকা থেকে আসা আব্দুল মমিন জানান, তাঁর ছেলে পেটে ব্যথায় ভুগছে। হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। কিন্তু চিকিৎসকেরা নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত রোগীদেরও সেবা দেন। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে তিনি তাঁর সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভয় পাচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা সোনাইপুল এলাকার জয়নাল মিয়া বলেন, হার্টের সমস্যা নিয়ে তিনি এসেছেন। হাসপাতালে হার্টের কোন বিশেষজ্ঞ নেই। করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করা কষ্টকর।
মহামুনি এলাকার বাসিন্দা রুবেল জানান, সামান্য রক্ত পরীক্ষা করার জন্যও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে দৌড়াতে হয়। হাসপাতালে গুরুতর রোগী রাখে না কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের বিভাগীয় শহরে রেফার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতীক সেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরেও তাঁরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। রামগড়ে করোনার হার ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে একটি উপজেলা হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। তারপরও নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি করোনা ইউনিটেও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। নিয়মিত রোগীদের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদেরও চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের করোনার ঝুঁকি রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিরুপায় বলে জানান। পর্যাপ্ত ডাক্তার পেলে পালাবদল করে করোনা ইউনিট সহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সেবা সচল রাখা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি জানান, সংকট নিরসনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাস বলেন, `হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নেই। অনেক কষ্ট হলেও আমরা চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। সাময়িকভাবে সেবা দেওয়ার জন্য ফটিকছড়ি থেকে একজন চিকিৎসক দ্রুত যোগদান করবে। তা ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি রামগড় উপজেলার একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন না রোগীরা। জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটের কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে রয়েছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব। পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য রোগীদের নির্ভর করতে হয় চট্টগ্রাম ও ফেনীর ওপর। চিকিৎসক সংকটের কারণে নিয়মিত রোগীদের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদেরও চিকিৎসা দিচ্ছেন তাঁরা। এতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে নিয়মিত গড়ে ২০০-৩০০ রোগী আসলেও ইনডোরে ভর্তি থাকছেন ১০-২০ জন। করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে রোগীরা হাসপাতালে থাকতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
জানা যায়, ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় রূপান্তর করা হলেও কোন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ৩১ শয্যার কাঠামোতে হাসপাতাল চললেও সেখানে রয়েছে চিকিৎসক ও নার্সের অভাব। ৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক পদের সংখ্যা ১৩ টি, কিন্তু বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২ জন। ১৪ জন নার্সের পরিবর্তে রয়েছে সাতজন। হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ গুলোতেও নেই পর্যাপ্ত জনবল। হাসপাতালে নেই কোন পুষ্টিবিদ। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের দুটি পদই শূন্য, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে সাতজনের স্থানে রয়েছে দুজন। ৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারীর পরিবর্তে রয়েছে ২১ জন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৬৬ ও ২১টি পদের পরিবর্তে যথাক্রমে কর্মরত ৩৮ ও ১৭টি পদ।
এ ছাড়াও সার্জারি, চক্ষু, গায়নি, এ্যাননেন্থিসিয়া, মেডিসিন, ডেন্টাল, অর্থোপেডিক, চর্ম ও যৌন বিভাগে নেই কোন ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মেডিকেল অফিসার (ইওসি), মেডিকেল অফিসার (আইএম ও) ও মেডিকেল অফিসার (এমএমসি) পদ গুলো শূন্য। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে হাসপাতালের তিনটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র পাতাছড়া, হাফছড়ি ও রামগড় ইউনিয়নের লামকুতে সব কটি পদই শূন্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় স্থানীয় মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পড়েন। যে কোন সমস্যায় স্থানীয়দের ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের ওপর নির্ভর করতে হয়। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং কষ্ট সাধ্য।
দুই বছরের শিশু নিয়ে পাতাছড়া এলাকা থেকে আসা আব্দুল মমিন জানান, তাঁর ছেলে পেটে ব্যথায় ভুগছে। হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। কিন্তু চিকিৎসকেরা নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত রোগীদেরও সেবা দেন। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে তিনি তাঁর সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে ভয় পাচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা সোনাইপুল এলাকার জয়নাল মিয়া বলেন, হার্টের সমস্যা নিয়ে তিনি এসেছেন। হাসপাতালে হার্টের কোন বিশেষজ্ঞ নেই। করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করা কষ্টকর।
মহামুনি এলাকার বাসিন্দা রুবেল জানান, সামান্য রক্ত পরীক্ষা করার জন্যও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে দৌড়াতে হয়। হাসপাতালে গুরুতর রোগী রাখে না কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের বিভাগীয় শহরে রেফার করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতীক সেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরেও তাঁরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। রামগড়ে করোনার হার ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র দুজন চিকিৎসক দিয়ে একটি উপজেলা হাসপাতাল চালানো সম্ভব নয়। তারপরও নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি করোনা ইউনিটেও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখা হয়েছে। নিয়মিত রোগীদের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদেরও চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের করোনার ঝুঁকি রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নিরুপায় বলে জানান। পর্যাপ্ত ডাক্তার পেলে পালাবদল করে করোনা ইউনিট সহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র সেবা সচল রাখা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি জানান, সংকট নিরসনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাস বলেন, `হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নেই। অনেক কষ্ট হলেও আমরা চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। সাময়িকভাবে সেবা দেওয়ার জন্য ফটিকছড়ি থেকে একজন চিকিৎসক দ্রুত যোগদান করবে। তা ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।
বরিশাল আইএইচটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত, আটজন বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগেজেলার খবর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সুবর্ণচর, গৃহবধূ, লাশ উদ্ধার, স্বজন, অভিযোগ, পিটিয়ে হত্যা
১৯ মিনিট আগেবাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কোণঠাসা করে রাখতে নিজের মাকে জামায়াতের রুকন বলে প্রচার করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তুরিন একসময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৯ মিনিট আগেরাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা রাহেনুল হকের ছেলে রেজাউন-উল হক তরঙ্গকে (২৭) অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের মধ্যস্থতায় তরঙ্গকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে