রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরের ভারত অংশের উদ্বোধন করলেন মোদি

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯: ৫৭

অবশেষে ভারত অংশের রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরের ইমিগ্রেটেড চেকপোস্ট ভবনের উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শনিবার (৯ই মার্চ) ভারতের উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী শহর ইটানগর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার সাব্রুমে স্থলবন্দরটির ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট ভবনের উদ্বোধন করেন মোদি। 

এদিকে রামগড়-সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট উদ্বোধন উপলক্ষে ত্রিপুরার সাব্রুম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ভবনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, রাজ্যের মন্ত্রী সভার সদস্য সুশান্ত চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা ও ভারতের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রসহ রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। 

ভারতের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র বলেন, এই কার্যক্রমের ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী চলাচল সহজ হবে। এটি এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙা করবে। মৈত্রী সেতু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগের নতুন পথের সূচনা করবে। এর ফলে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেতু হয়ে উঠবে। 

তিনি আরও বলেছেন, কার্গো ও ট্রান্সশিপমেন্ট ছাড়াও সাব্রুম আইসিপি দুই দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা করবে। এই সেতু সম্পূর্ণ চালু হলে তা ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক অবস্থা এবং উভয় দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পক্ষে বিশেষভাবে সহায়ক হয়ে উঠবে। 

জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। 

একই সঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাড়বে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। বিকশিত হবে পাহাড়ের অর্থনীতি। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে এ স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজ চলবে। স্থলবন্দর চালুর লক্ষে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্থের বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি সেতু নির্মাণ করেছে ভারত। 

রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের দিক থেকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শতভাগ প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ১৪ নভেম্বর রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি উদ্বোধন করেছেন। তিনি আরও জানান, যেহেতু ভারতীয় সাব্রুম আইসিপি সেন্টার আজ উদ্বোধন হলো সে হিসেবে পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মার্চেই যাত্রী পারাপার শুরু হবে। ভারতের অফিস কার্যক্রম সম্পাদনে যে কয়দিন সময় লাগে তবে মার্চেই যাত্রীরা ভিসা সাপেক্ষে যাতায়াত করবেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত